আমাদের সমাজে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। গড়ে ওঠে পরস্পরের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতির বন্ধন। বাবা মায়ের পরে যে মানুষটি বিপদের সময় সবচেয়ে বেশি হাত বাড়িয়ে দেয় তা হল বন্ধু। আমাদের ছোটবেলা থেকেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ছোট বেলা থেকেই একটা সময় আমরা যখন জীবনকে বুঝতে শেখে তখন থেকেই বন্ধুত্ব জীবনের জন্য অপরিসীম হয়ে দাঁড়ায়। বন্ধু আসলে বিপদে সময় আমরা নির্দ্বিধায় একে অন্যের পাশে দাঁড়াতে পারি।
বিপদে বন্ধুর পরিচয় খুদে গল্প:
বিপদে বন্ধুর পরিচয় এই কথাটি আজকাল প্রায় বলতে শোনা যায়। কিন্তু সত্যি কারের বন্ধু খুব বেশি পাওয়া যায় না। যখনই বিপদে পড়বেন তখন আসল বন্ধু দেখলে চিনতে পারবেন তখন সত্যি কারের বন্ধু দের আসল রূপ বোঝা যায় এবং প্রকাশ পায়।
জীবনের যেকোনো সমাস্যা বা বিপদে পরলে নানা ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। এই মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমানো যায় যদি আপনি মনের কথাটা গল গল করে নির্দ্বিধায় কাউকে খুলে বলতে পারেন।
আমাদের যাঁদের সাথে আত্মীয় বন্ধন রয়েছে তাদের মধ্যে দুজন ছাড়া সবার কাছ থেকে সহযোগিতা সত্যি পাওয়া যায় না।
আপনি যখন ভালো অবস্থানে থাকবেন সুসময়ে অনেক বন্ধু খুঁজে পাবেন কিন্তু দুঃসময়ে সত্যি কারের বন্ধু কজনই বা মিলে। জীবনে বেঁচে থাকতে হলে সত্যিকারে বন্ধু যে কতটা প্রয়োজন তা বলার মত ভাষা নেই। তাই পৃথিবীতে প্রচলিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস।
আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, বন্ধুহীন জিবন হল লবণ ছাড়া তরকারির মত। এই কথাটি চিরন্তন সত্য। পৃথিবীতে বন্ধুত্ব নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের অনেক মত এবং সংখ্যা রয়েছে। পৃথিবীর সব বড় বড় মানুষেরাই এক বাক্যে স্বীকার করে নেবে সহজ কথা সহজ ভাষায় বন্ধুত্বের সংজ্ঞা দেয়া সম্ভব নয়। বন্ধু হল মানুষের মানুষের মধ্যে হৃদয়ের অতৃপ্ত অনুভূতি সম্পর্ক।
আমাদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বন্ধু নিয়ে একটি চমৎকার উক্তি করেছেন,
“আমরা বন্ধুর কাছ থেকে মমতা চাই, সমবেদনা চাই,সাহায্য চাই ও সে জন্যই বন্ধুকে চাই।