কাজ সমাপ্তির সময়সীমা প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ করতে পারেনী ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কের সংস্কার ও প্রস্তুতকরণ কাজ । যার ফলে বৃষ্টির কারনে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় খানাখন্দের স্রৃষ্টি হয়েছে । এতে দূর্ভোগে পরেছে সে পথে চলাচলরত বিভিন্ন যান সহ পথচারীগণ । এমন পরিস্থিতিতে এখনো পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করার তাগিদ নেই সড়ক ও জনপথ প্রসাশন বিভাগের এমন অভিযোগ তুলেছে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ সড়কে চলাচল করা সচেতন মহল ।
অভিযোগ উঠেছে রাস্ততা সংস্কারে ব্যবহৃত কাচামালের গুনগত মান নিয়েও । এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা বলছে বর্ষা ও করোনার জন্য কাজ সাময়িক বিঘ্নিত হচ্ছে । তবে অতি শিগ্রই আবার পূনসংস্করন কাজ শুরু হবে এবং শেষ হবে । তবে এই পরিস্থিতিতেই বর্তমানে কিছু কিছু জায়গায় কাজ চলছে তবে সেটা অনেক ধীর গতিতে । আর এই কারনেও স্যামগঞ্জ থেকে নেত্রকোনা পর্যন্ত বিভিন্ন যায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্ট্রি হয়েছে । প্রতিদিন যান চলাচল অব্যাহত থাকায় সেসব গর্ত দিন দিন আরো বড় আকার ধারন করছে ।
অনেকের ভাষ্য মতে যখন বাজারের সামনে গাড়ির গতি বেশি থাকে তখন রাস্তার গর্তে জমে থাকা পানি পথচারীর শরিলে গিয়ে ঘটছে অনাকাংখিত দূর্ঘটনা । আবার মাঝে মাঝে অটো রিকশা উলটে ঘটছে দূর্ঘটনা ।এছাড়াও অনেক সময় বিভিন্ন যান বাহলে চরতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া । এতে করে জনসাধারণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ সৃষ্ট্রি হচ্ছে ।
অনেকেই বলছেন সংস্কার কাজ সময় মত শেষ না করায় এই জনদূর্ভোগের কারন । বর্ষার আগেই কাজ শেষ করার কথা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের । কিন্তু তাদের গাফিলতির কারনে কাজ শেষ হয়নি । এতে করে জেলার পূর্বধলার হিরনপুর, শ্যামগঞ্জ বাজার সহ আর বিভিন্ন জায়গায় এসব খানা খন্দের সৃষ্টি হয়ে ।
নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্যামগঞ্জ থেকে সদর উপজেলার কান্দুলিয়া পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ১৯ কিলোমিটার। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এই সড়কের সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। প্রায় ১০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এই কাজ সমাপ্তির মেয়াদ নিধার্রণ করা হয়। দুটি প্যাকেজে এই কাজ ভাগ করা হয়। প্রথম ভাগে পেট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং ও তানভির কনস্ট্রাকশন নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং দ্বিতীয় প্যাকেজে কাজ পায় এমএম বির্ল্ডাস, ইনফ্লাটেক ও তানভির কনস্ট্রাকশন নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান। কিছুটা বিলম্বে কাজ শুরু করে তারা। সড়কের কিছু কিছু জায়গায় কাজ করলেও বেশিরভাগ কাজ এখনও বাকি। এতে করে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই সড়কে চলাচল করা যাত্রীদের। এছাড়াও কাজে ব্যবহৃত মালামলের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানভির কনস্ট্রাকশন এর ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের কাজে ব্যবহৃত সকল মালামাল বুয়েট থেকে পরীক্ষা করে তার পর কাজে লাগানো হয় এবং সড়ক বিভাগের লোকজন তখন সাইডে উপস্থিত থাকে। সুতরাং খারাপ মাল ব্যবহারের কোনও সুযোগ নেই । এছাড়াও গত বছরে নেত্রকোনায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আমাদের কয়েক লাখ ফুট বালি পানিতে ভেসে যায়। পরে করোনার কারণে কাজ করা যায়নি। তবে যে কাজ বাকি আছে তা আগামী ৩ মাসের মধ্যেই শেষ হবে।