আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?আশা করি সকলে ভালো আছেন সুস্থ আছেন।
বেইমানি নিয়ে উক্তি
সবাইকে পবিত্র ঈদ -উল -আযাহ এর শুভেচ্ছা।আমাদের এই পৃথিবীটা বড়ই বিচিত্র। এইখানে ভালো মানুষের সংখ্যা যেমন কম খারাপ মানুষের সংখ্যা খুবই অধিক।ভালো খারাপের ভিতরে আবার কিছু বেঈমান থাকে যাদের সাথে আপনি হয়তো আজ পেরে উঠবেন না কিন্তু কোন না কোন একসময় আপনি বিজয়ি হবেনই। কারণ জীবনে একটা চলতে গেলে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন তা হলো সময় কাউকে খালি হাতে ফেরায় না।আজ আপনি যদি অন্যের ক্ষতি করেন একসময় তা আপনার উপরেই পড়বে।
উপরের কথা গুলো অনেকটা চিরন্তন সত্য আবার অনেকটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। আজ আমি আপনাদের সামনে কিছু সত্যিকারের বেঈমানের চেহারা তুলে ধরব। ঘটনাটা ২০০৭ সালের দিকের।তখন আমি পঞ্চম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। পড়াশোনা এবং খেলাধুলা এইসব নিয়ে চলছিলো সময়।আমার পাশের বাসায় ছিলো আমার এক ক্লাসমেটের বাসা।যে সবসময় আমার সাথে সবকিছুতেই প্রতিযোগিতা করতে চাইতে।বিষয়টি সাধারন ভাবে সবাই বিবেচনা করতো।আমরা প্রায় একসাথে পড়াশোনা করতাম।একসাথে স্কুলে যেতাম এমনকি একই শিক্ষকের কাছে আমরা প্রাইভেট পড়তাম।
কিন্তু সে যে বন্ধুরুপী বেঈমান তখনও বিষয়টি অজানা ছিলো। সে আমরা যেই স্যারের কাছে পড়তাম সেই স্যারকে অন্যায় ভাবে পরীক্ষার পূর্বে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়ার অভিযোগ আনে।এই অভিযোগের ভিত্তিতে স্যারকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়।বিষয়টি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কারণ সেই স্যার আমাদের পড়ানো সত্ত্বেও কখনোই সেই স্যার আমাদের খাতা কাটতেন না। অন্য স্যার ম্যাডামদের দিয়ে আমাদের খাতা কাটাতেন।বিনিময়ে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক তাকে পরবর্তী শ্রেনীতে প্রথম স্থান অধিকার করতে সহায়তা করে থাকে। স্যারের সাথে বেঈমানি করার পর আমি আর তার সাথে কথা বলতাম না।তবুও সেই ছেলে নানাভাবে আমার নোট খাতা নেবার চেষ্টা করতো।
যাইহোক স্যারকে বিদায় করে দেবার পরও আমি স্যারের কাছে পড়তাম।দেখতে দেখতে আমাদের বৃত্তি পরীক্ষাও চলে এলো। স্যারের অশেষ রহমতে আমি বৃত্তি পেলেও স্যারের সাথে অন্যায়কারী সেই ছাত্র আর বৃত্তি পায় নি।শুধু বৃত্তিই নয় স্যারের সাথে বেঈমানি করবার কারনে সে আর কখনোই পড়াশোনা করতে পারে নি।আসলে বেঈমানি করে জীবনে কেউ কখনোই সুখী হতে পারে না। একদিন না একদিন তার শাস্তি পায়ই।
আজকের পোস্টটি কোন গল্প নয় বরং একটি সত্যিকারের কাহিনি।বেঈমানি জিনিসটি খুবই খারাপ। কারণ কেউ উপকার করলে আপনি তার অপকার করবেন সেই সাথে আপনি তার পিঠ পিছে তার ক্ষতি করবেন সেটা বেঈমানি ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। চেষ্টা করবেন যাতে আপনার দ্বারা কারো উপকার না হলেও অন্তত বেঈমানি করবার মতো ক্ষতি না হয়।সকলে ঘরে থাকে পরিবারের সাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে ঈদ উজ্জাপন করুন ।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন