আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসলাম। এসে দেখি সেই দুজন ব্যাক্তি ডিনার টেবিল ভর্তি করে খাবার সাজিয়ে অপেক্ষা করছে আমার জন্য।
আমি টেবিলের সামনে আসতেই একজন আমার পাশের চেয়ারটা টেনে আমাকে বসতে বললো।
তারপর বললো ” বাবু সময়ের অভাবে বেশি কিছুর আয়োজন করতি পারিনি, তাই আমাদের ক্ষমা করবেন”।
আমি হতভম্ব হয়ে বললাম, আরে কি যে বলছেন আপনারা! এত খাবার এর আয়োজ করেও বলছেন বেশি খাবারের আয়োজন করতে পারেন নি!
এই ঢের হয়েছে আমার জন্য। আমি আর কথা বাড়ালাম না। সরাসরি খাবারের উপর ঝাপিয়ে পড়লাম। কত রকমের খাবার। খেতে খেতে তাদের প্রশ্ন করলাম, আচ্ছা এত স্বাদের খাবারগুলো কি আপনারা রান্না করেছেন?
জবাবে বললো ” আজ্ঞে হ্যা বাবু, আমরাই রান্না করেছি, আমরা তো আর জানতুম না যে আপনে কি খাতি পছন্দ করেন”।
ঘড়িতে তখন ঠিক রাত ৯ঃ৩০ বেজে গিয়েছে। পেট ভরে খাওয়া শেষে তাদের ধন্যবাদ জানালাম।
তারা বললো ” আজ্ঞে ধন্যবাদ কি জন্যি বাবু?, এটা তো আমাদের কর্তব্য বাবুমশাই”।
তারপর আবার তারা জিজ্ঞেস করলো আমায় ” বাবু মশাই, আপনে সকালে কি খাতি চান? আমাদের বলে দিলে আমরা সেইভাবে আয়োজন করতাম”।
আমি হাসতে হাসতে বললাম, আরে এত কিছুর আয়জন দরকার নেই, আর তাছাড়া আমি একা একজন মানুষ। আমার জন্য এত কষ্ট করার দরকার নেই। তোমাদের এইখানে যা আছে তাই দিও সকালে, এতে আমার মাথা ব্যাথা নেই।
গল্প করতে করতে সাড়ে ১০ টা বেজে গেলো। আমি বললাম আমার কামড়া টা একটূ দেখিয়ে দিলে ভালো হয়, রাত বেশ হয়েছে। আর তাছাড়া এত দূর থেকে এসেছি বিধায় আমি ক্লান্তও বটে।
তারা আমাকে আমার কামড়ার কাছে নিয়ে গেলো। দরজাতে ধাক্কা দিতেই কেমন একটা শব্দ করে তা খুলে গেলো।
ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো সেই কামড়া। আমি ভেবেছিলাম হয়তো এই ক্লান্ত শরীর নিয়ে আবার নিজেকেই সব গুছিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে হবে।
তারা দুজন বললো ” বাবু মশাই আপনার কিছু প্রয়োজন হলে আমাদের হাঁক দিবেন, আমরা পাশের কামড়াতেই আছি”।
আমি প্রতুত্তরে বললাম, আমার বোধ হয় না যে আমার আর কিছু প্রয়োজন হবে। যদি হয় তবে অবশ্যই হাঁক দিবো।
তারপর তারা আমায় বিদায় জানিয়ে অন্ধকারের ভিতর মিশিয়ে গেলো।
আমি যেহেতু অনেকদুর জার্নি করে এসেছি, তাই বিছানাতে শুয়ে পড়তেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঠিক কতক্ষন ঘুমিয়েছিলাম আমার মনে নেই, হঠাত কিসের একটা শব্দে আমার ঘুম টা ভেংগে গেলো।
চলবে…………