দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় | অনেক কষ্টের মাঝে আমরা মাঝে মধ্যে দিশা হারিয়ে ফেলি | কষ্টের কথা আমরা আশেপাশের মানুষকে বলে বেড়াই এবং তাদের সান্তনা নেই | কিন্তু আমরা ভুলে যাই এমন একজন আছেন যিনি আমাদের সকল কষ্ট দূর করার মালিক | যার দয়া যার রহমত সব কিছুর উর্ধে | যিনি কখনো তার বান্দার খারাপ চান না | আর তিনি আর কেউ নন আমাদের সারা জাহানের মালিক মহান আল্লাহ পাক |
আল্লাহ পাক যেমন বিপদ দেন তেমন বিপদ উত্তরণের পথ ও তিনি করে দেন | তাই কখনো নিরাশ না হয়ে একমনে আল্লাহ কে ডাকা উচিত | উনাকেই সকল কষ্টের কথা বলা উচিত |
বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ও মহান আল্লাহ তা আলা কোরান শরীফ এ বিভিন্ন সূরা আমাদের জন্য দিয়ে দিয়েছেন | আজ আমি এমন একটি সূরার কথা বলবো যেটি পরে আপনি আল্লাহর কাছে দুআ চাইলে আল্লাহ অবশ্যই আপনার নেক ইচ্ছা কবুল করে নিবেন ইন শা আল্লাহ যদি আপনার করা দুআ টি আল্লাহ আপনার জন্য মঙ্গলজনক মনে করেন | আর এই আমলটি করে আমিও অনেক উপকৃত হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ |
কোরান শরীফের একটি বিশেষ দুআ হচ্ছে সূরা ইয়াসিন | যার ফজিলত কম বেশি আমরা সবাই জানি | এই সূরাটি ৪১ বার পাঠ করে আপনি আল্লাহর কাছে যদি নেক দুআ করেন ইন শা আল্লাহ আল্লাহ আপনার দুআ কবুল করে নিবেন | একবারে যে সূরাটি ৪১ বার পাঠ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই | আপনি কতদিনে সূরাটি ৪১ বার পাঠ করতে পাঠ করতে পারবেন এটি সম্পূর্ণ আপনার উপর | তবে যেদিন থেকে আপনি সূরা ইয়াসিন পাঠ করা শুরু করবেন তার আগে অবশ্যই দুরুদে ইব্রাহিম ১১ বার পাঠ করে আল্লাহর কাছে এভাবে দুআ করে নিবেন যে আল্লাহ আমি এই উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসিন পাঠ করছি | আপনি এই সূরার বরকতে এবং রহমতে আমার এই নেক ইচ্ছাটি কবুল করে নিয়েন |
আবার যেদিন আপনার ৪১ বার সূরা ইয়াসিন পাঠ করা শেষ হবে সেদিন আবার ১১ বার দুরুদে ইব্রাহিম পরে আল্লাহর কাছে দুআ করবেন | অনেকেই আছেন সূরা ইয়াসিন বাংলা তা দেখে পাঠ করেন তাতেও অসুবিধা নেই তবে ভালো হয় আরবি দেখে পাঠ করলে | কারণ অনেক সময় বাংলা দেখে পাঠ করে টান গুন্নাহ ঠিক থাকে না |
অনেকেই হয়তো জানেন না দুরুদে ইব্রাহিম কোনটা | যেই দুরুদ আমরা সবসময় নামাজে পড়ি সেটাই দুরুদে ইব্রাহিম | আর মনে রাখবেন আমলটি করার পাশাপাশি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন | আমলটি করার মাঝে যদি আপনার দুআ কবুল ও হয়ে যায় তাও আপনি ৪১ বার পড়া শেষ করবেন |
যেমন মনে করুন ১৮ বার পড়ার পর আপনার দুআ কবুল হয়ে গেলো তারপর আপনি ৪১ বার পড়ে শেষ করবেন | আর আমল টি করার সময় অবশ্যই মনে এই বিশ্বাস রাখবেন যে আল্লাহ আপনার দুআ অবশ্যই কবুল করবেন |
সবশেষে বলতে চাই সব কিছু দেয়ার মালিক আমাদের রাব্বুল আলামিন | তাই যে কোনো আমল করার সময় মনে রাখতে হবে আল্লাহ ভালো মনে করলেই আমরা সেই জিনিসটা আমাদের জীবনে পাবো | তাই কোনো সময় কিছু না পেলে আশাহত হওয়া যাবেনা | সবসময় মনে রাখতে হবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন | তাই যতদিন পর্যন্ত দুআ কবুল না হয় আল্লাহর কাছে দুআ করে যাবেন | ইন শা আল্লাহ একসময় না একসময় আপনার দুআ আল্লাহ অবশ্যই কবুল করবেন যদি সেটি আপনার জন্য আল্লাহ ভালো মনে করেন |