ফুল বাগানের সৌন্দর্য ফুলে। ‘মানব জীবনের সৌন্দর্য মানুষ’।মানুষ মানুষের পরম প্রিয় সম্পর্কের বাজুবন্ধ একটি নাম মানুষ।সৃষ্টিকূলের এ গুলবাগে মানব ফুলগুলো নিকুঞ্জে কাননে ফোটা সুগন্ধিযুক্ত প্রস্ফুটিত গোলাপ থেকে কোমল-কমল ও প্রস্ফুটিত এক গোলাপ।যে তাঁর মনুষ্যত্ব মহিমার রূপ উজ্জ্বল করে সম্পর্কের দৃঢ়গামী হৃদয়,যত্ন করে আপন মহিমায় গোলাপগুচ্ছের ন্যায় বিকশিত হয়,তাঁর মত অপূর্ব গুণবতী রূপবতী সুগন্ধিযুক্ত প্রস্ফুটিত ফুল কী আর হতে পারে? বাগানে ফুল না ফুটলে ফুল বাগান হয় না। আর সম্পর্কহীন মানুষ বিহনে মানব পরিবার ও সমাজ ফুটে ওঠে না।
ঔষধি ফল পাকিলে মরে তবুও তাঁর ফল বিদ্যমান। আবার শত ফুলের মাঝে গোলাপও ফুটিলে ঝড়ে,থাকে তাঁর গান।মানুষ ও তাঁর সম্পর্ক যেন তেমনি ফুলের মতন। তবে সুগন্ধি বিহনে ফুল যেমন ফুল হয়ে ফুটেও গোলাপের মত কারো হৃদয় দখল করার গৌরব অর্জন করতে পারে না। সম্পর্কহীন মানুষ ও ঠিক তেমনি ভাবে মানুষ হয়েও মানুষের হৃদয় দখল করতে সক্ষম হয় না। মানব প্রেমের ভেলা দুটি ভিন্ন বর্ণের ভালো মেজাজে ভেসে বেড়ায়, যা আলতো হাতে আলগা ভাবে কোন কিনারে পৌঁছান সম্ভবপর নয়।
মানব প্রকৃতির সংসার তো এমনি যে, এ সংসারে সমরঙ্গনের হৃদয় শূন্য মানুষ যেন মানুষই নয় বলা চলে!যে হৃদয় ভালোবাসা থাকে সে হৃদয় অযত্ন অবহেলায় ভালোবাসা শূন্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। সুহৃদ বন্ধনে সম্পর্কে সুতো ভালোবাসার রসে সিদ্ধ ও সিক্ত করে না নিলে সে সুতো হঠাৎ একদিন ছেঁড়ে নিমেষেই,, তারপর কখনো তো আর জোর করেও জোড়া লাগানো যায় না। বরং এমন একদিন আসে যে সম্পর্কীত মানুষটি অতি কাছাকাছি থাকার পরও কুয়াশার মতো দেখা যায় কিন্তু চাইলেও ছোঁয়া যায় না। প্রবাদ আছে, আলগা হতে থাকা সম্পর্কের সুতো হঠাৎ একদিন ছেঁড়ে নিমেষেই,, তারপর কখনো তো আর জোর করেও জোড়া লাগানো যায় না।
বস্তুত ভালোবাসা প্রকৃতির এক অলৌকিক শক্তিও বটে, যা আকাঙ্ক্ষা এবং ভালবাসার তীরে শিকার করে নিতে সেক্ষেত্রেও অজস্র ক্ষত লুকিয়ে স্বচ্ছ মনের ঔদার্য ইচ্ছাশক্তি দ্বারা পরিচর্যা করতে সক্ষম হলে তখন তাঁর উজ্জ্বলতর সুগন্ধি ও সম্পর্কের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে।’গোলাপ হতে কোমল রূপ প্রশংসনীয় আত্মার’সেই সে মন যে, শোভিত করে পুষ্পিত স্বরূপ পারফিউমের মত মহত্ত্বের সুঘ্রাণ।
উদ্বুদ্ধ হন মানবতা প্রেমের মহান আদর্শে এবং তাঁর থেকে বিকশিত হয় প্রেম ধর্ম, বিশ্বাস, মানবীয় শ্রী আর মানবতার জয় গান। অপরদিকে নিকৃষ্ট স্বভাব,অসার অপদার্থ বর্জ্যের চেয়েও দুর্গন্ধযুক্ত যা সকলের কাছেই বর্জনীয় বলে পরিত্যাজ্য।এহেন নিকৃষ্ট ও দুষ্ট লোকের দুশ্চরিত্র প্রকাশ পেলে সম্পর্কের সুতোয়ে তারপর কখনো আর জোর করেও তাকে জোড়া লাগানো যায় না। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের কাছেও তাঁর ঠাঁই মেলতে চায় না।এজন্যই ‘মানবজীবনের সৌন্দর্য মানুষ মানুষের সম্পর্ক’এর মধ্যে বিদ্যমান থাকে।