আপনারা হয়তো অনেকে ব্যাকলিংক সম্পর্কে জানেন। আবার অনেকে রয়েছে যাদের ব্লগার ওয়েবসাইট রয়েছে কিন্তু ব্যাকলিংক সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেয়। ব্যাকলিংক এমন একটি জিনিস যেটা প্রত্যেক ব্লগার ওয়েবসাইট এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনাদের যাদের মনে ব্যাকলিংক নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন জাগে তাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট টা। আপনি যদি ব্লগার ওয়েবসাইটে নতুন হয়ে থাকেন কিংবা ব্যাকলিংক সম্পর্কে যদি পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা বা ধারণা না থাকে তাহলে আজকের এই পোস্ট টি আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। কেননা আজকের এই পোস্টের মধ্যে আমি আপনাদের কে শেয়ার করবো ব্যাকলিংক নিয়ে নানা ধরনের তথ্য। তাই ব্যাকলিংক সম্পর্কে এসব প্রশ্নের সমাধান পেতে আজকের পোস্টটা। তো চলুন আর দেরি না করে আজকের পোস্টটি শুরু করা যাক।
🢂 ব্যাকলিংক কি
🢂 ইন্টার্নাল লিংক
🢂 এক্সটার্নাল লিংক
🢂 ব্যাকলিংক কেন প্রয়োজন?
🢂 ডোমেইন অথোরিটি বাড়ানোর জন্য ব্যাকলিংক কাজ করে কি
🢂 ব্যাকলিংক করে ডোমেইন অথোরিটি বাড়িয়ে কি লাভ?
🢂 ব্যাকলিংক কিভাবে পাবেন?
🢂 ব্যাকলিংক কত প্রকার ও কি কি?
🢂 ব্যাকলিংক কি এসইওতে সাহায্য করে?
🢂 কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় কি?
🢂 কি ধরনের Backlink তৈরি করা উচিত?
🢂 ফ্রিতে কি ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়?
🢂 ফ্রিতে কি ব্যাকলিংক তৈরি করার সময় কি কি সমস্যায় পড়তে পারেন?
🢂 পেইড ব্যাকলিংক তৈরি করার সুবিধা কি
🢂 গ্রাথোর আইটি থেকে সার্ভিস নেওয়ার সুবিধা
🢂 গ্রাথোর আইটি ব্যাকলিংক প্যাকেজ সমুহ
🢂 শেষকথা
ব্যাকলিংক কি 🔗
আপনারা যারা ব্যাকলিংক জিনিসটা কি এটা সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এই প্যারা টা অনেক হেল্পফুল হবে। আপনি যদি ব্যাকলিংক কি এটা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনার থেকে আগে জানতে হবে লিংক কি। আমরা হয়তো অনেকে জানি লিংক কি? তো যারা জানি না যে লিংক কি তাদের জন্য বলছি, লিংক হলো এমন একটি ঠিকানা যার মাধ্যমে একটা ওয়েবসাইট থেকে অন্য একটা ওয়েবসাইট, একটি পোস্ট থেকে অন্য একটি পোস্ট কিংবা একটি পেইজ থেকে অন্য একটি পেইজে সহজে যেতে পারবেন। যদি কোনো একটি ওয়েবসাইট বা পোস্ট কিংবা পেইজে কোনো একটা কিছুর একটা ঠিকানা বা লিংক যুক্ত করে দেওয়া হয় যার মাধ্যমে আপনি উক্ত লিংকে ক্লিক করে অন্য একটি পোস্ট বা পেইজে কিংবা ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন সহজেই। আশা করি লিংক কি এটা আপনারা ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছেন। আবার লিংক হলো ২ ধরনের। একটি হলো ইন্টার্নাল লিংক (Internal Link) এবং অন্যটি হলো এক্সটার্নাল লিংক (External Link)। বাংলায় আর্টিকেল লেখালেখি করে ইনকাম করতে চান?
ইন্টার্নাল লিংক 🔗
ইন্টার্নাল লিংক হলো এমন একটি লিংক যে লিংক বা ঠিকানার মাধ্যমে একই ওয়েবসাইট এর মধ্যে একটি পোস্ট এর সাথে আরেকটি পোস্ট এর লিংক যুক্ত করা। অর্থাৎ এটি হলো Grathor.com ওয়েবাসাইটের একটি পোস্ট। এই পোস্ট এর মধ্যে যদি Grathor.com এর অন্য একটি পোস্ট যেমন https://grathor.com/earn-money-by-bangla-article-writing/ এই পোস্ট এর লিংক যুক্ত করি তাহলে আপনি যদি উক্ত লিংকে ক্লিক করেন তাহলে একই ওয়েবসাইট এর মধ্যে অন্য একটি পোস্টে প্রবেশ করবেন। মূলত এটাই হলো ইন্টার্নাল লিংক।
এক্সটার্নাল লিংক 🔗
এক্সটার্নাল লিংকটি পুরোটাই হলো ইন্টার্নাল লিংকের বিপরীত। অর্থাৎ আমরা ইন্টার্নাল লিংকের মধ্যে দেখেছি একটি ওয়েবসাইট এর ভেতরে একটি পোস্ট এর সাথে ওই একই ওয়েবসাইট এর অন্য একটি পোস্ট এর লিংক যুক্ত করা। আর এক্সটার্নাল লিংক হলো একটি ওয়েবসাইট এর অধীনে অন্য একটি ওয়েবসাইট এর পোস্ট বা অন্য একটি ওয়েবাসাইট এর লিংক সংযুক্ত করা। যেমনঃ আমরা এখন পড়ছি Grathor.com এর এই পোস্টটি। এখন আমি যদি এই পোস্ট এর মধ্যে অন্য একটি ওয়েবসাইট এর একটা পোস্ট এর লিংক যুক্ত করি সেটা হবে এক্সটার্নাল লিংক। যেমনঃ অন্য একটি ডোমেইন বা সাইট হল Grathor-IT.com আপনি যদি এই লিংকে ক্লিক করেন তাহলে আপনাকে গ্রাথোর আইটির ওয়েবাসাইটে নিয়ে যাবে। এই এক ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়ার লিংক কেই বলা হয় এক্সটার্নাল লিংক।
এবার আসি ব্যাকলিংকে। ব্যাকলিংক হলো মূলত এক্সটার্নাল লিংক। এই এক্সটার্নাল লিংককেই ব্যাকলিংক বলা হয়ে থাকে। বিষয়টি ভালো ভাবে বুঝানোর জন্য আবারো বলছি ধরুন আপনি আছেন এখন Grathor.com এই ওয়েবসাইটে। আপনি যদি এখন Grathor-IT.com এই লিংকে ক্লিক করেন তাহলে আপনাকে গ্রাথোর আইটি এই ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে এবং এটা হলো গ্রাথোর আইটি ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক। আমাদের (Grathor.com) সাইটের এক্সটার্নাল লিংক গুলো অন্য সাইটের জন্য ব্যাকলিংক।
ব্যাকলিংক কেন প্রয়োজন?
ব্যাকলিংক সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আমরা জেনে গিয়েছি। এখন আমরা জানবো ব্যাকলিংক কেন প্রয়োজন এই সম্পর্কে। চলুন কেন প্রয়োজন তা আমরা একটি উদাহরণ এর মাধ্যমে জেনে নিই। ধরুণ আপনি একজন নেতা। আপনি নেতা হওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই অনেক মানুষের সাপোর্ট রয়েছে বপনার পিছনে। যার ফলে আপনি নিজেকে অনেক শক্তিশালী মনে করেন। ঠিক এমনটাই হলো ব্যাকলিংক। মূলত ব্যাকলিংক ৩ ভাবে আমাদের জন্য প্রয়োজন হয়।
১. গুগলের কাছে আমাদের আর্টিকেল গুলো কে অধিক রেংক করানোর জন্য ব্যাকলিংক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন আমাদের আর্টিকেল গুলো অন্য ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পায় তখন সেটি গুগল সার্চ অপশনে অধিক গুরুত্ব পায়। যার ফলে অধিক রেংক করে।
২. অধিক হারে ভিজিটর আনতে ব্যাকলিংক প্রয়োজন। আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলো অন্য ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পায় তখন গুগল আপনার ওয়েবসাইট কে অধিক গুরুত্ব দেয়। যার ফলে অনেক অর্গানিক ভিজিটর আসে।
৩. অথোরিটি বাড়ানোর জন্য ব্যাকলিংক প্রয়োজন। যখন আমাদের ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল গুলো অন্য ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পায় তখন এর ভালো মানের অথোরিটি তৈরি হয়। তাই এর জন্য ব্যাকলিংক প্রয়োজন।
ডোমেইন অথোরিটি বাড়ানোর জন্য ব্যাকলিংক কাজ করে কি
ডোমেইন অথোরিটি কে সংক্ষিপ্ত ভাবে DA বলা হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস একটি ওয়েবসাইট এর জন্য। একটি ওয়েবসাইট এর যত বেশি ডোমেইন অথোরিটি থাকবে ওই ওয়েবসাইটটা গুগলে তত বেশি রেংক করবে। তাই ডোমেইন অথোরিটি বাড়ানোর জন্য অধিক হারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেটি সেটি হলো ব্যাকলিংক। ওয়েবসাইট এর ডোমেইন অথোরিটি বাড়ানোর জন্য আপনার থেকে ভালো ভালো ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নিতে হবে। এর ফলে আপনার ডোমেইন অথোরিটি বাড়বে।
ব্যাকলিংক করে ডোমেইন অথোরিটি বাড়িয়ে কি লাভ?
ব্যাকলিংক করে ডোমেইন অথোরিটি বাড়িয়ে অনেক ধরনের লাভ রয়েছে। আপনি যদি বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ গিয়ে ভালো ভালো পোস্ট কমেন্ট করে আপনার ওয়েবসাইট এর লিংক যুক্ত করে দেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তাহলে সেখান থেকে অনেক ভিজিটর আসবে। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটটা অধিক হারে গ্রোথ করতে শুরু করবে। আর আপনি যদি টপ টপ ওয়েবসাইট গুলো থেকে ব্যাকলিংক নেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট কে গুগল গুরুত্ব বেশি দিবে যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট ও রেংক করা শুরু করবে এবং অর্গানিক ভিজিটর বেশি আসবে।
ব্যাকলিংক কিভাবে পাবেন?
ব্যাকলিংক পাওয়ার অনেক গুলি মাধ্যম রয়েছে, তবে হ্যাঁ – কিছু কিছু ওয়েবসাইট এর কাছ থেকে ব্যাকলিংক ফ্রিতে আর কিছু কিছু ওয়েবসাইট থেকে টাকা দিয়ে ব্যাকলিংক নিতে হবে। যেমন: আপনি যদি কোনো ওয়েবসাইট এর পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করেন এবং আপনার লিংক যুক্ত করে দেন তাহলে সেটি যদি এপ্রোভ হয় তাহলে আপনি একটি ব্যাকলিংক পেয়ে যাবেন। আবার আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখে লিংক যুক্ত করার মাধ্যমে ব্যাকলিংক পাবেন, যদি সেসব ওয়েবসাইট গুলো আপনাকে ফ্রিতে বা পেইড ভাবে পোস্ট লিখার সুযোগ দেয়। আবার আপনি চাইলে বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্ম গুলোতে প্রোফাইল এর মধ্যে যেখানে ওয়েবসাইট যুক্ত করার লিংক থাকে সেখানে আপনি লিংক যুক্ত করতে পারবেন। আবার বিভিন্ন ফরাম পূরণ করার সময় ও যদি ওয়েবসাইট যুক্ত করার অপশন থাকে তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইট যুক্ত করে ব্যাকলিংক পাবেন। বাংলায় আর্টিকেল লেখালেখি করে ইনকাম করতে চান?
ব্যাকলিংক কত প্রকার ও কি কি?
আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি ব্যাকলিংক কি। এখন আমরা জানবো ব্যাকলিংক কত প্রকার ও কি কি। ব্যাকলিংক কত ধরনের রয়েছে এবং কি কি তা ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো।
১. নো ফলো ব্যাকলিংক: এটি একটি জনপ্রিয় ব্যাকলিংক। এই লিংকের মাধ্যমে অন্য ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া ব্যাকলিংক গুলো কে নো ফলো আকারে ট্যাগ করা হয়। নো-ফলো লিংক থেকে শুধুমাত্র ভিজিটর পেতে পারেন, যেহেতু নো-ফলো ট্যাগ দেওয়া তাই গুগল Bot এই লিংকগুলকে Ignore করে যার জন্য এই লিংক তেমন কোনো কাজে আসে না ।
২. ডু ফলো ব্যাকলিংক: ডু ফলো ব্যাকলিংক হলো একটি জনপ্রিয় ব্যাকলিংক। এই লিংকের মাধ্যমে অন্য ওয়েবসাইট থেকে আসা ব্যাকলিংক কে ডু ফলো আকারে ট্যাগ করা হয় তখন সে লিংকটি ডু ফলো আকারে পরিণত হয়। অর্থাৎ আপনি যদি ওই লিংকে ক্লিক করেন তাহলে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে ওই ঠিকানা অনুযায়ী। গুগলে ওয়েবসাইট রেংক করানোর জন্য এই লিংক অনেক কাজে দেয়। তাই এই লিংক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে একটি ওয়েবসাইট কে রেংক করাতে।
ব্যাকলিংক কি এসইওতে সাহায্য করে?
হ্যাঁ! ব্যাকলিংক এসইওতে অনেক ভাবে সাহায্য করে। একটি ওয়েবসাইট এর জন্য এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যত ভালো এসইও করবেন তত বেশি আপনার ওয়েবসাইট গুগলে রেংক করবে। আর এসইও প্রোপার ভাবে করতে অধিক ভাবে সাহায্য করে ব্যাকলিংক। আপনি যত ভালো মানের ব্যাকলিংক নিবেন ততই আপনার ভালো এসইও হবে এবং ওয়েবসাইট গুগলে রেংক করবে।
কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় কি?
কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাকলিংক তৈরি করার ২টি পদ্ধতি: ১/ ফ্রি পদ্ধতি (মানে নিজে তৈরি করা যারা ফ্রিতে ব্যাকলিংক দেয় তাদের কাছ থেকে)। ২/ পেইড পদ্ধতি (নিজে একটা একটা ওয়েবসাইট থেকে কিনুন নাহয় কোন সার্ভিস প্রদানকারীর কাছ অর্ডার করুন)। আপনি যদি ভালো মানের কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাকলিংক তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো মানের ওয়েবসাইট হতে আপনার ব্যাকলিংক নিতে হবে। কখনোই লো কোয়ালিটি সম্পন্ন ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নিবেন না এতে আপনার রেঙ্ক এ আসবেই না উলটো Spam Score বেশি হয়ে ডাউন হবে। ভালো মানের ব্যাকলিংক নেয়ার জন্য অন্যতম ওয়েবসাইট হলো Grathor-it.com। ⭐⭐⭐⭐⭐ (5 star) রেটিং সম্পন্ন। আপনি এই ওয়েবসাইট হতে ব্যাকলিংক নিলে অনেক ভালো মানের ব্যাকলিংক পাবেন।
কি ধরনের Backlink তৈরি করা উচিত?
এমন ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে যে Backlink গুলো অনেক কোয়ালিটি মানের হবে তবে হ্যাঁ ডু-ফলো লিংক তৈরি করার চেষ্টা করবেন কারন গুগল ডু-ফলো লিংক গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভালো মানের ব্যাকলিংক তৈরির কোনো বিকল্প নেই। কেননা ভালো মানের ব্যাকলিংক-ই পারে আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের কাছে বিশ্বস্ত করে তুলতে পারে। তাই সবসময় কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে। ⭐⭐⭐⭐⭐ (5 star) রেটিং সম্পন্ন গ্রাথোর আইটির ব্যাকলিংক প্যাকেজ গুলো দেখে আসতে পারেন।
ফ্রিতে কি ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়?
আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ব্যাকলিংক তৈরিতে একটু হিমশিম খেতে হবে। যেহেতু একটি ব্যাকলিংক একটি ওয়েবসাইট কে গুগলের কাছে রেংক করাতে সাহায্য করে সেহেতু ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করা একটু তো কষ্ট সাধ্য হবেই। তবে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পোস্ট এর মধ্যে কমেন্ট করেও আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন যদি তারা ফ্রিতে দেয়। আবার বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যারা অন্যদের কে পোস্ট লিখার সুযোগ দেয়। আপনি চাইলে তাদের ওয়েবাসাইটে পোস্ট লিখেও আপনি কৌশলে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন ফ্রিতে।
ফ্রিতে কি ব্যাকলিংক তৈরি করার সময় কি কি সমস্যায় পড়তে পারেন?
আপনি ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করলে নানান ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। যেমন আপনার ওয়েবসাইট যদি নতুন হয় বা আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট গুলি যদি ভালো মানের না হয় তাহলে আপনাকে কোনো ওয়েবসাইট ব্যাকলিংক দিতে চাইবে না। তাই আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের কন্টেন্ট লিখতে বা তৈরি করতে হবে। ফ্রিতে ব্যাকলিংক নিলে সবথেকে বড় সমস্যা হতে পারে হচ্ছে – যেহেতু ফ্রি ব্যাকলিংক তাই আপনার লিংক তারা যেকোনো সময় মুছে ফেলে বা ডিলিট করে দিতে পারে। যার ফলে ব্যাকলিংক আপনি পেয়েও হারাতে পারেন।
পেইড ব্যাকলিংক তৈরি করার সুবিধা কি
১/ হাই ডোমেইন অথোরিটি থেকে ব্যাকলিংক পাবেন।
২/ ব্যাকলিংক পার্মানেন্ট হবে মানে কখনোই মুছে ফেলা হবে না।
৩/ স্পাম স্কোর কম হবে যার ফলে আপনার রেঙ্ক হওয়া ছাড়া কোন ক্ষতিই হবেনা।
৪/ প্রতিটা ব্যাকলিংক গুগল ফ্রেন্ডলি হবে।
৫/ অবশ্যই ডু-ফলো পাবেন।
গ্রাথোর আইটি থেকে সার্ভিস নেওয়ার সুবিধা
গ্রাথোর আইটি থেকে সার্ভিস নিলে উপরের সুবিধা গুলোর সাথে নিচের ৩ টি সুবিধা যোগ হবে।
১/ ব্যাকলিংক পোস্ট করার জন্য যে আর্টিকেল গুলো লাগে সেগুলো গ্রাথোর আইটি লিখে দিবে ফ্রিতে।
২/ ব্যাকলিংক ইনডেক্সিং সুবিধা।
৩/ সবথেকে বড় কথা আপনার কোন কাজ ই করতে হবে না।
গ্রাথোর আইটি ব্যাকলিংক প্যাকেজ সমুহ
১/ ব্যাকলিংক বেসিক প্ল্যান ➵বিস্তারিত জানতে এবং অর্ডার করতে এখানে ➵ Backlink Basic Plan (⭐⭐⭐⭐⭐)
২/ ব্যাকলিংক প্রো প্ল্যান ➵ বিস্তারিত জানতে এবং অর্ডার করতে এখানে ➵ Backlink Pro Plan (⭐⭐⭐⭐⭐)
৩/ ব্যাকলিংক অ্যাডভান্স প্ল্যান ➵ বিস্তারিত জানতে এবং অর্ডার করতে এখানে ➵ Backlink Advance Plan (⭐⭐⭐⭐⭐)
শেষকথা:
ব্যাকলিংক নিয়ে যত ধরনের আলোচনা আছে সব এই পোস্টেই করা হয়েছে। আশা করি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পরলে আপনি ব্যাকলিংক সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবেন। আর হে আর কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।