বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহের পর এক পশলা বৃষ্টি প্রতিটি মানুষের মনেই এনে দেয় এক প্রশান্তির বার্তা। ঝুম বৃষ্টি বা কালবৈশাখের ঝড় সব কিছুই পরিবেশ থেকে রোদের প্রখরতাকে মুছে দিলেও এই ভালোলাগার বৃষ্টিই কখনো বা হয়ে ওঠে মানুষের দুর্ভোগের কারণ। তাই আল্লাহর রহমতের এই বৃষ্টি যেন কোনভাবেই আমাদের জীবনে কোন অনাসৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য আমাদের চাই বাড়তি সতর্কতা।
বৃষ্টির দিনে পরিবেশের আর্দ্রতা থাকে একটু বেশি। ভেজা আবহাওয়া, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ সব কিছু মিলিয়ে কিছু অসুস্থতা আমাদেরকে সহজেই আক্রমণ করে ফেলে। যেমন জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, হাঁচি, এলার্জি সমস্যা ইত্যাদি। এছাড়া ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মত মশাবাহিত রোগ ছাড়াও কলেরা ডায়রায়িার মত পানিবাহিত রোগের প্রকোপও একটু পরিবর্তন আমাদেরকে সুস্থ রাখতে পারে। যেমন:
১. বৃষ্টিকে যথাসম্ভব এডিয়ে ছলতে হবে। তবুও বিভিন্ন প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই সাথে ছাড়া বা রেইন কোট রাখতে হবে। তারপরেও যদি কোন কারণে ভিজে যেতে হয় তাহলে যতদ্রুত সম্ভব ভেজা কাপড় পাল্টে নিতে হবে এবং নিজের শরীর শুকাতে হবে। কোন অবস্থাতেই ভেজা কাপড় থাকা যাবে না। ভেজা কাপড়ে এসি রুমে যাওয়া যাবে না।
২. একসময় রাস্তার পানি জমে থাকে। তাই রাস্তার চলার সময় জমে থাকা পানি দিয়ে হাঁটা যাবে না। এতে পায়ে বিভিন্ন ফাংগাল ইনফেকশন হতে পারে। এক্ষেত্রে সেন্ডেলের পরিবর্তে অনেক রেইনবুট বা জুতা ব্যবহার করতে পারো।
রাস্তার হাঁটার সময় পানির কাছে দিয়ে হেঁটে না যাওয়াই ভালো। এতে রাস্তার গাড়ি যাওয়ার সময় পানি ছিটতে পারে।
৩. বৃষ্টির দিনে খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসময় আর্দ্রতা বেশী থাকায় হজম শক্তি কমে যায়। তাই অতিরিক্ত তেল, ভাজা খাবার, Fast Food পরিহার করে সহজে হজমযোগ্য খাবার খেতে হবে। খুব ঠান্ডা খাবার না খেয়ে হালকা গরম খাবার খেতে হবে।
৪. রাস্তার পাশের খাবার খাওয়া যাবে না। ধুলাবালি বেশি থাকায় Airborne bacteria খাবার প্রবেশ করে। যা পেটে সমস্যা, বদহজম সহ বিভিন্ন রোগের কারণ।
সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সবাই।
বন্ধুরা আমার আর্টিকেল আপনাদের কেমন লাগল অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।