আসসালামুয়ালাইকুম
হাজির হলাম সি প্রোগ্রামিং বাংলা টিউটোরিয়াল পার্ট-২ নিয়ে। আজ আমরা সি প্রোগ্রামিং এর বেসিক স্ট্রাকচার নিয়ে আলোচনা করব। তো ঝটপট কম্পিউটার অন করুন এবং কোডব্লকস ওপেন করুন। লেখাটি পড়ার সাথে সাথে অনুশীলন করতে হবে। তাহলে সহজেই আয়ত্ত করা যাবে।
শুরুতে একটি ছোট আর সহজ কোড দিয়ে পৃথিবীকে হ্যালো জানানো যাক।
#include<stdio.h>
main()
{
printf(“HELLO WORLD!!!”);
}
পৃথিবীর সবথেকে ছোট আর আমার জীবনের প্রথম কোড হচ্ছে এই কোড টি। কোড টি দেখে দেখে টাইপ করে ফেলুন আপনার কোড ব্লকস এর উইন্ডো তে। উপরে বিল্ড লেখা অপশন থেকে বিল্ড করুন, বিল্ড করার পরে রান অপশন থেকে রান করুন।
সুতরাং এখন থেকে আপনি এই কোডের দুনিয়ায় পা রাখলেন। প্রোগ্রামিং এর জগতে আপনাকে স্বাগতম!!!
এবারে জানা যাক কিভাবে কাজ করল এই কোডটি।
১ম লাইনঃ #include<stdio.h>
পার্ট-১ এ আমি হেডার ফাইল এর কথা বলেছিলাম, মনে আছে নিশ্চয়ই! এখানে stdio.h হচ্ছে আমাদের হেডার ফাইল। হেডার ফাইল কে কোড এ ইনক্লুড করার স্ট্রাকচার হচ্ছে #include<stdio.h>। এখানে <…> চিহ্নের মাঝে হেডার ফাইল টি রাখতে হবে।আর হ্যাঁ, এই লাইনটি আপনার কোড এর সাথে বিল্ট ইন ফাংশন এর লিঙ্ক করাবে। এটি কম্পিউটারকে আপনার দেয়া কোন ইন্সট্রাকশন বা নির্দেশনা নয়। তাই এই লাইনের পরে কোন সেমিকোলন (;) ব্যবহার হবেনা। কোন হেডার ফাইল এ কোন কোন বিল্ট ইন ফাংশন থাকবে সেটা মনে রাখতে হবে। যেমন এখানে printf() বিল্ট ইন ফাংশনটি ব্যবহার করা হয়েছে, যার হেডার ফাইল হচ্ছে <stdio.h>। অর্থাৎ printf() এর ফিক্সড ইন্সট্রাকশনগুলো এই হেডার ফাইল এ রয়েছে।
২য় লাইনঃ main()
এই main() থেকেই আসলে কোডের কাজ শুরু হয়। main() কে বলা হয় কিওয়ার্ড। কিওয়ার্ড গুলো ফিক্সড। সি প্রোগ্রামিং এ সর্বোমোট ৩২টি কিওয়ার্ড রয়েছে। কম্পিউটার এই main() থেকেই মুলত ইন্সট্রাকশন নেয়া শুরু করে। কারন বিল্ট ইন ফাংশন এর ইন্সট্রাকশন তো আমাদের দিতেই হয়না।
{ … } এর পর ২য় বন্ধনী। যার কথাও পার্ট-১ এ বলা আছে।সমস্ত ইন্সট্রাকশন বা নির্দেশনা এই ২য় বন্ধনীর মধ্যে রাখতে হবে।
শেষ লাইনঃ printf(“HELLO WORLD!!!”);
পার্ট-১ এ আমরা জেনেছি বিল্ট ইন ফাংশন কি। এখানে printf() একটি বিল্ট ইন ফাংশন যার সেট আপ করা আছে হেডার ফাইল <stdio.h> এ। printf() ফাংশন এর কাজ হচ্ছে যা কিছু এর ভিতর পাবে সেটা প্রিন্ট করে দেখাবে।আপনি যেটা প্রিন্ট করতে চান সেই লেখাগুলোকে অবশ্যই স্ট্রিং আকারে লিখতে হবে।স্ট্রিং আকারে লিখতে হলে যে কোন লেখা কে “…” (ডাবল কোটেশন) এর মধ্যে লিখলেই সেটা কম্পিউটারের কাছে স্ট্রিং বলে গন্য হবে। যেমন এখানে “Hello World!!!” একটি স্ট্রিং। printf() ফাংশন এর ভিতরে “…” (ডাবল কোটেশন) এর মধ্যে যাই লিখবেন সেটাকে স্ট্রিং আকারে গন্য করে কম্পিউটার কোনোরকম পরিবর্তন ছাড়াই ঐ স্ট্রিং অর্থাৎ আপনার লেখাকে প্রিন্ট করে দেবে।
তো আপনি যখন কোডটি রান করান তখন কম্পিউটার লাইন বাই লাইন স্টেটমেন্ট রিড করে আর সে অনুযায়ী কাজ করে।
এই কোডটি রান করানোর পর কম্পিউটার ১ম লাইন মানে হেডার ফাইল টা দেখে নেয়। এরপর ২য় লাইন মানে main() কিওয়ার্ড টি পেলে main() এর ভিতরে রিড করে। এরপর ৩য় লাইন অর্থাৎ printf(“HELLO WORLD!!!”);যখন পায় তখন সে printf() এর যে কাজ সেটা করে। অর্থাৎ “…” (ডাবল কোটেশন) এর ভিতরে যা পাবে সেটা প্রিন্ট করে দেবে রেজাল্ট উইন্ডোতে। আর এই কাজগুলো কম্পিউটার ১সেকেন্ডের ও কম সময়ের মধ্যে করে দিতে পারে। রান করার পুর্বে কোডটি সেইভ করে নিতে ভুুুুুলবেন না।
আজ এ পর্যর্ন্তই। পার্ট-৩ নিয়ে আসছি শীঘ্রই। অবশ্যই যে কোন সমস্যায় কমেন্ট করতে দেরি করবেন না।
ডেভেলপার দেড় জন্য রেকমেন্ডেড ইউটিউব চ্যানেল
আস্সালামুআলাইকুম। আমার আজকের পোস্টটি হল সেরা ইউটিউব চ্যানেল কোনটি যা আমি নতুনদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে এবং এছাড়াও...