আসসালামুয়ালাইকুম। আমি প্রথমেই বলে দেই, যারা পর্ব ১ পড়েন নাই। তারা নিচের লিংকে ক্লিক করে,দেখে নিবেন।
পর্ব ১ লিংক:https://grathor.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b9%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a7%88%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%93-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%a8/
ব্রহ্মদৈত্য ও ২ বামুনের গল্প। পর্ব ২
মাঝির কাছে আসতেই। মাঝি জিজ্ঞেস করল, ঠাকুর মশাই এটা কোথায় যাবেন?-যাব ওপারে।-ওপারে? ওপারে তোর জঙ্গল। মাঝি অবাক হয়ে বললো ।-জঙ্গলেই যাব আমরা। বড় বামন বলল।_আপনারা ঔ জঙ্গলে যাবেন! মাঝে যেন আকাশ থেকে পড়লো। কেন কি হয়েছে, বড় বাওনা জিজ্ঞেস করল।-ও জঙ্গলে তো মানুষরা যায় না। মাঝি বলল।
বড় বাওনা বললো,বুনো জন্তুর খুব উৎপাত বুঝি। –না, তা নয়। এই মানে…. মাঝি কি বলতে গিয়ে থেমে গেল -বল, কি বলছিলে? বলতে গিয়ে থেমে গেলে কেন? -লোকে বলে রাতের বেলা যাদের নাম করতে নেই, তারা নাকি ওই বনে থাকে।
ও বুঝেছি, তুমি ভূত-প্রেতের কথা বলছো। তোমার কোন ভয় নেই। কোন ভুত-প্রেত আমাদের কাছে ঘেষতে পারে না। যদি আসে তবে আমরা রাম নাম যব করব। ভূত-প্রেত পালাবার পথ পাবে না। একথা বলে বড় বামন মাঝের দিকে তাকিয়ে হাসলো। মাঝি বলল, আমি কিন্তু আপনাদের উপরে নামিয়ে দিয়েই চলে আসব। ওখানে বেশিক্ষণ থাকবার সাহস আমার নেই।-
বেশ, তাই করো তুমি। ছোট বামন বলল। মাঝি দুজনকে নদী পার করে দিল। দুজন ঢুকলো জঙ্গলের ভিত। বিরাট জঙ্গল। তবে ঘন নয়। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়া যায়। মাঝেমধ্যে ভাঙাচোরা ঘর বাড়ি দেখা যায়। বেশ বোঝা যায় এককালে এখানে জঙ্গল ছিল না, ছিল মানুষজনের বসতি। অবাক কান্ড। বনের কোন দিক থেকে পশুপাখি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। চারদিক নিথর-নিঝুম। দুজনের পায়ের শব্দ ছাড়া আর কিছু শোনা যাচ্ছে না। অনেকদূর এগোবার পর একটা অদ্ভুত শব্দ শুনা গেল। খটাশ…… খট..খট একজোড়া বিরাট খড়ম পায়ে দিয়ে কে যেন এগিয়ে আসছে। একটু পরেই যে এগিয়ে আসছিল তাকে দেখে গেল। গাছপালার আড়াল থেকে বেরিয়ে এল এক বিরাট মূর্তি। লম্বা অত্যন্ত ৮-৯ হাত, মাথাটা কামানো। সেখান থেকে পুষ্ট একগাছা টিকি নেমে এসেছে কাঁধ পর্যন্ত। গলায় ধবধবে সাদা পুতি। এই নির্ঘাত ব্রহ্মদৈত্য।
তো বন্ধুরা পর্ব দুই এ পর্যন্ত থাক। এই পর্বটি এপ্রুভ হওয়ার সাথে সাথে পর্ব ৩ দিয়ে দিব।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। আসসালামুয়ালাইকুম।