রোবট সম্পর্কে আজকাল আমরা সবাও জানি। বর্তমানে এমন কিছু রোবট কোম্পানি তাদের সুবিধার জন্য বানিয়েছেন, সেগুলো দেখতে মানুষের মতন। এমনকি কথাও বলতে পারে, ব্যবহারটাও কিন্তু মানুষের মত। এসবকিছুই হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর দ্বারা অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রাম দ্বারা। তাহলে চলুন আলোচনা করি এমন কিছু বিশ্বের পাঁচটি রোবট সম্পর্কে।
১. Nadine ( রোবট নাডাইন)
এটি এমন একটি রোবট যেটি বর্তমানে সিংগাপুরের একটি ইন্সুইরেন্স কোম্পানী (এ আই এ সিংগাপুর) কোম্পানিতে কাস্টমার সার্ভিস এজেন্ট হিসেবে বর্তমানে কাজ করছে। এটি দেখতে মানুষের মতই, যেটি কথা বলতে পারে এবং সবকিছু দেখাশোনা করতে পারে। এতে রয়েছে বিভিন্ন ওয়েবক্যাম, মাইক্রোফোন, চার্ট বোর্ড, বিভিন্ন স্তরে বাসানো হয়েছে সেন্সর। এটি জাপানি কোম্পানির দ্বারা আর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করা হয়েছে সিংগাপুরে। এটি কাস্টমারের সাথে কথা বলার পাশাপাশি, তাদের মুখ সনাক্তকরণ, কন্ঠ সনাক্তকরণ, আচার- ব্যবহার নির্ণয় ইত্যাদি কাজ করতে সক্ষম। এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৬টি ভাষা, ইংলিশ, জার্মান, ফ্রেঞ্চ, চায়নিজ, হিন্দি ও জাপানিজ।
২.Sophia (রোবট সোফিয়া).
এতদিন আমরা জানতাম শুধু মানুষই কোনো দেশের নাগরিকত্ব পায়। কিন্তু বর্তমানে এটা আর ঠিক নয়। রোবট সোফিয়া যেটি প্রথম সৌদি আরবের নাগরিকত্ব লাভ করে। এটি বানানো হয়েছে হংকং বেইসড কোম্পানি। হালসন রোবটিক্স দ্বারা, হালসন যিনি রোবট টি বানান। এটি দেখতে মানুষের মতই, হাত,পা আছে কথা বলতে পারে। মোটকথা এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রাম রয়েছে। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি রোবট, এর মুখ দেওয়া হয়েছে হোলোউড অভিনেতা আরডেই হুপবান এর মত। এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নিউট্রাল নেটওয়ার্ক, বিভিন্ন অ্যালগরিদম যেগুলো হাত পা নাড়াতে সাহায্য করে। মোটর কন্ট্রোল যা রোবটকে চালাতে সাহায্য করে।
৩. Erica ( রোবট ইরিকা)
রোবট ইরিকা, এটি একটি জাপানি রোবট। যেটি বনিয়েছেন জাপানি এক জন বিজ্ঞানী নাম( Hiroshi ishogiri) যিনি জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটির ইন্টেলিজেন্স রোবটিক্স এর সম্পাদক। এই রোবট ও ঠিক রোবট নাইডার মত।
৪.janko chihira ( রোবট জানকো ছিহিরা)
এটি ও একটি জাপানের রোবট যেটি বানানো হয়েছে একটি টুরিস্ট সেন্টারে কাজ করার জন্য। ট্যুরিস্ট এর সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এই রোবট। কারন কুয়েরির মত সকল প্রোগ্রাম এর মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এটিও দেখতে মানুষের মতই। মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, মানুষের মুখ সনাক্তকরণ, তাদের কন্ঠ সনাক্তকরণ, তাদের সমস্ত ডেটা নিজের মেমোরিতে সংরক্ষণ এর সবকিছুর প্রোগ্রাম এর মধ্যে দেওয়া হয়েছে। তাই রোবট কাস্টমারদের সাথে কথা বলতে, তাদেরকে কোনো তথ্য দিতে কোনো সমস্যা হয় না।
৫.jia jia (রোবট জিয়া জিয়া)
এটি চায়নার উদ্ভাবিত একটি রোবট। মানুষের আকৃতির মত করেই এটি বানানো হয়েছে। এতে ক্যামেরার পাশাপাশি বিভিন্ন সেন্সর ও রয়েছে। এতে এমন কিছু প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে যা মানুষের আবেগ, অনুভূতি বঝতে পারে। এটি চায়নার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির একটা টিম বানিয়েছেন।
তার ভেতরে রয়েছে স্পীচ জেনারেশন অ্যালগরিদম যার মধ্যেমে এটি মানুষের কথোপকথন বুঝতে পারে এবং সবকিছু দেখাশোনা করতে পারে।