#ভোলাগঞ্জ, #মাধবপুর লেক, #মাধবপুর_টি_স্টেট , #শ্রীমঙ্গল, #লাউয়াছড়া_জাতীয়_উদ্যান #সাতছড়ি_জাতীয়_উদ্যান, #ধুলুবাড়ি_ত্রিপুড়া_পাড়া ভ্রমণ।
সামান্য কিছু টিপস দেয়ার ট্রাই করলাম।
যাদের সময় কম বাইক নিয়ে দুই থেকে ৩ দিন এর জন্য সিলেট এর দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে আসতে চান তাদের জন্য,
প্রথমদিন ফজর এর নামাজ এর পর রওয়ানা দিবেন, (সময় মতো কোথাও নাস্তা করে নিবেন) সরাসরি সিলেট না হয়ে শ্রীমঙ্গল চলে যাবেন ,, যেতে যেতে দুপুর ১২-১ টা বেজে যাবে. শ্রীমঙ্গল বাজার এ কোনো রেস্টুরেন্টে দুপুর এর খাবার টাও সেরে নিবেন,
এবার আসি ট্যুর এর মেইন পয়েন্ট এ,,,
দুপুর এর খাবার শেষে চলে যাবেন শ্রীমঙ্গল চায়ের রাজধানীতে শ্রীমঙ্গল এ রাস্তার দুপাশের সারি সারি চা বাগান আর আকা বাকা রাস্তায় উপভোগ করুন নির্মল প্রকৃতি,,, এর পর এক রাস্তায় সোজা চলে যাবেন মাধবপুর এর উদ্দেশ্যে, মাধব পুর টি স্টেট সিলেট এর সব চাইতে বেস্ট চা বাগান,৷ বড় বড় পাহার এর গা গেষে চা বাগান আর নিচ দিয়ে চিকন সরু রাস্তা আপনাকে কিছুটা বান্দরবানের ফিল এনে দিবে৷৷
এরপর মাধবপুর লেক, মাদবপুর লেক না যাওয়াটাই উত্তম , সম্পূর্ন হতাশ হবেন আমিও হয়েছি।
উল্টো পথে একটু এসে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এর রাস্তায় চলে যাবেন ধুলেুবাড়ি ত্রিপুড়া পাড়া পাড়া টা খুব সুন্দর ,৷ বাইকে থাকতেই আমি একটু ডু মেরেছিলাম যেতে পারি নি, ,
এরপর চাইলে ওই দিনই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান টা একটু ঘুরে দেখতে পারবেন( যদি আপনার সময় থাকে)।।
তারপর সোজা রাস্তায় কমলগঞ্জ – শমশেরনগর – ফেন্সুগঞ্জ হয়ে সরাসরি সিলেট ,,
সিলেট সদর এর কীন ব্রীজ এর আশে পাশেই রাতে থাকার জন্য ভালো মানের হোটেল পেয়ে যাবেন
যেখানে ডুয়েল বেড ফোর পারসন এটাচ বাথরুম, টেলিভিশন, ওয়াই-ফাই সংযুক্ত, রুম ৯০০-১০০০ টাকা এর মধ্যে,,
বাইকারদের জন্য বাইক পার্কিং এর প্যারা একটা থেকেই যায়, তবে না বাইক পার্কিং ও নিরাপত্তা ওরাই দিবে ১০০%।।
আমরা ৮ জন ছিলাম ২ রুম নিয়েছি ১৮০০ টাকায়।।। কীন ব্রীজ এর আশে পাশে হোটেল নেয়ার কারন হচ্ছে সিলেট মাজার, পাচ ভাই রেস্টুরেন্ট সবই ৫-১০ মিনিট এর দুরত্বে।।
রাতে পাঁচ ভাই এ খেতে ভুল করবেন না, সস্তায় খুবই ভালো মনের খাবার পাওয়া যায় ,,
২য় দিন
সকালে ৭ টায় আবার পাঁচ ভাই এ নাস্তা সেরে ভোলাগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে চলে যাবেন ১০ টার মধ্যে ভোলাগঞ্জ পৌছে যাবেন,৷
ভোলাগঞ্জেও বাইক পার্কিং এর জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা আছে পার বাইক ৩০ টাকা করে নিবে, নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন
এরপর সাদাপাথর যাওয়ার জন্য নৌকা ঠিক করবেন ৮০০ টাকা নিবে রিজার্ভ । ২-৩ ঘন্টা কাটিয়ে পুনরায় বেক করতে হবে
সাদাপাথর এখন যাওয়ার বেস্ট সময়,, পানিও ঠিক লেভেল এর আছে,
তবে সাদাপাথর গেলে ইন্ডিয়ার সাইডে অবশ্যই যাবেন ওই পাশটাই সবচাইতে বেস্ট , ও পাশে মানুষ এতোটা যায় না।৷ নজরে পরে না সবার, দেখবেন যেখানে বসার ছাউনি গুলো অাছে এখানে প্রচুর ভিড় হয়, এখান থেকেই মানুষ গোসল সেরে চলে আসে
আরেকটা জিনিস অনেক এই খেয়াল করে না সাদাপাথর এর উপর এ মসজিদ টার ঠিক পিছন সাইডে ছোট একটা লেক আছে লেকটা খুবই সুন্দর যা ইন্ডিয়ার পাহার ঘেষে অবস্থিত অবশ্যই এখানে যাবেন,৷
দুপুর ২ টা থেকে ৩ টার মধ্যে ভোলাগঞ্জ হতে পুনরায় সিলেট এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন।
ইচ্ছে করলে ভোলাগঞ্জ হতেই দুপুর এর খাবার সেরে নিতে পারেন তবে আমি বলবো এক্টু কষ্ট হলেও সিলেট ফিরে তারপর খাবার খাওয়ার জন্য কারন ভোলাগঞ্জ ভালো খাবার এর হোটেল নাই বললেই চলে যা আছে খুবই বাজে।
আর যদি এক্টু সময় থাকে ভোলাগঞ্জ হতে ফিরার সময় উৎমা ছড়া হতে ঢু মেরে আসতে পারবেন যদিও তা মোটামুটি সময় সাপেক্ষ।
। ভোলাগঞ্জ হতে সিলেট ফিরে বিকেল এর দিকে আমরা দুপুর এর খাবার খেয়েছিলাম।।
এর পর আমাদের ৮ জন টিম এর ৪ জন সন্ধ্যার দিকে গাজীপুর এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলো।
আর আমরা বাকি চারজন থেকে গেছি পরদিন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান আর শ্রীমঙ্গল এর সাত রং এর চা খাওয়ার জন্য ,,
আপনারা যারা যাবেন প্রথম দিনই শ্রীমঙ্গল এর সাত রং এর চা খেয়ে নিবেন৷ কারন সিলেট শহর কোথাও সাত রং এর চা পাওয়া যায় না। পাথর ঘাটায় পাওয়া যেত কিন্তু শ্রীমঙ্গল এর টা একদম ন্যাচারাল
সাত রং এর চা খাওয়ার জন্যই আমাদের পুনরায় শ্রীমঙ্গল যাওয়া লাগছে।। নয়তো সোজাই শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে সাতছড়ি চলে যেতাম ওখান থেকে সোজা গাজীপুর চলে আসতাম।
কিন্তু প্রথম দিন সাত রং এর চা না খাওয়াতে পুরো ওল্টোটাই হলো।
আপনারা এই ভুল অবশ্যই করবেন না,,,
সিলেট ট্যুর এ সাত রং এর চা না খেলে ট্যুর বৃথা
হ্যাপি ট্রাভেলিং,,,