বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানীদের কাছে মঙ্গলগ্রহ নিয়ে আগ্রহ কম নয়। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানে বিজ্ঞানীদের জল্পনা কল্পনা ব্যাপক। মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে আমরা অনেকে তেমন ঠিকভাবে জানিনা। তাই নিচের লিখাটির মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে আসি মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে। মঙ্গল গ্রহের সাথে পৃথিবীর তুলনামূলক মিল থাকার কারণে জ্যোতিজীববিজ্ঞানে অত্যন্ত আগ্রহের একটি বিষয়। এখন অব্দি অবশ্য মঙ্গল গ্রহে কোনো জীবনের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অবশ্য ক্রমবর্ধিষ্ণু একাধিক প্রমাণ ইঙ্গিত দেয় যে প্রাচীন কালে এই গ্রহে তরল পানির উপস্তিতি ছিল। যা গ্রহটির আণবিক জীবন থাকার সম্ভাবতাকে বাড়িয়ে দেয়। অবশ্য এতেই নিশ্চিত করে বলা যায় না যে ,বর্তমানেও গ্রহটিতে প্রাণ বা জীবন বিদ্যমান। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকেই বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান শুরু করেছেন। আদিকালের গবেষণা মূলত কল্পনা নির্ভর হলেও বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রভাবে মঙ্গলের মাটি ,পাথর এমনকি গ্রহের পরিবেশে বিদ্যমান গ্যাস ইত্যাদির গঠনশৈলীও এই প্রাণের সন্ধান গবেষণার গুরুত্তপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সালের ২২ শে নভেম্বর নাসা গ্রহটির প্লানিটিয়া ইউটোপিয়া অঞ্চলে ভূগৰ্ভস্থ বরফের সন্ধান পেয়েছে বলে ঘোষণা করে। এতে যে পরিমান পানি পাওয়া গিয়েছে তা প্রায় সুপিরিয়র হ্রদের পানির সমান। ২০১৭ সালে ৫ ই সেপ্টেম্বর বিজ্ঞানীরা রিপোর্ট করেন যে কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গলে রোবনের সন্ধান পেয়েছে,যা পৃথিবীর জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের মধ্যে একটি। এরপূর্বে পাওয়া পানির সন্ধান মঙ্গলে পূর্বে একদা জীবনের অস্তিত্ব ছিল বলেই সমর্থন করে। ১৮৫৪ সালে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজের সভ্য উইলিয়াম হিউয়েল মঙ্গল গ্রহে সমুদ্র ,মাটি এমনকি প্রাণের সম্ভাবনা আছে বলেও তত্ত্ব প্রদান করেনা। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এসে মঙ্গলে প্রাণের ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করার হার হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। এই সময়ে একাধিক পর্যবেক্ষক মঙ্গলে খাল পর্যবেক্ষণ করেন।যা পরবর্তীতে অবশ্য দৃষ্টিভ্রম বলে প্রমাণিত হয়। এতসত্বেও মার্কিন বিজ্ঞানী পার্সিভাল লোওয়েল ১৫৯৫ সালে মঙ্গোল গ্রহ ও ১৯০৬ সালে মঙ্গোল গ্রহ ও এর খাল নামক বই প্রকাশ করেন। এই বইয়ে তিনি মঙ্গলে দীর্ঘকাল আগে বিরাজ করা সভ্যতা এই খালগুলো সৃষ্টি করেছেন বলে দাবি করেন পরিবেশে উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে তরল পানির উপস্থিতি মঙ্গল গ্রহে জীবন থাকার জন্য উল্লেখযোগ্য উপাদান। তবেই শুধুমাত্র তরল পানির অস্তিত্ব গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে বলে জানান নিশ্চিত করেনা। মঙ্গলের ভূমন্ডলে তরল পানি অবস্থান করতে পারেনা। সর্বনিম্ন উচ্চতায় ভূমিতে তরল পানি মাত্র কয়েক মিনিট অথবা ঘন্টায় থাকতে পারে। তরল পানি ভুপৃষ্ঠে উপস্থিত থাকতে পারেনা। মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানে একাধিকবার বিভিন্ন নভোযান পাঠানো হয়েছে মাভেন ,মঙ্গলযান ,ফিনিক্স ও কিউরিওসিটি রোভার। এমন দিন আর বেশি দূরে নয় যেখানে বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাবেন।
বজ্রপাতের ঝলক আর গর্জন একই সাথে দেখা ও শোনা যায় না কেন
আমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে নানা ধরনের ঘটনা ।ঝড়ের সময় আমরা আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে দেখি। তারপর পরই শুরু হয় বিকট...