আজ আমার পরীক্ষা শেষ তাই ভাবলাম মামার বাসায় গিয়ে ঘুরে আসি ।কত দিন হলো মামার বাসায় যায়নি।মাকে বলতেই মা না করলেন না। মামার বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। আমাদের বাসায় থেকে মামার বাসায় যাইতে বাস এ সময় লাগে ২ঘণ্টা।বাস চলছে।কত সুন্দর রাস্তা ।চারিপাশে কত সুন্দর সুন্দর রাস্তা।মামার বাসায় একটু গ্রামের দিকে।আর গ্রামের রাস্তা হওয়ায় বাস ওই রাস্তায় যায়না। মেইন রাস্তার পাশে নামিয়ে দেই । তাই ওখান থেকে আমাকে একটা রিক্সা বা অটো ভেন এ করে যেতে হবে।আমি বাস থেকে নেমে দেখলাম একটা রিক্সা আর একটা অটো ভেন দাড়িয়ে আছে।অনেক দিন রিকশায় ওঠা হয়নি তাই ভাবলাম আজ রিক্সা তেই যায়।
রিক্সা ওয়ালা কে বললাম যাবেন ।তিনি বললেন কই যাবেন।তো আমি আমার মামার নাম বলতে তিনি বললেন আচ্ছা চলেন।রিকশায় যেতে যেতে তিনি আমাকে বললেন যার বাসায় যাচ্ছেন তিনি আপনার কি হয়।আমি বললাম আমার মামা।রিক্সা ওয়ালা আমাকে বললেন ও। ওনাকে চেনে না এমন লোক হয় এখানে খুবই কম পাওয়া যাবে । যে কাওকে বললেই নিয়ে যাবে কিন্তু আপনাকে তো কখনো দেখিনি।আমি বললাম অনেক দিন আসা হয়নি।পরীক্ষা শেষ তাই ভাবলাম একটু ঘুরে আসি ।এভাবে কথা বলতে বলতে আমরা পৌঁছায় গেলাম।বাড়ির বড় গেট এর সামনে নামিয়ে দিল।
বাড়ির মধ্যে গিয়ে মামা কে ডাকতে মামা বাইরে আসলো।এবং মামীকে ডেকে বললো দেখো কে এসেছে।মামার সাথে কথা বলে মামী আসলো।আমি বললাম মামী কেমন আছো।মামী বলল এতদিন পর তোর মামা মামীর কথা মনে পড়লো।তারপর অনেক কথা বলে রুম এ গেলাম ।মামা কে মামাতো ভাইয়ের কথা জিজ্ঞাসা করলাম মামা বললেন ওকে একটা কাজে পাঠিয়েছি এখনই চলে আসবে।তারপর আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিকেলে আমি আর আমার মামাতো ভাই বেড়াইতে গেলাম।আমার মামার বাড়ির পেছনে একটা বড় পুকুর আছে।আগে দেখতাম দুপুর হইলেই এখানে মানুষ গোসল এর জন্য ভিড় জমাতে।কিন্তু আজ দুপুরে দেখলাম পুরাটাই ফাঁকা কেও নেই।
পরের দিন দুপুরে ভাই কে বললাম চল অনেক দিন পুকুরে গোসল হয়নি।আজ করি।ভাই বললো না। ওখানে যাওয়া আব্বুর মানা আছে।ওই পুকুরে কে নাকি ডুবে মারা গেছিল তার পর থেকে কেও যায়না।আমি ওকে বললাম আরে চল কিছু হবে না।আর মামা মামী জানবে না।তারপর আমরা গেলাম গোসল করতে।খুব মজা করে গোসল করছি ।হটাৎ মনে হলো আমাদের পিছনে কিছু একটা চলে গেলো ঠান্ডা বাতাস।
আমরা এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছুই দেখতে পেলাম না।আবার গোসল করতে লাগলাম।এবারও ঠিক তাই মনে হলো।তাই আমরা দেরি না করে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসলাম।রাতে শুয়ে আছি।এমন সময় মনে হলো পুকুরে কিছু একটা শব্দ হচ্ছে।গিয়ে দেখলাম পুকুরের পানি একবার উচু হচ্ছে একবার নিচু হচ্ছে।আমি ভাবলাম কোনো প্রাণী হয়তো আছে।আমি শুয়ে পরলাম।কিছুক্ষন পর মনে হলো কে যেনো পুকুরে লাফালাফি করছে।
জানালার কাছে যেতে একটা বড় নীল গাইয়ের রং,চোখ গুলো বড়ো বড় ,আর লাল আর দাত গুলাও বড়ো বড়ো আমার দিকে ধেয়ে আসলো এবং জানালা দিয়ে আমার গলা টিপে ধরলো।আমি ভয় এ চিৎকার দিয়ে উঠলাম।পাশের ঘর থেকে ভাই এসে আমাকে ওই অবস্থায় দেখে অজ্ঞান হইয়ে গেলো।সাথে সাথে আমাকে মাটিতে ফেলে দিল।আমিও অজ্ঞান হইয়ে গেলাম।চোখ খুলে দেখি আমি হসপিটাল এ।কাল কের ওই ব্যাপার তার পর আমাকে হসপিটাল এ আনা হইছে।এর পর থেকে ওই পুকুর এর নাম হয় ভূতুড়ে পুকুর।ওখানে যাওয়া সবার মানা হইয়ে যায়।