কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।অনলাইন থেকে লাইফটাইম ইনকামের উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।যতদিন যাচ্ছে এর চাহিদা শুধু বেরেই যাচ্ছে।এই ফ্রিল্যান্সিং কমিয়ে আনছে বেকারত্বের হার।যেকোনো মানুষ ইচ্ছে করলেই ইচ্ছে করলেই ফ্রিল্যান্সিংটাকে পার্টটাইম বা ফুলটাইম ইনকামের পথ হিসেবে নিতে পারে।
বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এই পেশা হচ্ছে সম্ভাবনার একমাএ দুয়ার।কারণ অনেক পরিবার চাই তার মেয়ে চাকরি না করুক।যদিও সমাজ এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে তার পরও অনেক পরিবার মেয়েদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদেরকে চাকরি করতে দেয় না।কিনু ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু বাসায় বসে করা যায় তাই তাদের ইনকামের নতুন দিগন্ত হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সুযোগ সুবিধার শেষ নেই।তবে এখানেও বেরে চলছে দিন দিন প্রতিযোগিতা।তাই কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।তাছাড়াও শুধু কাজ পেলেই হয় না।ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ এর ও ভালো দক্ষতা থাকতে হয়।
আজকে আমি এমন ৫ টি দিক তুলে ধরবো যেইগুলোর একটার কারণে হলেও নষ্ট হতে পারে আপনার স্বপ্নের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।কিন্তু চিন্তা করার কারণ নেই কারণ আমি সমস্যাগুলোর সমাধান ও দিয়ে দেবো।
১.প্রতিনিয়ত কাজ না শিখলে ব্যর্থ হতে পারে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।
সমস্যা;ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে নিজেকে সবসময় আপডেট রাখতে হয়।আপনি যেই জিনিসগুলো জানেন সেগুলো দিয়ে ইনকাম করছেন আর যেগুলো জানেন সেগুলোর জানার চেষ্টা ও করছেন তাহলে নষ্ট হতে পারে এই ক্যারিয়ার।
সমাধান;আপনি ইনকাম চালিয়ে যান।তবে প্রতিদিন আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘন্টা নতুন কিছু শেখার জন্য সময় রাখবেন।তাহলে আর সমস্যা হবে না।
২.যদি ধৈর্যো না থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি ব্যর্থ হতে পারেন।
সমস্যা;এখানে প্রতিনিয়ত যেমন কাজ বাড়ছে।তেমনি প্রতিনিয়ত বেরে চলছে প্রতিযোগিতা।প্রচুর মানুষ এখন ফ্রিল্যান্সিং করছে যেই কারনে আপনি কাজ দেরিতে পেতে পারেন।তাই বলে ধৈর্যো হারা হয়ে গেলে আপনি ব্যর্থ হবেন।
সমাধান;নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।আর স্ক্রিল ডেভেলপ করে এগিয়ে যান।একটু ধৈর্যো ধরুন তাহলেই সম্ভব।
৩.ইংরেজিতে কথা এবং লেখার দক্ষতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য না।
সমস্যা;ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি কাজগুলো করবেন সেগুলো আপনাকে বায়াররা দিবে আর বায়াররা সাধারনত আমেরিকা,ইংলেন্ডে,নিউজিল্যান্ডের হয়ে থাকে।তাই কথা বলার জন্য আপনাকে ইংরেজি জানতে হবে।
সমাধান;ইংরেজির কারনে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার থেমে থাকতে পারে না।প্রতিদিন যদি ইংরেজিটা একটু প্রেক্টিস করেন তাহলে ৩ মাসের মধ্যে আপনি এক্সপার্ট হয়ে যাবেন।
৪.কাজের সম্পর্কে ধারণা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং এ ধৈর্যো ধরে ও কোনো লাভ নাই।
সমস্যা;অনেক মানুষ আছেন যারা ইনকাম দেখে কাজ না শিখে চলে আসেন আবার অনেক মানুষ আছেন যারা কাজ ৫০ ভাগ ৬০ ভাগ পারলে ও সেই কাজের জন্য বিট করে।দুইজনের ক্যারিয়ার গড়বে না ফ্রিল্যান্সিং এ।
সমাধান;ভালোভাবে সময় দিতে হবে।কাজ শিখতে হবে।যেইকাজগুলো ভালোভাবে সেটার জন্য বিট করতে হবে।
৫.স্ক্রিল ডেভেলপ করা বন্ধ করে দিলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারও একসময় বন্ধ হয়ে যাবে।
সমস্যা;ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে শুধু ছোট খাটো বিষয়ে এক্সপার্ট হলে চলবে না।একাধিক বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে।আর না হলে দেখবেন ইনকাম একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
সমাধান;নিজেকে জিজ্ঞেস করুন কোথায় ঘাটতি আছে।সেই জায়গায় আরও শিখুন।দেখবেন সমস্যার সমাধান হয় যাবে।
কোনো সমস্যাটাকে বড় করে না দেখে সবসময় উচিত সমাধান বের করার।উজ্জ্বল হোক আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।