হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক পোষ্ট শেয়ার করার জন্য এসেছি। পোস্টটি আপনাদের জন্য খুবই উপকৃত হবে আশা করি।আমি আজ যে বিষয় নিয়ে পোষ্ট করব সেটি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির নাম হয়তো আমরা অনেকেই শুনেছি কিন্তু এটি কিভাবে কাজ করে বা এর কাজ কিন্তু হয়তো আমরা অনেকেই ভালোভাবে জানি না। তাই এইসব বিষয়ে পরিষ্কার করার জন্য আমি আজ আপনাদের সামনে আমি পোস্টটি করব। তাই চলুন আমরা কাজের কথায় ফিরে আসি।
আগে আমরা জানি যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে যদি আমি এক কথায় বলি তাহলে সেটি হচ্ছে কম্পিউটার জেনারেটেড ওয়ার্ল্ড তথা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর সমন্বয় কোন একটি পরিবেশ বা ঘটনার বাস্তবভিত্তিক ত্রিমাত্রিক চিত্রায়নই হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো হার্ডওয়ার সফটওয়্যার মাধ্যমে তৈরিকৃত এমন একটি কৃত্রিম পরিবেশ যা ব্যবহারকারীদের কাছে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যাতে তারা এটাকে বাস্তব পরিবেশ হিসেবে মনে করে। এক্ষেত্রে যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয় তাদের মধ্যে কয়েকটি হল vizard, VR toolkit, 3DSMAX ইত্যাদি।
1930 সালে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ধারণা সৃষ্টি হয়। 1980 এর দশকের মধ্যভাগে কম্পিউটার বিজ্ঞানী জ্যারন লেনিয়ার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কিং মানুষের মধ্যে আনতে সক্ষম হয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জগতে যেসব বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয় তা হল।
শব্দ: বাস্তব ভিত্তিক শব্দ সৃষ্টি করা। এতে মনে করা হবে যে শব্দ কোন বিশেষ স্থান থেকে উচ্চারিত হচ্ছে।
দৃষ্টি: চশমা কিংবা হেলমেট এর মধ্যে ছোট আকারের পর্দা থাকে এবং বহুমাত্রিক ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়।
মস্তিষ্ক: মানুষের মস্তিষ্কের ওপর পরিচালিত গবেষণায় computer-generated ওয়ার্ল্ডকে নতুন অবয়ব দিয়েছে যার সাহায্যে তত্ত্বকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা যায়।
স্পর্শ: জুতা, গ্লাভস কিন্তু শরীরের পোশাক একজন ব্যক্তিকে প্রকৃত অবস্থা কাছাকাছি নিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
টেলি প্রেজেন্স: উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারে গ্রাফিক্স ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকদূর কাজ পরিচালনা করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে। যেমন বৈমানিকের বাস্তবে আসল বিমান উড্ডয়নের পূর্বে বিমান পরিচালনা বাস্তব জগৎ অনুধাবন করে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদান:
রিয়েলিটি ইঞ্জিন
হেড মাউন্টেড ইঞ্জিন
অডিও ইউনিট
গ্লাভস
বুট
স্যুট ইত্যাদি
এখন আমরা আসি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার ব্যাপক জায়গায়। এখন বর্তমান যুগে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির গুরুত্ব অপরিসীম।
ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বর্তমানে যেসব ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয় তা হল
শিক্ষায়
বিনোদনে
স্বাস্থ্যসেবায়
ব্যবসায়
বিমান গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ন্ত্রণে
খেলাধুলা
এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে।
তো আপনারা হয়তো এখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছেন। আপনারা চাইলে গুগলে অথবা ইউটিউবে সার্চ করে আরো ভালোভাবে এটি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য