“আসসালামু আলাইকুম”এই পৃথিবিতে মায়ের মতোন যেন আর কেউ নেই। মা এক নামে এতো মায়া, মধু ও মমতা জড়িয়ে আছে যা আর কোথাও পাওয়া যায় না। মা ডাকে এতো শান্তি ও মধুময় যা অন্য ডাকে শান্তি খুজে পাওয়া জায় না। এই পৃথিবিতে সব থেকে বেষ্ট বন্ধু হলো মা। মায়ের কাছে সব কিছু শেয়ার করতে পারে। মায়ের মমতা যেন মরণের আগে মা ভালোবাসা, আদর ও স্নেহে সন্তানকে আগলে রাখে। প্রতিটা পহর যেন মা তার সন্তানের জন্য অপেক্ষা করে থাকে।মা তার সংসারিক সত কাজের মাঝেও তার সন্তান কে ভুলে না।
একটা মা যখন সন্তান কে গর্ভে ধারন করে,তখন শুধু মা যিনি তিনিই বলতে পারেন
গর্ভে রাখাটা কত কঠিন ও জন্তনা দায়ক। দশমাস দশদিন মাকে যে কষ্ট শিকার হতে হয় সে শুধু মা যিনি তিনিই বুঝেন।তারপরও একজন মা তার সন্তানের আশায় থাকে, সন্তানের মুখ দেখার জন্য।কত মা যে সন্তানকে জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তা হিসাব নেই।জীবন মরণের ঝুকি নিয়ে একজন মা সন্তানকে
জন্ম দিয়ে থাকেন।যখন মা তার সান্তানকে জন্ম দেয়,তখন সন্তানের মুখ দেখলে মনে হয় সব দুঃখ অবসান হয়ে যায়।
সন্তানকে জন্ম দেওয়ার সাথে সাথে সন্তানের সব দুঃখ, কষ্ট মা শেয়ার করে নেয়। একজন মা পাড়ে নিজে না ঘুমিয়ে সন্তানকে ঘুম পাড়াতে। নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়াতে। নিজে ভালো কাপড় না পড়ে সন্তানকে পড়াতে। যা এই কাজ গুলো মা ছাড়া অন্য কারো পক্ষে সম্বভ না।
এই পৃথিবিতে সব থেকে আর্দশ শিক্ষক হলো মা। যিনি জন্ম থেকে সন্তানকে শিক্ষা দিয়েও ক্লান্ত হন না। যে শিক্ষা সন্তানের জন্য ভালো হবে মা সে শিক্ষায় সন্তানকে দিয়ে থাকেন। সন্তান যখন কষ্ট পায় মনে হয় কষ্টটা সেই মা পেয়ে থাকেন। সন্তান যখন কোন বিপদে পড়ে
সবার আগে মায়ের মন জেগে উঠে। মনে হয় আল্লাহ তায়ালা সন্তানের কোন বিপদের কথা মাকে আগেই জানিয়ে দেয়। মা যখন গুমিয়ে থাকে তখনও মায়ের কানটা যেনো সন্তানের দিগে পড়ে থাকে। তখনও সন্তানের ডাকটা মায়ের কানে ভেসে বেড়ায়।
মা তোমার মুখে দেখেছি শত শত হাসি। কখনো দেখিনি তোমায় মাগো একটুও রাগি।তোমার বুকে মাগো যখন মাথা পেতে গুমাই পাই কিযে শান্তি। মাগো তুমিই হলে আমার শিশু কালের খেলার সাথী। তুমিই আমার চিরদিনের সুখ দুঃখের সাথী। তুমিই দেখালে মাগো সুনন্দর এ ভুবন। তুমিই দেখালে মাগো বেঁচে থাকার আশা। সব মাকে জানাই সেলুট।
আল্লাহ পাক প্রবিত্র আল কোরআনে বলেছেন। মা – বাবা হুকুম মানার জন্য। রাসুল সালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করেছেন।মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত।
আমাদের উচিত মায়ের কথাগুলো মানা।
তাদেরকে সন্মান করা। তাদের আদবের সহিত ভালো ব্যবহার করা যাতে তাদের মনে কোন কষ্ট না হয়। আল্লাহ যেন সব মায়েদের নেক হায়ত বাড়িয়ে দিক। আমিন।