আসসালামুয়ালাইকুম।
আমি শুরুতেই বলে দেই যারা পর্ব-৩দেখেন নাই। তারা নিচের লিংকে ক্লিক করে পর্ব ৩ দেখে নিবেন।
📢 Promoted post: বাংলায় আর্টিকেল লেখালেখি করে ইনকাম করতে চান?ব্রহ্মদৈত্য ও দুই বামুনের গল্প। পর্ব ৪। সর্বশেষ পর্ব।
কিছুটা বেগ পেতে হলেও শেষ পর্যন্ত কলসিটার বন্ধ মুখ খোলা গেল। ব্রহ্মদৈত্য বাজখাঁই গলায় গর্জন করে উঠল। কি দেখছিস ভিতরে। বড় বামন বলল, দেখছি মোহর। এখানে মাটির তলায় আরো অনেক মোহর ভরা কলসি রয়েছে। ইচ্ছে করলে তোরা সবগুলো মোহরের কলসি পেতে পারিস। পেলে তোরা রাজার মত বড়লোক হয়ে যাবি। কিন্তু সেগুলো পেতে হলে তোদের আগে একটা কাজ করতে হবে। বড় বাওনা ভয়ে ভয়ে বলল। কি কাজ? তোরা যদি গয়ায় আমাদের নামে পিন্ডি দিয়ে আসিস তবে তোরা এই বিপুল ধন রতনের মালিক হবি। কিছু মোহোর নিয়ে তোরা গয়াচলে যা। তোরা পিন্ডি দিলেই আমরা মুক্তি পাব। তোরা এই তেকোনা জায়গাটা খুরলেই অনেকগুলো মোহর ভরা কলসি পাবি। কিন্তু সাবধান তোরা যদি পিন্ডি না দিয়ে মোহরের কলসি তুলতে আসিস তবে তোদের ঘাড় মটকে দেব। ব্রহ্মদৈত্য ইশারা করতেই দুটো লম্বা ভূত লম্বা পা ফেলে এগিয়ে এসে দুই বামনকে কাঁধে তুলে নিল। ব্রহ্মদৈত্য বলল ওদের কাছ থেকে আমাদের সবাইকার নাম পেয়ে যাবি। আয়াতে বিষ্ণু পদে পিন্ডি দিয়েই দুই ব্রাহ্মণ আবার সেই জঙ্গলে ফিরে এলো। এসে দেখে পুরো জঙ্গল রুপি পাল্টে গেছে। গাছে গাছে নানা পাখি,তাদের মিষ্টি সুর। ভূত নেই। তারা সবাই মুক্তি পেয়ে গেছে। তারা দুজন শাবল দিয়ে মাটি খুরে সব মোহর ভরা কলসি তুলে নিল। এক মাস পর বাড়ি ফিরে এলো বড় বাওনা আর ছোট বাওনা। আর কোন কষ্ট নেই ওদের। এখন ওদের সবকিছুই রয়েছে, অভাব নেই কোন কিছুর। দেশের মধ্যে ওদের মতো ধনি আর কেউ ছিলনা। রাজামশাই পর্যন্ত ওদের খাতির করতে শুরু করলেন। তারপর এক শুভদিন বড় বাজনার মেয়ের সাথে ছোট বাওনার বিয়ে হয়ে গেল। সেই বিয়েতে খুব ধুমধাম হলো। অনেক লোক নেমন্তন্ন কেন।
আর আমার গল্প বলা ও এখানেই শেষ হলো।
আসসালামুয়ালাইকুম। আপনারা সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনায় করি। আর গ্রাথোর ওয়েবসাইট ও তাদের এডমিন দের অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই গল্পটির পর্ব ৪/শেষ পর্ব অ্যপূর্ব হওয়ার সাথে সাথে আমি এরকম আরো একটি গল্প নিয়ে হাজির হবো। ধন্যবাদ সবাইকে।
7 Comments
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
হুম
Nc
গুড
valo
good post
nice post
❤️