আসসালামুয়ালাইকুম।
আমি প্রথমেই বলে দেই যারা আগের পর্বগুলো পড়েন নাই। তারা নিচের লিঙ্ক থেকে পড়ে নিবেন।
ব্রহ্মদৈত্য ও দুই বামুনের গল্প। পর্ব ১
ব্রহ্মদৈত্য ও দুই বামুনের গল্প। পর্ব ২
ব্রহ্মদৈত্য ও দুই বামুনের গল্প। পর্ব ৩
ঘড়ম পায়ে খটাশ খট্ খট্ খট্ শব্দ করতে করতে এগিয়ে আসতে লাগল ব্রহ্মদৈত্য। তার পিছু পিছু আসতে লাগল অনেকগুলো কালো কালো ভূত। ভূত গুলোর চেহারা লিকলিকে। অনুভূতি লম্বায় পাঁচ হাতের কম নয়। একেকটা আবার সাত হাত আট হাত লম্বা। ব্রহ্মদৈত্য আর ভূতের দল দুই বামনের চোখ কপালে উঠলো। তারা ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপতে লাগল। ভূতগুলো তোদের দুজনকে দেখে নাকি সুরে চিৎকার করে উঠলো-
‘হাউ মাউ খাউ
মানুষের গন্ধ পাও’
_তোরা চুপ কর। ব্রহ্মদৈত্য এক ধমকে ভূতের দল কে থামিয়ে দিল। তারপর নিজেই এগিয়ে এসে, বড় বাওনা কে জিজ্ঞেস করল, তুই কে? কি চাস এখানে? বড় বাওনা তো খুব ভয় পেয়ে গেয়েছিল। সে কাঁপতে কাঁপতে বলল, ব্রহ্মদৈত্যি ঠাকুর, আমরা খুব গরীব! অভাবে আমাদের সংসার অচল হয়ে পড়েছে। আমরা টাকা রোজগারের আশায় বিদেশে এসেছি। ব্রহ্মদৈত্য এবার ছোট বাওনার দিকে তাকিয়ে বললো, তোর কিছু বলার আছে? ছোট বাওনাতো আরো ভয় পেয়েছে। সে বড় বাওনার পিছনে লুকিয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললো, আমিও খুব গরিব। আমি দাদার সঙ্গে বেরিয়েছি কিছু রোজগারের চেষ্টায়। ব্রহ্মদৈত্য বলল, গাছপালার আড়ালে ওই যে একখানা ভাঙ্গাবাড়ী দেখা যাচ্ছে, সোজা ওখানে চলে যা। ওখানে একখান শাবল দেখতে পারবি। সেখানা নিয়ে আমার কাছে আয়। ব্রহ্মদৈত্যর কথামত বড় বাওনা আর ছোট বাওনা শাবল নিয়ে এলো।
-এবার চল আমার সঙ্গে।
দু’জনে ব্রহ্মদৈত্যর পিছু পিছু চললো। বনের মধ্যে একটা তিনকোনা ফাঁকা জায়গা। ব্রহ্মদৈত্য বললো, ওখানে মাটি খোড়। কিছুক্ষণ খুড়বার পরই ঠং করে একটা আওয়াজ হলো। কোন ধাতুর পাত্রের গায়ে শাবলের আঘাত লেগেছে।
ব্রহ্মদৈত্য বলল, এবার সাবধানে খোড়।
আরো কিছুক্ষণ খুড়বার পর মাটির তলা থেকে বেরিয়ে পড়লো একটা মুখবন্ধ পিতলের কলসি।
—কলসিটাকে উপরে তুলে মুখ খোল। ব্রহ্মদৈত্য বলল। পর্ব ৩ এ পর্যন্তই। পর্ব ৩ অ্যপোরভ হওয়ার সাথে সাথেই পর্ব ৪ দিয়ে দিব। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আসসালামুয়ালাইকুম।