আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমাদের দুই ধরনের স্বাস্থ্য রয়েছে।একটা হচ্ছে শারীরিক স্বাস্থ্য।আর অন্যটা হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য।শারীরিক স্বাস্থ্যর মাধ্যমে আমরা কোনো কাজ করার জন্য পরিশ্রম করে থাকি।শারীরিক স্বাস্থ্য আমাদের কাজ করার শক্তি দেই।কিন্তু আমরা যদি মানসিকভাবে প্রস্তুত না হই কাজ করার জন্য তাহলে শারীরিক স্বাস্থ্য দিয়ে কিছুই হবে না।কিন্তু আমরা কোনসময় মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেই না।মানসিকভাবে যদি আমরা শক্তিশালী না হই তাহলে আমরা জীবনে কোনোদিন সফল হতে পারবো না।যদি অল্পতে আমরা ভেঙে পরি,একবার ব্যর্থ হয়ে হাল ছেরে দেই।তাহলে তো আমরা জীবনে কোনো সময় সফলতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারবো না।তাই আজকে আমি আপনাদের মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হয় কিভাবে সেই সম্পকে কিছু উপায় বলবোঃঃ
১.সবসময় পজেটিভ চিন্তা করতে হবে।আমরা যদি কোনো কাজ করতে পারবো না,ওইটা পারবো না বলে ফেলে রাখি তাহলে তো কোনো কাজেই আমরা সফল হতে পারবো না।তাই নেগেটিভ চিন্তা না করে পরেরবার থেকে পজেটিভ চিন্তা করতে হবে।দেখবেন কাজটা অনেকটা আপনার সহজ হয়ে গিয়েছে।
২.লোকে কি বলবে সেই চিন্তা বাদ দিন।দেখুন আমরা শুধুমাএ মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা কাজ করি না।একটা কথা মাথায় রাখবেন প্রথিবীতে কোনো কাজ ছোট না আপনি যদি মনে করেন এই কাজটা করলে সমাজের ভালো হবে, আপনার ভালো হবে।তাহলে অব্যশই সেই কাজটা করবেন।
৩.সবসময় মোটিভেটেড থাকবেন।আমরা যখন কোনো মোটিভেশনাল ভিডিও দেখি বা সফলতার ভিডিও দেখি আমরা ঠিক ততক্ষুনি মোটিভেটেড থাকি।বা বড়জোর দুই,চারদিন থাকি তারপর ঠিক আবার সবকিছু আগের মতই হয়ে যায়।
৪.একটা দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা করুন।কারন জলদি মেলে যাওয়া জিনিস বেশি দিন থাকে না।আর যেইজিনিস জলদি মেলে না সেই জিনিসটায় দির্ঘস্থায়ী হই।তাই ৫ বছর বা ১০ বছরের একটা লক্ষ নিধারিত করুন এবং প্রতিদিন চিন্তা করুন ৫ বছর পর আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান।
আর সবশেষে প্রতিবারের মতো একটা কথায় বলতে চাই সেইটা হলো,
ঘরে থাকুন,সুস্থ থাকুন।