একপাশে সবুজ পাহাড় বন-জঙ্গল ফসলের মাঠ গ্রামীণ জনপদের অপরূপ দৃশ্য। অন্যপাশে অকুল দরিয়া সেই বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের গর্জন।চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ পর্যটকদের জন্য প্রচুর আনন্দ নিয়ে আসবে। ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নান্দনিক মহাসড়কটি বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভওয়ে ।চট্টগ্রামের মিরসরাই সমুদ্র সৈকত থেকে সীতাকুণ্ড, বান্দরনগরী, দক্ষিণ চট্টগ্রাম, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর উপজেলা এবং সৈকতনগরীর কলাতলীপয়েন্টে এসে যুক্ত হবে চার লেইন বিশিষ্ট মেরিন মহাসড়ক।২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আয়োজিত এক সমাবেশে ঘোষণা করেছিলেন যে চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভওয়ে নির্মাণ করা হবে। এটি পর্যটন এবং জাতীয় অর্থনীতিতে বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করবে। কক্সবাজার শহরে কলাতলী বিচ থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বর্তমানে একটি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভওয়ে রয়েছে। যা বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভওয়ে।
বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ মহাসড়কটি বাংলাদেশকে পর্যটন সম্ভারে ভরপুর সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় গন্তব্যরূপে বিশ^জুড়ে পরিচিত করবে নি.সন্দেহে।পুরো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্য ব্যয় ২৫০০০ কোটি টাকা। এই মেগা প্রকল্পটি চীন সরকারের আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা পাবে।
প্রস্তাবিত মেরিন ড্রাইভ হাইওয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাই মুহুরি সমুদ্র সৈকত থেকে সীতাকুণ্ড হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের নেভাল একাডেমি হয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল, আনোয়ারা চাতরী চৌমুহনী, বাঁশখালী, পেকুয়া, চৌফলদণ্ডী, খুরুশকুল সমুদ্রপথে কক্সবাজার শহরের সাথে যুক্ত হবে। এই হাইওয়ের গড় উচ্চতা ১৫ ফুট হবে। ২৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ৮০ কিমি চট্টগ্রাম অংশে এবং ১৫০ কিলোমিটার কক্সবাজার অংশে পড়বে। এটি কক্সবাজার-টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত নির্মিত ৮০ কি.মি. মেরিন ড্রাইভওয়ের সাথে ফোর লেইনে উন্নীত হয়ে যুক্ত হবে। এদিকে মেরিন ড্রাইভ হাইওয়ের মিরসরাই শেষে বেজার অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকায় দ্বি-লেনের ৮ কিলোমিটার রাস্তা। অংশটি চার লেনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। যা কক্সবাজার পর্যন্ত প্রসারিত হবে।
বাংলাদেশ ভ্রমণ কেন আপনার দরকার?/
বাংলাদেশে ভ্রমণ কি আপনার জন্য? নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম আবিষ্কারের রত্ন, তবে দুর্ভাগ্যক্রমে (বেশিরভাগ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মিশ্রণের...