আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আজকে আমি প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে মানে বিদেশ থেকে টাকা আনার উপায় সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
রেমিট্যান্সের টাকা পাঠানোর অনেক উপায় রয়েছে। বিদেশ থেকে টাকা পাওয়ার জন্য বা রেমিট্যান্স পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু শর্ত পালন করতে হবে। যেমন যে ব্যক্তি বিদেশে কাজ করছেন তাকে অবশ্যই বৈধ ও সঠিক নিয়মে বিদেশে যেতে হবে। যদি আপনি অবৈধ পথে বিদেশে যান সেক্ষেত্রে আপনি কোনো বৈধ পথে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারবেননা। সেক্ষেত্রে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে অবৈধ মাধ্যম খুঁজতে হবে। অবৈধ মাধ্যমে টাকা পাঠালে টাকা মারা/চুরি যাওয়ার সুযোগ আছে। তাছাড়াও হুন্ডি বা এই অবৈধ উপায়ে পাঠানো টাকা বাজেয়াপ্তও হয়ে যেতে পারে কারণ এটি বৈধ নয়। তাই অবশ্যই বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বৈধ পথ অবলম্বন করুন।
বিদেশ থেকে টাকা আনার উপায়
অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি সবচেয়ে সহজ ও বিশ্বস্ত উপায় নিচে দিয়ে দিচ্ছি।
১. ব্যাংকঃ আমার মতে বর্তমানে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাটি দেশে পাঠানো। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ প্রবাসীরা এই মাধ্যম অবলম্বন করে। ব্যাংকের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে টাকা পাঠালে আপনি আপনার পাঠানো টাকার উপর ২%-৪% এর মতো সরকারি প্রণোদনা পাবেন। বর্তমানে রেমিট্যান্সের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক এই দুইটি ব্যাংক সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ব্যাংকের মাধ্যমে দুই উপায় টাকা পাঠানো যায়।
ক. প্রথমে বাংলাদেশে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে যান (যেকোনো ব্যংক)। এবং বিদেশে গিয়ে সেই একই ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চে গিয়ে টাকা ডিপোজিট করুন। এখন চাইলে আপনি সহজেই টাকা পাঠাতে পারবেন। উদারহণ দিয়ে বুঝাচ্ছি। ধরেন বাংলাদেশে আপনি ইসলামী ব্যাংকের একটি একাউন্ট খুলে গেলেন।
আপনি ধরেন সৌদি গেলেন। এখন সৌদিতে ইসলামী ব্যাংকেত যে শাখা আছে সেখানে গিয়ে টাকা দিয়ে আপনার বাংলাদেশের একাউন্টে ডিপোজিট করুন। তাহলেই টাকা আপনার বাংলাদেশের একাউন্ট তথা আপনার পরিবারের কাছে টাকা এসে পড়বে।
খ. বাংলাদেশে যেকোনো একটি ব্যংকে একাউন্ট খুলুন। এবং বিদেশে যাওয়ার পর সেই দেশের কোনো একটি ব্যাংকে একাউন্ট খুলুন ও ওই একাউন্টের মাধ্যমে টাকা বাংলাদেশে যে ব্যংকে একাউন্ট খুলেছিলেন সেই একাউন্টে ট্রান্সফার করুন।
২. মোবাইল ব্যাংকিং সেবাঃ বর্তমানে প্রবাসীরা বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং আ্যপ/সেবার মাধ্যমে বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন। যারা সাধারণত ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোটিকে জটিল মনে করে তারাই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে থাকে। কারণ এটি সহজ, নিরাপদ ও চাইলে নিজে নিজেও করা যায়।
আপনি বিকাশের মাধ্যমে আপনার উপার্জিত রেমিট্যান্সের টাকা পাঠাতে পারবেন। রেমিট্যান্সের টাকা বিকাশের মাধ্যমে দেশে পাঠালে আপনি মোট ৩% (২% সরকারি প্রণোদনা ও ১% বিকাশের বোনাস) পাবেন। তাছাড়া আপনি বিদেশি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোও ব্যবহার। যেমনঃ আপনি wise ব্যবহার করে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন।
৩. মানি এক্সচেঞ্জঃ আপনি চাইলে বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমেও টাকা দেশে পাঠাতে পারেন। আপনি ওই এক্সচেঞ্জকে যে দেশে কাজ করেন সে দেশের কারেন্সি দিবেন বদলে দেশে আপনার যে থাকে সে ওই এক্সচেঞ্জ থেকে টাকা নিতে পারবেন।
বেশিরভাগ মানি এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে ফি দিতে হয়। তাছাড়া সব মানি এক্সচেঞ্জ লেজিটও না। সাবধানে দেশে শুনে যেটি ভালো, বিখ্যাত, যেটার অনেক নাম আছে এরকম একটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে টাকা পাঠান।
তো এই তিনটি ছিল আপনার মতে রেমিট্যান্সের টাকা পাঠানোর ও টাকা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও বিশ্বস্ত উপায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠান কারণ সেটি সবচেয়ে নিরাপদ।
তাছাড়া অন্যান্য মাধ্যমগুলোও যথেষ্ট নিরাপদ ও বিশ্বস্ত। ভুলেও কোনোদিনও হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ মাধ্যমে টাকা পাঠাবেননা। কারণ এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
তো আজকের জন্য এতটুকুই (বিদেশ থেকে টাকা আনার উপায়)। আবার কয়েকদিন পর আপনাদের সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হব। ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সেই কামনায় আজকের জন্য বিদায় জানাচ্ছি। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন।
👍
সহযোগী
Nice post
ভালো
দারুণ