Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: হারিয়ে যাও কল্পনার জগতে

কেমন হতো যদি আমরা হ্যারি পটারের কল্পনার জগতে যেতে পারতাম, কিংবা নীল আকাশে পাখির মতো ভেসে ভেড়াতে পারতাম, কিংবা অ্যাডভেঞ্চারিং সব গেম এ নিজে স্বশরীরে প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই এর অনুভব করতে পারতাম ? তা আবার কি করে হয় ! কেন হবেনা ? এও সম্ভব! ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর আগে হয়তো অনেকেই শুনেছি । ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে নিজে কে কল্পনার জগতে  নিয়ে যাওয়া সম্ভব ।  ধরো আমি এখন নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখতে চাচ্ছি, কিন্তু পরবর্তী সপ্তাহে আমার ফাইনাল পরীক্ষা, এই মুহুর্তে তো আর নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখতে কানাডা যাওয়া সম্ভব না, গেলে আমার পরিক্ষায় পাশ করা লাগবে না । তাই বলে কি আমার ইচ্ছা পূরণ হবে না, নাকি শুধু সময়ের অপেক্ষা করতে হবে ? কিন্তু ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কল্যাণে আমি মুহুর্তের মধ্যে নায়াগ্রা জলপ্রপাত যেতে পারব!

বিষয়টি বুঝিয়ে বলি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যেখানে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাল্পনিক বিষয় বস্তু কে বাস্তব রুপে উপস্থাপন করা । প্রকৃত ভাবে বলা যায় বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তব এর চেতনা উদ্রেক কারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনার রূপান্তরিত রুপ কে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা  কিংবা কল্পবাস্তবতা বলে । কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, যেখানে ব্যবহার কারী ঐ পরিবেশ এ মগ্ন হতে, বাস্তবের নমুনা যে তৈরি দৃশ্য উপভোগ করতে, এবং বাস্তব এর মতো শ্রবণানুভূতি , দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ ও অনুভূতি দ্বারা  অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে । ভার্চুয়াল রিয়েলিটি  মূলতঃ  কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত । ১৯৬১ সালে মার্টন এল হেলিগ এর তৈরি সেন্সোরামা স্টিমুলেটর নামক যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথম ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিলো । ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে এমন এক কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক (3D) পরিবেশ যেটা একজন মানুষ এর কাছে পুরোপুরি বাস্তব এর মতো মনে হয় । আমরা চারপাশে যা কিছু দেখি সবই ত্রিমাত্রিক আর  বর্ণময় ।

ভার্চুয়াল  রিয়েলিটি যে ত্রিমাত্রিক বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলতে  সাহায্য নেয়া হয় দু’টি ত্রিমাত্রিক  কাঁচের । একটি তে থাকে লাল রঙের ফিল্টার আর অন্যটি তে থাকে নীল রঙের ফিল্টার । কম্পিউটার এর মাধ্যমে তোলা ইমেজ, দু’টি লাল ও দু’টি নীল বর্ণের ফিল্টার এর  মধ্যে দৃশ্যমান হয় । দর্শকের মস্তিষ্ক তখন ইমেজ দু’টি কে পুনরায় সমন্বিত করে বস্তুর ত্রিমাত্রিক ইমেজের অস্তিত্ব বুঝতে পারে ।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির পরিবেশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো হলো :-

১. রিয়েলিটি ইঞ্জিন/সিমুলেটর ।
২. ইনপুট ও আউটপুট সেন্সর।
৩. হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে ।
৪. ডেটা গ্লোভ ।
৬. একটি পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুইট ।
৭. অডিও ডিভাইস ।
৮. ব্যবহার কারী ।

তাহলে আর দেরি কেন, উপকরণ গুলো ও জোগাড় করে  আমরা নিজেদের সময় মতোই উপভোগ করতে পারি কল্পবিজ্ঞান । তবে খুশির খবর হচ্ছে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আমাদের ক্রয় করার প্রয়োজন নেই । কারন আমরা ইনডোর গেম জোন গুলো তে গিয়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি উপভোগ করতে পারি ।

ভূল-ত্রুটি মার্জনীয় । জয় হোক বিজ্ঞানের ।

Related Posts

3 Comments

Leave a Reply