একদা বাদশা ইব্রাহিম ইবনে আদাম তার বাদীকে বলল,বিছানা বিছাও।সে বিছানা বিছিয়ে দিল।
কিন্তুু নিজেই তার উপর শুয়ে পড়ল।
গুমের অতল রাজ্যে হারিয়ে গেল।
ইব্রাহিম বিন আদাম এসে তাকে চাবুকের চারটি মার দিল।
এবং বলল কুত্তা!আমার বিছানাই ঘুমিয়েছিস।
বাদী বাদশাকে দেখলো এবং কাদঁতে লাগলো।
তারপর উপরের দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগল।
বাদশা জিঞ্জেস করে বললো কান্নার ও হাসার কারণ বুঝে আসলো না।
সে বললো কান্নার কারণ হলো চাবুক মেরেছেন।
জালেম!তুমি মেরে ফেলেছো।হাসার কারণ হে আল্লাহ কাদের! আমি এই বিছানাই পাঁছ মিনিট শুয়েছিলাম তাই চাবুকের পাঁচটি মার খেতে হলো।
যে শরাব পান করে সারা রাত ঘুমিয়ে থাকে। খোন খবর নাই।
তাকে যে কত চাবুক খেতে হবে।
এই কথা শুনার পর আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ বাদশার মুখ থেকে আওয়াজ আসতে লাগল।
কোথায় সিংহাসন!কোথায় মুকুট!কোথায় জুতো!সোজা মসজিদে এসে কিবলামুখী হয়ে বলতে লাগল, আমি বাদশা নই।হে আল্লাহ তুমিই বাদশাহ।
আমি কদাকার নাপাক বীর্যের ফোটাঁ,
আমি অক্ষম মুখাপেক্ষী।
আমাকে ঐ বাদী সবক শিক্ষা দিয়েছে।
আল্লাহ আর আমি বিছানায় শরাব পান করব না।
এখন চাঁটাইয়ের উপর কেঁদে কেঁদে আপনার কুরআন পড়বো,
এবং আপনার ইবাদত করব।তার বুঝ এসে গেছে।দু আ করুন, আল্লাহ আমাদেরকেও বুঝ দান করেন।
এই গল্পটি বুঝার জন্য আপনারদের আরো কিছু কথা মনে রাখতে হবে।
সম্মানিত বন্ধগণ…..
মৃত্যু সত্য।
একটি কথা সবাইকেই বলি।প্রত্যেক জিনিসের মতভেদ রহিয়াছে। নাস্তিক রা বলে আল্লাহ ই নেই।
কেউ বলেন আছে তবে রিটায়ের্ড করছেন।কেু বলে ইয়া আলী মুশকিল সমাধন কারী,কেউ বলে ইয়া বাহাউল হক।
কেউ বলে ইয়া মুঈনুদ্দীন চিশতী আমার নৌকা পার করে দাও নদী।
জানিনা আরো কত কী যে বলে থাকে।
কেউ বলেন আল্লাহ আছেন তবে তিনি রিটায়ের্ডে।
তিনি সাহায্য করতে পারেন, না তিনি আলিমুল গায়েব ইত্যাদি,ইত্যাদি।
নবী নিয়ে মতভেদ আছে। কাদিয়ানী নবী।
যদি বিশ্বাসে না ঠেকে তবে মুহাম্মদ সা. কেও মানে না।
আর বিশ্বাসে ঠেকলে কানা অন্ধকেও মেনে নেয়-
যেই কানার এক চোখ নেই,যার বহুমূত্র রোগ ছিলো,যে পায়খানে মরেছে—কিছু লোক তাকে নবী মানে।আমরা তাকে নির্বোধ মনে করি।
কাকে নবী মানা দরকার ছিল আর তার মোকাবেলায় কাকে নবী মানছে!
আবু বকর রাযি. তায়ালা কে নিয়ে মতভেদ করে বলছে আমরা মোমেন আর আবি বকর রাযি.মুনাফিক।
বলে,কুরআন কে বকরী খেয়েছে।মদিনাতে দ্বীন নেই।
সব কিছু নিয়ে এভাবে সন্দেহ আর ঝগড়া আছে কিন্তুু মৃত্যু নিয়ে নেই কোন ঝগড়া, নেই কোন সন্দেহ।
আসুন আসুন আমরা নিজের জিবন সৃষ্টি কর্তার দিকে ফিরাই। আমীন।