Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

বিশ্ববিদ্যালয় ও ভর্তি পরীক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষার পর অনেকের স্বপ্ন থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। সেক্ষেত্রে সবারই প্রথম লক্ষ্য থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। দেশের মোটা অংশ মধ্যবিত্ত। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র খরচে পড়াশোনা করা যায়। বলা হয়ে থাকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞান অর্জনের একটি বড় প্ল্যাটফম।

এইচএসসির পর শিক্ষার্থীরা মূলত তিনদিকে ধাবিত হয়। একদল মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুুতি নিতে থাকে। আরেকদলের লক্ষ্য থাকে নামের শেষ ইন্জিনিয়ার শব্দ যুক্ত করার। আরেকদল জেনারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে।

ভর্তি পরীক্ষাকে অনেকেই ভর্তি যুদ্ধ নামে আখ্যায়িত করে থাকে, যা একদম অসত্য নয়। এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে যে পরিমান ছাত্র উত্তীর্ণ হয় তার চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট শুধু কম না অনেক বেশি কম। প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্র এই যুদ্ধে নামে।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সবচে বড় লড়ায় সম্ভবত হয় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায়। হাজার হাজার ছাত্রের বিপরীতে সিট সংখ্যা ৪ হাজারের কিছু বেশি। ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হবার স্বপ্ন নিয়ে অনেকেই ভর্তি পরীক্ষায় বসলেও সফল হতে পারে সীমিত সংখ্যক ছাত্র কেননা আসন সংখ্যা সীমিত। প্রতি বছর অনেকেই স্বপ্ন ভঙ্গের তীব্র কষ্টে পড়তে হয়।

যুদ্ধের আরেকটি রণক্ষেত্র হলো প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। বুয়েট স্বতন্ত্র ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিলেও কুয়েট, চুয়েট,রুয়েট সম্বলিত ভাবে পরীক্ষা হয়। গনিত, পদার্থ ও রসায়নে প্রচুর দক্ষতা থাকলেই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব। এখানেও সিট সংখ্যা সীমিত অনেকের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ লক্ষ ছাত্রের কাছে স্বপ্নের নাম। তুমুল মেধা যুদ্ধের মাধ্যমে দেশসেরা ছাত্র।
একইভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল প্রতিযোগিতা হয়।

দেশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় সেক্টর হলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কৃষি প্রধান দেশ আমাদের বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে কৃষির উন্নতি সাধনে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনন্য। যার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্টার পর থেকে আমাদের কৃষিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

ময়মনসিংহ অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের পচ্ছন্দের তালিকার একদম উপরে। পাশাপাশি রয়েছে শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেইনারী এন্ড এনিমেল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

সময় যত যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধ ততই কঠিন হচ্ছে৷ দেখা যাচ্ছে ০.৫ নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় ৫০০-১০০০ জনের পিছনে পড়ে যেতে হচ্ছে।

সম্প্রতি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিত ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে এবং একেক বার একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হয়।

ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য।
আমি রাছিব
পড়ালেখা করছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
ধন্যবাদ।

Related Posts

11 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No