১৮-৩৬ মাস বয়স থেকে শুরু করতে হবে। মনে হতে পারে বাচ্চা বুঝবে না, কিন্তু ব্রেইন ঠিকই ক্যাচ করে নিবে।চলুন আলোচনায় চলে যাইঃ
আকিদাহ্ঃ
– আল্লাহ কোথায় আছেন? তোমার রব কে? কে তোমাকে বানিয়েছেন?
– বাচ্চার সাথে কথা বলুন আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে (আকাশ, গাছ-পালা, ফুল প্রজাপতি কে বানিয়েছেন?)
আযকার/ ডেইলি দু’আঃ
– ঘুম থেকে উঠার দু’আ, ঘুমাতে যাওয়ার আগের দু’আ।
– খাওয়ার আগের দু’আ, খাওয়ার পরের দু’আ।
– হাঁচি দিলে কি বলতে বলতে হয় ( ফর প্যারেন্টসঃ আলহামদুলিল্লাহ, নট এক্সকিউজ মি)
– সালামের প্রচার শেখানো, ছোট-বড় সবাইকে সালাম দেয়া।
– বাথরুমে যাওয়ার দু’আ, বের হওয়ার দু’আ।
– বাসা থেকে বের হওয়ার দু’আ।
– সব কাজ করার আগে বিসমিল্লাহ বলা।
– যে কোন কাজ করবো বলার আগে ইনশাআল্লাহ বলা, সুন্দর কিছু দেখলে মাশাআল্লাহ বলা, কোন কিছু গিফট পেলে জাযাকাল্লাহু খায়ির বলা।
কুরআনঃ
– রেগুলার কুরআন বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন। বাচ্চা পাশে বসে থাকতে পারে।
– ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী, সূরা ফাতিহা, কূল যুক্ত সূরা বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়েন। খুব দ্রুত দেখবেন বাচ্চা আপনার সাথে পড়ছে।
আখলাকঃ
– খাবার এবং পানি ডান হাতে খাওয়া, বসে খাওয়া এবং বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া।
– যে কোন কাজ করার আগে বাবা-মায়ের পারমিশন নেয়া, “প্লিজ” বলতে শেখানো। ভুল হলে “সরি”।
– যত ছোট বয়সই হোক, পোশাক বদলানোর সময় লজ্জ্বার ধারনা দেয়া। অন্যদের সামনে বাচ্চার ডায়াপার চেইঞ্জ করবেন না। আড়াল রাখুন।
– শেয়ারিং শেখান। যে কোন কিছু অন্যদের সাথে শেয়ার করলে প্রশংসা করুন। ভালো কাজগুলোকে এপ্রিশিয়েট করুন এবং এভাবে রিলেট করুন, আল্লাহ্ এটা পছন্দ করেন… , রসূল (সাঃ) এভাবে বলেছেন…
সিরাহ্ঃ
– রসূল (সাঃ) এবং সাহাবীদের গল্প বলুন।
– ছোট হাদীসগুলো গল্পের মতো করে বলুন।
– কুরআনের ঘটনাগুলো নিজের ভাষায় গুছিয়ে বলুন।
ইবাদাহ্ঃ
– নামায বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন। না দাঁড়ালেও খেলার এরিয়া যাতে আশেপাশে থাকে।
বাবা-মায়েদের জন্য টিপসঃ
– এই বয়সী বাচ্চাদের ধরে-বেঁধে শেখানোর কিছু নেই। নিজেদের লাইফে প্র্যাকটিস করলে, বাচ্চারা দেখেই শিখবে। নিজের লাইফে নাই কিন্তু আশা করি, বাচ্চাকে শেখাতে পারবো- এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসুন। আমি যদি চাই বাচ্চা ইসলামিক মাইন্ডের হবে, তাহলে আগে নিজেকেই সেই ছাঁচে গড়ে নিতে হবে।
– বাড়িতে নামায পড়ার ক্ষেত্রে, সূরা জোরে পড়তে পারেন যাতে বাচ্চা শুনতে পায়। মাসনূন দু’আ গুলো বাচ্চাকে সাথে নিয়ে পড়ুন। বাচ্চারা শুনতে শুনতেই শেখে। আলাদা করে শেখানোর দরকার নেই।
– বাচ্চাকে আগে আল্লাহ্কে ভালোবাসতে শেখান। যেমনঃ আল্লাহ্ রাগ করবেন, এটা বলার বদলে আল্লাহ্ এভাবে এভাবে করলে খুশি হবেন- এরকম বলতে পারেন। তাকে জানান, আল্লাহ্ই সবচাইতে বেশী ভালোবাসে তাকে, এমনকি বাবা-মায়ের চাইতেও!
– রসূল (সাঃ) এর সুন্নাহ্র প্রতি ভালোবাসা গড়ে তুলুন। যে কোন ব্যাপারে উনাকেই রোল মডেল করুন।
– সুস্থতা- অসুস্থতা আল্লাহ্র কাছ থেকে আসে, ধারনা দিন। যে কোন
ধরনের ব্যাথা পাওয়ায় বা অসুস্থতায় একমাত্রই আল্লাহ্ই তাকে সুস্থ করবে এটা বোঝান।
– জান্নাত সম্পর্কে ধারনা দিন। সেটা কত চমৎকার জায়গা সময়ে সময়ে বর্ননা করুন। যাতে এই জায়গায় যাওয়ার ব্যাপারে বাচ্চার আগ্রহ মাথায় গেঁথে যায়।
– মসজিদের সাথে এটাচমেন্ট তৈরী করে দিন। সম্ভব হলে বাচ্চাকে জামাতে নামায পড়ার সময় সাথে রাখুন। সে কোন মসজিদ ভিত্তিক হালাকায় সাথে রাখুন।
– বাচ্চাকে ভালো মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন, বাই প্রোডাক্ট হিসেবে ভালো মানুষ সে এমনিতেই হবে।