তখন পাবনা শহরে মেটলাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতাম আমি। চাকরির পাশাপাশি ছোট একটা স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসাও ছিল আমার। সারাদিনের কাজ শেষ করে বিকেলের পরে ব্যবসার কাজে বের হতাম। সব কাজ শেষ করে বাসার উদ্দ্যেশে যাওয়ার আগে আগে বাজারটাও শেষ করতে হতো আমার। এভাবেই চলছিল আমার স্বাভাবিক জীবন-যাপন।
সময়টা ছিল নভেম্বর ২০১৫ সাল। হঠাৎ একদিন আমার দূর সম্পর্কের ভাইয়ের মামার সাথে দেখা। তার সাথে সেদিন আমার অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়। কথায় কথায় এক সময় সে আমায় দেশের বাইরে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি এ ব্যাপারে তাকে সাথে সাথেই কোন সিদ্ধান্ত দিলাম না। তার পর বিষয়টা নিয়ে আমি বেশ কিছুদিন ভাবলাম। কারণ, আমার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৫ জন। আমি, অসুস্থ বাবা-মা আর আমার ছোট ভাই, ছোট বোন। আমি সবার বড়। আমি চলে গেলে তারা কিভাবে আমাকে ছাড়া চলবে। কারণ, পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলাম আমি তাছাড়া আমি নিজেও হয়তো থাকতে পারব না।
যেহেতু দুইটা কাজ আমি একই সাথে করতাম, তাই চাকরিতে সময় দিতে গিয়ে ডিসেম্বর ২০১৫ সালের মাঝামাঝি আমার ব্যবসায় অনেকগুলো টাকা লোকসানে পড়ে যায়। তাই কিছু দিন চিন্তা-ভাবনা করার পর সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমার দেশের বাইরে যাওয়াটা প্রয়োজন। কারণ এখানে আমার অনেক দেনা হয়ে যাচ্ছিল এবং আমি যা উপার্জন করি তা দিয়ে পরিবারের সবটুকু চাহিদা পূরণ করতে পারি না। যদি দেশের বাইরে যাই হয়তো প্রথমে একটু কষ্ট হবে । কিন্তু পরবর্তীতে আমার পরিবার ভালোভাবেই চলবে। যেই চিন্তা সেই কাজ আমি পর দিন ঐ মামার সাথে যোগাযোগ করি।
তার পর সে আমায় পাসপোর্ট করতে বলে আমি তার কথা মত পাব না, পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে যাবতীয় সব কিছু করে আসি। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আমি তাকে কল করি। সে আমায় ঢাকা আসতে বলে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে আমি ঢাকা আসি। মহাখালিতে আমি তার সাথে দেখা করি। পরদিন সে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে তার অফিসে যেতে বলে। আমি গেলাম । সে আমার সব কাগজ-পত্র দেখে জানায় আমার সার্টিফিকেট এর সাথে পাসপোর্টের নামের কিছু ভুল আছে। যা আমি নিজেই দেখলাম। তার কথা মত আমি পাব না।
ফিরে গেলাম পাসপোর্ট ঠিক করতে। পরিবারের কাছে সব কথা খুলে বললাম। পরিবারের সবাই বলল তুমি যেটা ভালো মনে করো সেটাই করো, আমরা তোমার পাশে আছি। পরে বাকি কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংশোধন করলাম। তারপর মামার সাথে যোগাযোগ করে আমি আবারও ঢাকা আসলাম। তার কাছে কাগজপত্র সহ পাসপোর্ট জমা দিলাম ২৩শে জানুয়ারি ২০১৬ সালে। সে আমায় বলল, কিছু দিন অপেক্ষা করো।
তখন আমি ঢাকার ফার্মগেট একটি আবাসিক হোটেলে উঠলাম। কয়েকদিন পর আমি আবার তার অফিসে গেলাম সে আমায় বলল, কাগজপত্র সব এম্বাসিতে জমা দিয়ে দিয়েছি। কিছু দিনের মধ্যে তোমার ভিসা হয়ে যাবে। তুমি বাড়িতে গিয়ে চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার মত যোগাড় করো। আর এদিকে কোথায় কি করতে হবে আমি ওইগুলো দেখছি। বাড়িতে গিয়ে বাবার সাথে আলোচনা করে আমাদের জমির এক অংশ বিক্রি করে দিলাম, মায়ের জমানো কিছু টাকা এবং বাকি টাকা আত্মীয়- স্বজনদের থেকে ধার করি। টাকা গুছিয়ে ঐ মামাকে আমি কল করে জানাই যে আমার টাকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। সে আমাকে বলে আমি তোমায় কাল সব জানাচ্ছি তুমি চিন্তা করো না।
পরদিন সে আমায় জানায়। তোমার আবেদন ৩৫% হয়ে গেছে, ৭৫% হলেই তোমার ফ্লাইট। তবে আশা করি আগামী ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে তোমার ফ্লাইট হয়ে যাবে। তুমি দু-একদিনের মধ্যে ঢাকা এসে টাকাগুলো জমা দিয়ে যাও আর এম্বাসির একটা কাজ আছে সেটা সেরে যাও। আমি ঢাকা এসে তার সাথে যোগাযোগ করলাম। সে আমায় নিয়ে একটি ব্যাংকে গেল এবং আমার টাকাগুলো তার একাউন্টে জমা করে দিল। তার সাথে আমার এতটাই ভালো সম্পর্ক ছিল যে, ব্যাংক এর টাকা জমা দেওয়ার রিসিটটাও আমার কাছে নিতে খারাপ লাগছিল এই ভেবে যে, মামা কি মনে করবে।
তারপর আমরা দুজন তার অফিসে গেলাম। আমি তাকে বললাম, মামা এম্বাসিতে নাকি যেতে হবে? সে বলল, ওই কাজটা আমি শেষ করে আসছি। তোমার যেতে হবে না। আমি বললাম, আমার আবেদন কি ৭৫% হয়ে গেছে?
মামা বলল, সে আরও দুই দিন আগেই হয়ে গেছে।
তারপর আমি ঢাকায় এক বন্ধুর বাসায় কয়েক দিন থাকলাম। তারপর ৪ ফেব্রুয়ারির ২০১৬ আমি তার অফিসে যাই। তার সাথে দেখা করি। এক সাথে দুপুরে খাওয়া- দাওয়া শেষ করি তার পর আমি তাকে বললাম, এখন আমি কি করবো? আমার কাজ কি?
মামা বলল, আজ তো ৪ তারিখ। ১৪ তারিখ বিকালে তোমার ফ্লাইট। তুমি বাড়ি যাও। সবার সাথে দেখা করে দোয়া নিয়ে ১২ তারিখের মধ্যে ঢাকা চলে আসো।
আমি বাড়িতে গিয়ে মা বাবাকে জানালাম ১৪ তারিখেই আমার ফ্লাইট। সবাই অনেক খুশি হলো। মামার কথা মত ১২ তারিখ বিকেলের মধ্যে আমি ঢাকা চলে আসলাম। একটি আবাসিক হোটেলে উঠে মামাকে জানালাম আমি ঢাকা চলে আসছি। মামা বলল, ঠিক আছে তাহলে কাল দেখা হচ্ছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি আমি তাকে সারাদিন কল দিলাম। কিন্তু মামা আমার ফোন ধরলো না। ঠিক সেদিন সন্ধ্যা থেকে তার নম্বরটা বন্ধ পেলাম। অন্যদিকে অসুস্থ মা বাবা আমাকে কল করে জানতে চাচ্ছে সব কিছু ঠিক আছে কি না। আমি তাদের কিছুই জানালাম না। বললাম সব ঠিক-ঠাক আছে। সারারাত ঘুম হলো না আমার। পরদিন আমি সকালে বের হয়ে মামার অফিসে গেলাম। গিয়ে দেখি মামা নেই তার সহকারী আছে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম মামা কোথায় ? সে বলল, স্যার জাপান যাবে দুপুরে ওনার ফ্লাইট। এখন উনি এয়ারপোর্ট আছে।
আমি খুব থমকে গেলাম। বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে এটা কি হচ্ছে আমার সাথে। তখন আমার আর বুঝতে বাকি রইল না যে মামা আমার সাথে প্রতারণা করেছে। তার পর আমি ওখান থেকে হোটেলে চলে আসলাম। এদিকে বাড়ি থেকে কল দিচ্ছে তাদের কে আমি কি বলব বুঝে উঠতে পারছি না। তখনও আমি বাড়িতে কাউকে কিছুই বলিনি। বরং তাদের বলছি সব ঠিকই আছে। আর কিছু সময় পর ফ্লাইট। আমি হোটেলের রুমে অস্থির হয়ে ভাবতে লাগলাম এখন আমার কি করা উচিত। এদিকে পরিবারের কথা মাথায় আসছে যে, অসুস্থ মা-বাবা আমার এই অবস্থা জানার পর তারা ভীষণ চিন্তা করবে।
তাদের আসাটা ভেঙে যাবে। অন্যদিকে ধারের টাকার জন্য আত্মীয়রা বাসায় চলে আসবে। কোনো কিছু চিন্তা না করেই অবশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি কাউকে কিছু জানাবো না। কিন্তু বলব যে আমি ঠিক সময়ের ফ্লাইটে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছি। ঠিক তেমন ভাবেই আমি সবাইকে কল করে জানিয়ে দিলাম আর কিছুক্ষণের মধ্যে আমি চলে যাচ্ছি। তোমরা চিন্তা করো না, আমি পৌঁছে তোমাদের জানাবো। ঠিক বিকেল ৫ টায় আমার নম্বরটি অফ করে দিলাম এবং নতুন একটি সিম নিলাম। এই মুহূর্তটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের মুহূর্ত।
কারণ আমিও আমার পরিবারের সাথে প্রতারণা করছি। বাবা মা অসুস্থ আর আমার এই অবস্থার কথা বললে বাবা মায়ের যদি কিছু হয়ে যায় তাই আমাকে মিথ্যে কথাটা না চাইতেও বলতে হল। তারপর ঠিক পাঁচ ঘণ্টা পর ইমো থেকে কল করে ফুফাতো ভাইকে জানালাম আমি পৌঁছে গেছি, তুই আমার মা বাবাকে জানিয়ে দিবি আমি পৌঁছে গেছি এবং পরে আমি তাদের কল দিব। তার পরদিন আমি হোটেল ছেড়ে দিলাম। ঢাকায় আসার পর কয়েক দিনের মধ্যে পরিচিত হওয়া এক বড় ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলাম এবং তাকে সব কিছু খুলে বললাম। তারপর সে আমাকে একটা কাজ দেখিয়ে দিল আর ইন্টারনেটে বাড়িতে কথা বলার একটা ব্যবস্থা করে দিল যেন আমার মা-বাবা না বুঝে আমি দেশে আছি।
ঠিক সাত দিন পর ঐ মামার অফিসে আমি আবার যাই। গিয়ে বলি মামাকে কল করতে। সে কল করে তারপর তার মোবাইলটা আমি নিয়ে কথা বলি । মামাকে বলি আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই। মামা বলে, আগামীকাল সকালে আমার অফিসে আসো আমি তোমাকে সব খুলে বলছি। পরদিন আমি গেলাম অফিসে। সে আমাকে বুঝিয়ে বলল, একটু সমস্যা হয়ে গেছে চিন্তা করো না, খুব তাড়াতাড়ি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমাকে কিছু দিন সময় দাও। তার আরো ১০ দিন পর যোগাযোগ করলে সে বলে সমস্যাটা একটু জটিল হয়ে গেছে তাই আরও ২ মাসের মত সময় লাগবে।
তখন আমি তাকে বলি আমার কাছে যা টাকা ছিল সব প্রায় শেষের দিকে এখন ২ মাস অপেক্ষা করবো কিভাবে? ঢাকাতে আমি কি করবো? কোথায় থাকবো? মামা তার চেয়ে ভালো হয় সব কিছু বাদ দেন। আপনার কাছে আমার যা টাকা আছে সেগুলো দিয়ে দেন আমি ঢাকাতেই কিছু একটা করি। মামা বলে, টাকা তো সব আমার কাছে নেই, অনেক জায়গায় টাকা গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একটু সময় লাগবে। আমি আরো বেশি চিন্তায় পরে গেলাম। আমি এই টাকাগুলো আদো পাব কিনা কারণ আমি যে তাকে টাকা দিয়েছিলাম তার তো কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই। সেদিন আর কিছু বললাম না। আমি চলে আসলাম।
কয়েকদিন পর আমি কল দিয়ে টাকা চাইলাম সে বললো, একটা বিকাশ নম্বর দাও। কিছু টাকা দেই আপাতত চলো। তার পর আমাকে পাঁচ হাজার টাকা বিকাশ করলো। আমি কল দিয়ে বললাম, আপনি যদি এভাবে আমাকে টাকা দেন তাহলে টাকাগুলো আমার কোন কাজে আসবে না। সব টাকা খরচ হয়ে যাবে। সে বললো, এভাবেই নিতে হবে কিছুই করার নেই। এভাবে ৩ বারে আমাকে সে ১৫ হাজার টাকা দেয়। তারপর টানা তিন মাস সে আমার কোন কল রিসিভ করে না। আজও পর্যন্ত তার সাথে কোন ভাবেই যোগাযোগ করতে পারলাম না। এমন কি তার অফিসে গিয়েও তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কোন পর্যায়ের না থাকায় আইনি সহযোগিতাও নিতে পারছি না। এ অবস্থায় আমার কি করা উচিত আমি তা নিজেও জানি না।
এভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর, ঐ বড় ভাইয়ের দেওয়া কাজের মাধ্যমে আমি কিছু ইনকাম শুরু করি কিন্তু তা দিয়ে আমার নিজের চলতেই কষ্ট হয়ে যায়। পরিবারকে দেয়া আমার পক্ষে একেবারেই সম্ভব হয় না। বাড়িতে আমি যখন কল করি তখন তারা বার বার আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য একটা নম্বর চায়। আমি তাদের বুঝিয়ে বলি, ঠিক আছে কিছু দিন পরে দিব। এভাবে নম্বর দিবো বলতে বলতে এক বছর ছয় মাস চলে যায় এখনো তারা জানে না আমি বাংলাদেশে আছি তারা জানে আমি দেশের বাইরে আছি। কথার মাঝখানে প্রায় জিজ্ঞেস করে, কি কাজ করিস বাবা? কত টাকা পাস?
মায়ের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মত ক্ষমতা আমার নেই। ছোটবোন সেদিন বলছিল, কিরে ভাইয়া এতোগুলো মাস পেরুল অথচ তুই একটা টাকাও বাড়িতে পাঠাতে পারলি না? ভাইয়া বাবার শরীরের অবস্থা ভালো না। বাবা বলেছে তুই টাকা পাঠালে বাবা ডাক্তার দেখাবে।
আমি চুপ করে থাকি। কিছুই বলতে পারি না। মা বাবাকে খুব দেখতে মন চায় তবে। খুব মন চায় ছোট ভাইবোন দুইটাকে দেখে আসি কিন্তু পারি না। এতো কাছাকাছি আছি, তবু পারি না দেখা দিতে।
সেদিন স্বপ্নে দেখলাম মা আর দুনিয়াতে নেই। লাফ দিয়ে উঠলাম। খুব ইচ্ছে করছিল মায়ের সাথে একটু কথা বলি কিন্তু আমি এখন চাইলেও যখন তখন ফোন দিতে পারি না। খুব ইচ্ছে করে মাকে একটু জড়িয়ে ধরে কাঁদি। বাবাকে গিয়ে বলি বাবা সব মিথ্যে আমি বিদেশ যাইনি। তোমার ছেলে তোমার কাছেই আছে। যা ঘটেছে সবই মিথ্যা। আমি আর কোথাও যেতে চাই না বাবা।
তবে বাবার অসুখের কথা ভেবে আর বলা হয় না। ছোট ভাইটার স্কুলের বেতন চার মাসের বাকি পড়েছে। আমি কি করবো? আমার কি করা উচিত? আমি কিচ্ছু বুঝতে পারি না। আমি কার কাছে যাব। কাকে বলব আমার কথা গুলো? কার কাছে বিচার চাইব আমি?
মায়ের সাথে কথা বলি আর শুধু কাঁদি। মাকে একটুও বুঝতে দেই না।
মাঝে মাঝে মনে হয় এ জীবন আর রেখে আর কি হবে? শেষ করে দেই সব কিন্তু বাবা-মা আর ভাইবোনের কথা চিন্তা করলেই আমার সারা শরীর ঠাণ্ডা হয়ে আসে। ওরা আশা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর আমি একের পর এক মিথ্যে সান্ত্বনা দিয়ে যাচ্ছি। জানিনা এই মিথ্যেও শেষ কোথায় ?
জীবনে কাওকে ঠকিয়ে কেও কখনই বড় হতে পারে না। কাওকে ঠকিয়ে আজ যদি আপনি পাঁচ লক্ষ টাকা নেন, তবে তা দিয়ে কতদিন চলবেন? কিন্তু একটা জীবন এই টাকার জন্য ধ্বংস হয়ে যায় তা কী কখনো ভেবে দেখেছেন?
আপনি আজ একজনের সাথে প্রতারণা করতে পারেন, তবে একদিন সেটা আপনার সন্তানের সাথেও হতে পারে। তখন আপনার কেমন লাগবে তা একবার ভেবে দেখেছেন কী?! আজ আপনি ভাবছেন যে কাওকে ঠকিয়ে আপনি জিতে গেলেন? আমাদের জীবনে আমাদের কাজের ফল আমাদের কাছেই বার বার ফিরে আসবে!
তাই কারো থেকে প্রয়োজনে বেশি টাকা হলেও কাজটা করে দেয়া উচিৎ। অন্ততপক্ষে সে মানুষটা তো ধ্বংস হবে না। তাই আমি চাই সবাই ভালো থাকুক। আপনিও ভালো থাকুন । আমরাও ভালো থাকি।