আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আপনি কি ব্লগিং করে অনলাইনে আয় করতে চান? দেখুন যতটা কঠিন মনে হয় ততটাই সহজ লগইন করে অনলাইন থেকে আয় করা।বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত উপায় হলো ব্লগিং করে অনলাইন থেকে আয় করা।
যে কেউ চাইলেই তার টেকনিক দিয়ে খুব সহজেই অনলাইনে ব্লগিং করে আয় করতে পারে। ব্লগিং করার জন্য আপনার কাছে সঠিক মেধা এবং সঠিক নিয়ম নীতি সহ নলেজ থাকতে হবে।তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে অনলাইনে অবসর সময়টা তে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন।
ব্লগিং করে প্রতি মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় করা খুবই সহজ। আর এই বর্তমান যুগে অনেক লোকই বাংলাদেশ বসে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। তাই আপনিও চাইলে কোনো রকম অভিজ্ঞতা বয়স ছাড়াই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আয় করতে পারবেন।এ কারণেই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায় এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
কিভাবে ব্লগিং করে অনলাইন থেকে আয় করা যায়?
ব্লগিং করে আয়ঃ ব্লগিং করে অনলাইন থেকে আয় করা বর্তমান সময়ে খুবই সহজ। যে কেউ চাইলেই নিজে নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে ব্লগিং করে অনলাইনে আয় করতে পারে। বর্তমান এই যুগে ব্লগিং করে আয় করার জন্য কোন রকম অভিজ্ঞতা অথবা বয়সের প্রয়োজন নেই।
তাই যে কেউ চাইলে অনলাইনে ব্লগিং করে আয় করতে পারে। ব্লগিং করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম-নীতি ও গাইড লাইন রয়েছে। এই ধরনের প্রশ্ন যদি আপনার শুরুতে থাকে তাহলে, ব্লগিং সম্পর্কে আপনার প্রপার নলেজ থাকতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করে অনলাইন থেকে বের করতে পারবেন।
অনলাইনে ব্লগিং করতে যা যা প্রয়োজন?
বর্তমান এই সময়ে ব্লগিং করে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য তেমন কিছু প্রয়োজন হয় না। তবে বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন হতে পারে। এমনকি ব্লগিং করার জন্য যেমন বয়সের দরকার নেই। তাই যে কেউ চাইলে ব্লগিং করে আয় করতে পারে অনলাইনে। ব্লগিং করে আয় করার জন্য যা যা প্রয়োজন হবে তা নিচে দেওয়া হল।
- অবশ্যই আপনার একদিন কম্পিউটার অথবা পিসি কিংবা একটি স্মার্টফোন থাকলে আপনি ব্লগিং করতে পারেন।
- ইন্টারনেট কানেকশন অথবা ওয়াইফাই খুবই প্রয়োজন অনলাইনে ব্লগিং করার জন্য।
- নিজের সততা নতুন চিন্তা-চেতনা ও নতুনত্ব এবং মানুষের প্রয়োজনীয় টেকনিকগুলো আপনার মধ্যে থাকা জরুরি।
- পরিশেষে নিজের সততা, পরিশ্রমই, ধৈর্য, সৎ, সহ্য, ডেডিকেশন নতুনত্ব আপনার ভিতরে থাকতে হবে। (অগ্রিম প্রয়োজন)
আশা করি উপরের এই জিনিসগুলো আপনার কাছে থাকলে অথবা আপনার ভিতরে রইলে অবশ্যই আপনি ব্লগিং শুরু করে আয় করতে পারবেন। এগুলো যদি আপনাদের ভেতরে না থাকে তাহলে কখনই আপনার ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন না।
ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়?
ব্লগিং শুরু: আপনার ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি প্ল্যাটফর্ম এর সাথে যুক্ত হতে হবে।যে প্লাটফর্ম থেকে আপনি কি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এমন একটি প্লাটফর্মে আপনার সাথে যুক্ত হতে হবে। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুইটি প্ল্যাটফর্মের নাম হল ব্লগার, ওয়াডপ্রেস।
এধরনের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হ্যাঁ আপনার খুব সহজ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার পর ওয়েবসাইটে সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। তারপর আপনি আপনার ঐ প্লাটফর্মে বা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করবেন।
অনলাইনে ব্লগিং করার জন্য সবচেয়ে মূল কাজ এটাই। শুধুমাত্র আপনি এই কাজগুলো করে অনলাইনে ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। তবে কখনোই কপি পেস্ট বা অন্য কারোর আর্টিকেল নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা যাবে না। এই ভুলটা আপনি যদি করেন তাহলে ইনকাম তো দূরে থাক আপনি ব্লগিং ঠিকভাবে করতে পারবেন না।
ওয়েবসাইট তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন: একটি কমপ্লিট ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বেশ কিছু জিনিসের দরকার হয়ে থাকে।এই জিনিসগুলো না থাকলে আপনি একটি কমপ্লিট ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন না।আর তা না হলে আপনি ব্লগিং করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন না।
ওয়েবসাইট কমপ্লিট ভাবে তৈরি করতে কি কি প্রয়োজনঃ
- আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য প্রয়োজন হবে থিম। তাই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য থিম প্রয়োজন হবে
- আপনার ওয়েবসাইটটি প্রফেশনালভাবে লোক দিতে পারে ডোমেইন। তাই আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য প্রয়োজন হবে ডোমেইন।
- আপনার ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ কমপ্লিট করার জন্য প্রয়োজন হবে হোস্টিং।
থিম কি এবং কিভাবে কাজ করে ওয়েবসাইটে: আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্য একটি থিম এর প্রয়োজন হবে।তা না হলে আপনার ওয়েবসাইটকে মানানসই এবং দেখতে ভালো লাগবে না।আপনার ওয়েবসাইটটি সভ্য ভাবে সাজাতে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য থিম এর কোন বিকল্প নেই। তাই আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে থিম অবশ্যই অবশ্যই প্রয়োজন।
হোস্টিং কি এবং কিভাবে কাজ করে ওয়েবসাইটে: একটি ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে। সেটা হল হোস্টিং আপনার সংরক্ষিত করার একটি মাধ্যম। নিশ্চয়ই আপনার ওয়েব সাইটের বিভিন্ন ভিডিও, অডিও, ইমেজ, আর্টিকেল ইত্যাদি। নিশ্চয়ই আপলোড করা হবে বা পাবলিশ করা হবে।
এখন এগুলো সংরক্ষন করার না হলে এগুলো আপনার সেটা কেউ জানবে না। এবং আপনি নিজেই এদের মালিক সেটা প্রমাণ হবে না। এইজন্যই ওয়েবসাইটে হোস্টিং এর প্রয়োজন। হোস্টিং সাধারণত এই ভূমিকাটাই পালন করে যে, আপনার ওয়েব সাইটের সকল কার্যক্রম সংরক্ষণ করে রাখা।
ডোমেইন কি এবং কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করবে: ডোমেইন হলো আপনার ওয়েবসাইটের নাম। ধরুন আপনি ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন তার নাম হবে নিশ্চয়ই। (উদাহরণ: mahamudul.wordpress.com)
এখন আপনার ওয়েবসাইটের নামই হল ডোমেইন। এখন আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইনটি আপনার ভালো লাগবে না আমার ভালো লাগবে।এমন কি কেউ এত বড় নাম নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটটি খুঁজে বেড়াবে না।আপনার ওয়েবসাইটটি সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করতে পারে ডোমেইন। তাই একটি ওয়েবসাইটের জন্য ডোমিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম শুরু করা যায় এবং এই টাকা কিভাবে হাতে পর্যন্ত পাওয়া যায়?
ব্লগিং করে ইনকাম শুরু: সর্বপ্রথম আপনি কি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।ওয়েবসাইট তৈরি করার পর ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষের প্রয়োজনীয় আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। যেন মানুষেরা খুব সহজে আপনার আর্টিকেলগুলো পড়ে উপকৃত হয়।
তারপর নির্দিষ্ট পরিমান কিছু আর্টিকেল লিখে গুগোল অ্যাডসেন্সে আবেদন করবেন।আপনার আবেদনটি তারা একসেপ্ট করলে খুব সহজে আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতে পারবেন। যত লোক আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন গুলো দেখবে ততো আপনার ইনকাম হবে।আর এভাবে করেই আপনি খুব সহজে ব্লগিং করে আয় করতে পারেন।
ব্লগিং করে আয় করার পর টাকা কিভাবে হাতে পাব?
টাকা উত্তোলন কিভাবে: আপনারা তো জেনে গেলেন কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায়। এখন প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে টাকা হাতে পর্যন্ত পৌঁছাবে।আপনি যখন এডসেন্সের বিজ্ঞাপনগুলো আপনার ওয়েবসাইটে দেখাবেন তখন নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যামাউন্ট আপনার এডসেন্স একাউন্টে জমা হবে।
জমা হতে হতে যখন আপনার এডসেন্স একাউন্টে দশ তলার হবে তখন আপনার এড্রেস ভেরিফাই করতে হবে।এড্রেসটি ভেরিফাই হয়ে গেলে আপনি আপনার দেশের যেকোন ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারেন গুগোল অ্যাডসেন্সে। তারপর যখন ইনকাম করতে করতে আপনার 100 ডলার জমা হবে তখন,
গুগোল অ্যাডসেন্সে টাকাগুলো বা ডলারগুলো আপনার ব্যাংক একাউন্টে অটোমেটিক্যালি টেনাসফার করে দিবে তারা।আর আপনারা এভাবে ব্লগিং করে এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা ব্যাংকে পেয়ে যাবেন।আশা করি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায় এবং কিভাবে হাতে পর্যন্ত টাকা আসে সেটা।
আর্টিকেল এর শেষ কথা
পরিশেষে বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা step-by-step শিখে গেলাম কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায়। যে মাধ্যমে টিউটোরিয়াল গুলো নিয়ে আর্টিকেল সাজানো হয়েছে।এগুলো মন দিয়ে আপনি পড়লে অবশ্যই ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন।
এভাবে করে অনলাইন থেকে ব্লগিং করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। আশা করি এই বিষয়ে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।আর্টিকেল সম্পর্কিত কোনো মতামত অথবা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। আমি সাহায্য করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ অথবা ভুল ত্রুটি হলে সংশোধন হয়ে নিব। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন এই আশা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করলাম আজকের এই আর্টিকেলটি।আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহ।