আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব ভাত খাওয়ার সময় পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিয়ে। তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
ভাত খাওয়ার সময় পানি খাওয়ার নিয়ম
আমাদের প্রতিদিন এর খাবার এর মধ্যে ভাত অন্যতম। আমরা যেহেতু বাঙালি তাই আমাদের ভাত খাওয়া ছাড়া একটি দিন ও পরিপূর্ণ হয় না। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হিসেবে ও ভাত অনেক বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের গ্রাম সাইটের মানুষদের কে দেখা যায় তারা বেশি কর্মক্ষম হয়। কেননা তারা প্রতিদিন তিন বেলা ভাত খায়। এমন কি অনেকে চার বেলাও ভাত পান করে থাকে। তবে গ্রামের তুলনায় শহরের মধ্যে ভাত খেতে দেখা যায় দুই বেলা। ভাত আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমানে শক্তি যোগায় যার ফলে বিভিন্ন রেগ হতে সহজেই বাঁচা যায়। তবে আমরা বেশির ভাগ লোকেরা ভাত খাওয়ার সময় অনেক ভুল করে থাকি।
এসব ভুল গুলোর মধ্যে একটি হলো ভাত খাওয়ার সময় পানি পান করার সঠিক নিয়ম। আমরা পানি খেতে জানলেও পানি খাওয়ার কিছু সঠিক নিয়ম রয়েছে যেগুলো আমরা প্রায়ই লোকেরাই জানিনা। যার ফলে আমরা পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অবগত না হওয়ায় অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। তাই আজকের পোস্টে আমি আপনাদের কে জানিয়ে দিব ভাত খাওয়া সময় পানি পান করার সঠুক নিয়ম সম্পর্কে। এসব নিয়ম অবলম্বন করলে আপনি নানা রকম রোগ ও সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।
ভাত খাওয়ার সময় কখন পানি পান করা উচিত
পানি ছাড়া যেমন কোনো খাবার হজম হয়না ঠিক তেমনি পানি ছাড়া ভাত ও হজম হয়না।
পানি খাবার কে হজম করতে অধিক ভূমিকা পালন করে। আমরা প্রায় লোকেরা ভাত খাওয়ার মধ্যে সময়ে পানি পান করে থাকি। তবে এই নিয়ম একটি ভুল নিয়মে হিসেবে পরীক্ষিত। ভাত খাওয়ার মধ্যে সময়ে যথাসম্ভব পানি পান করতে না পারলেই সর্বোত্তম। তাহলে আপনি মনে মনে ভাবছেন যদি পানি ভাত খাওয়ার মধ্য সময়ে পান না করি তাহলে কখন পান করবো? কিংবা যদি ভাত খাওয়ার সময় গলায় যদি ভাত আটকে যায় তাহলেই বা কি করবো?
হে আপনার ভাবনা সঠিক। আপনি ভাত খাওয়ার ২০-৩০ মিনিট পূর্বে পানি পান করে নিবেন। এতে আপনি ভাত খাওয়ার পর ভাত হজমে কোনো সমস্যা হবে না। যদি তা করতে না পারেন তাহলে ভাত খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। যেমন ১০-২০ মিনিট পর আপনি পানি পান করুন। এর ফলে আপনার ভাত গুলো পেটে অতি দ্রুত সময়ে হজম হতে সহায়তা করবে। হে! ভাত খাওয়ার মধ্য সময়ে যদি গলা শুকিয়ে যায় তাহলে অল্প পানি পান করতে পারেন। তবে বেশি নয় এটা মাথায় রাখবেন।
পানি পান করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে ইসলামি ব্যাখ্যা
পানি পান করা নিয়ে ইসলামে বর্ণিত রয়েছে যে পানি অবশ্যই দুই হাত দিয়ে পান করা উচিত। তবে তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই ডান হাত দিয়ে পানি খাওয়া উচিত। পানি অবশ্যই তিন ঢুক ও তিন নিশ্বাসে খেতে হবে। প্রথম ঢোকে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বলে সুবহানাল্লাহ বলতে হবে। তার পরের ঢোকেও সুবহানাল্লাহ বলতে হবে। তার পরের ঢোকেও সুবহানাল্লাহ বলে খেতে হবে। সবশেষে আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করতে হবে। পানি বসে পান করার কথাও বলা হয়েছে কেননা এটা নবি কারীম হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সুন্নত।
আজ এই পর্যন্তই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।