একটি মানুষের জিবনে একটি প্রশ্ন কখনো না কখনো আসে এবং সে প্রশ্নটি হচ্ছে । মশায় কামরানোর পরে আমাদের চুলকানি কেন হয় । আর এ প্রশ্নটা আসলেই কিন্তু যুক্তিসঙ্গত । কারন আমাদের দেশে মশার সমস্যাটা অনেক বিকট আকার ধারন করেছে । আর এর কারন হচ্ছে বিভিন্ন যায়গায় খোলা নালা এবং ময়লা আবর্জনা । এখন আসি কাজের কথায়, আসলে মশায় কামরালে কেন আমাদের সেখানে চুলকানি শুরু হয়ে যায় । প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে কেবলমাত্র স্ত্রী মশারাই কিন্তু আমাদের কামরায় । কারন স্ত্রী মশাদের তাদের ডিমের পুষ্টির জন্য আরও বেশি শক্তি অর্জন করতে হয় । যদিও পুরুষ এবং স্ত্রী মশা গাছ এবং ফুল থেকে নেক্টারস নিয়ে তাদের জীবন ধারন করে । কিন্তু স্ত্রী মশার একটু বেশি শক্তির প্রয়োজ পরে আর তাই স্ত্রী মশারাই কেবল কামরায় ।
তো চলুন এত কথা না বলে এখন আমরা মূল উত্তরটি জেনে নেই ।
সর্বপ্রথম একটি স্ত্রী মশা কোন ব্যাক্তির শরীল দ্বারা নির্গত কার্বনডাই অক্সাইড এবং তাঁর বডি হিটের উপর নির্ভর করে তারা শোষক দেহটিকে চিহ্নিত করে এবং যখন সে মশাটি ঐ ব্যাক্তিটির উপর এসে বসে, তখন সে মশাটি মানুষের শরিলের স্কিনে থাকা লেকটিক এসিডের মাধ্যমে সে যায়গাটিকেও চিহ্নিত করে ফেলে যেখান থেকে মূলত তাকে রক্ত পান করতে হব । একবার যদি কোন মশা সেই যায়গাটিকে চিহ্নিত করে ফেলতে পারে তখন মশা’ সে যায়গায় তাঁর থুথু ফেলে সেই যায়গাটিকে অবশ করে ফেলে । তখন সেই যায়গায় তাঁর তীক্ষ্ণ একেবারে ইঞ্জেকশকের মত দেখতে সুচ যেটিকে প্রোবুস্কিস বলা হয়, সেটিকে ইঞ্জেট করে দেয় শুধু মাত্র রক্তের খোজে । যখন সে তাঁর প্রবুস্কিস কে ইঞ্জেক্ট করে তখন সে রক্তের সন্ধানে তাঁর মুখের নিডিলটিকে ব্লাডভেন্সেসের দিকে এদিক সেদিক ঘুরাতে থাকে । তারপর যখন মশাটি স্কিনের ভিতর থাকা ব্লাডভেন্সরটি পেয়েই যায় তখন সে ব্লাডভেন্সেসের ভিতরে তাঁর মুখ থেকে সেলাইভা ইঞ্জেক্ট করে । যেন সেই নিডেলের আশেপাশে কোন ব্লাড ব্লকিং না ঘটে । তাঁর মানে হচ্ছে মশার সেই সুচের কাছে কোন রক্ত জামাট বাধবে না । তারপর মশাটি রক্ত চুষতে শুরু করে দেয়, এবং এই প্রকৃয়া ততক্ষন চলতে থাকে যতক্ষন পর্যন্ত না মশার পেট সম্পুর্ণ ভরে না যায় । অথবা যতক্ষন পর্যন্ত আমরা সেটিকে মেরে না ফেলি ।
এখন কথা হচ্ছে মশা আমাদের রক্ত খেয়ে যাওয়ার পর সেখানে আমাদের চুলকানী কেন হয় । সেখানে লাল রঙের বাম্পের মত কেন সৃষ্টি হয় । এর মূল কারন হচ্ছে মশা কামরানোর পর আমাদের ইনিও সিস্টেমের রিস্পন্স । যদি বাইরের কোওন জিনিষ আমাদের শরীলে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের ইনিও সিস্টেম খুব দ্রুতই একটিভ হয়ে যায় । সেই সাথে মশার সেলাইভাকে নষ্ট করার জন্য আমাদের ইমাইন সিন্টেম হিস্টামাইন নামক একটি ক্যামিক্যাল রিলিস করে যেটি সেই যায়গায় গিয়ে ভরে যায় যেখানে মশার সেলাইভা রয়েছে । যার কারনে সেখানে লালা রঙের একটি বাম্প সৃষ্টি হয় এবং সেখানে চুলকানী সৃষ্টি হয়ে যায় । তাঁর মানে হচ্ছে হিস্টামাইনই চুলকানোর প্রধান কারন । আপনি হয়তো লক্ষ করেছেন যে কিছু মশার কামরে সৃষ্ট বাম্প অনেক বড় আকৃতির দেখায় এর মুল কারন হচ্ছে মশাটি বাল্ডভেন্সটি খোজার সময় অনেক বেশি সেলাইভা সেখানে ঢুকিয়ে দেয় । এ কারনেই সেখানে বর বাম্পের সৃষ্টি হয় । বেশির ভাগ মানুষ মশার কামর বুঝতে পারে না কিন্তু যখনি সে বুঝতে পারে তখনী সেখানে চুলকানী সৃষ্টি হয়ে যায় ।