আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই, মোবাইল ফোন কিভাবে আবিষ্কার হলো।মোবাইল ফোন আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অবদান। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে মোবাইল ফোন। কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সমণ্বিত মিনি সংস্করণ এ তারবিহীন মুঠোফোন। যতই দিন যাচ্ছে নিত্য-নতুন সেবা নিয়ে হাজির হচ্ছে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার। মাত্র দুই যুগ আগেও মোবাইল ফোন কেবল নাগালের বাইরে ছিল না, বলা যায় এটা ছিল তাদের ধারণার ও অতীত। মোবাইল ফোনের প্রথম ব্যবহার হয় ১৯২৬ সালে জার্মানির বার্লিন হামবুর্গ চলাচলকারি প্রথম ট্রেনে। ১৯৫০ সালে গোড়ার দিকে জার্মানির রাইন নদীতে বিনোদনের জন্য চলাচল করা নৌযানে সাধারণ লোকের জন্য ব্যবহার উপযোগী মোবাইল প্রথম চালু হয়।প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মোবাইল ফোন আবিষ্কার করে সুইডেনে ফোন কোম্পানি এরিকসন। যার ওজন ছিল ৪০ কেজি। তারপর ১৯৬০ শুরুতে বিপুল পরিবর্তন আসে। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গত ২০ বছরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে ৪.৬ বিলিয়নে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে একুশ শতকের শুরুতে মোবাইল জগতে পরিবর্তন সাধিত হয়। এর আগে বিংশ শতাব্দীর শেষদিকে এর ব্যবহার শুরু হলেও তা ছিল খুবই সীমিত পরিসরে। বর্তমানে ছোট আকারের বিভিন্ন ধরনের মোবাইল সেট সহজলভ্য। এসব সেটে প্রযুক্তিগত সুবিধা অনেক। মোবাইল ফোন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানাবিধ সুবিধা ভোগ করছে। জীবনে গতি আনতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। মোবাইল ফোন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করছে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে।মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে যেকোন ব্যক্তির সাথে সরাসরি ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়। যেকোনো স্থান থেকে বিশ্ব ঘটনাকে জানার জন্য মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। মোবাইলের মেসেজ অপশন থেকে সহজে কথা না বলে বিশেষ তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। পূর্বে মানুষকে বিদ্যুৎ বিল পানির বিল গ্যাস বিল প্রভৃতি দেয়ার জন্য ব্যাংকের লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হত। এ সমস্যা সমাধানের সহজ পথ বের করে দিয়েছে এটি। এতে মানুষের সময় ও অর্থ সাশ্রয় করছে।এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোবাইল ফোনের কোম্পানিগুলোতে বহু লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। যেমন বাংলাদেশের ৬টি মোবাইল কোম্পানিতে প্রায় ৫লক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। ভালো-মন্দ নিয়ে পৃথিবীর সকল কিছুর সৃষ্টি। প্রতিটি যন্ত্রের মাঝে যেমন ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিকও আছে। তবে এটি নির্ভর করে একান্তই ব্যবহারকারীর ওপর। মোবাইল আধুনিক প্রযুক্তি এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এটি সভ্যতার চেহারাকে পাল্টে দিয়েছে। এর আবিষ্কারের মাধ্যমে বর্তমান আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপুল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের জীবন ও জগৎ আরও বর্ণিল হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ সবাইকে।
চিকিৎসা ক্ষেএে বিঙ্গান ও প্রযুক্তির অবদান
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (Science and Technology) একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতির লালনভূমি হিসেবে বাংলাদেশ অতি প্রাচীনকাল থেকেই সুপরিচিত। মৌসুমি জলবায়ু আর উর্বর...