আসসালামু-আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আমি যে আর্টিকেল টি লিখছি সেটি মূলত যেকোনো বইয়ের সারাংশ লেখার শুহজ উপায়সমূহ নিয়ে লিখছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। কোন বই এর সারাংশ লেখার মাধ্যমে আপনি কি পরছেন তা নিবিষ্ট করা খুবি সহজ। তাছাড়াও আপনি বই’টির সারাংশ তৈরি করার মাধ্যমে আপনার প্রাসঙ্গিক জীবনে সেটি কাজে লাগাতে পারবেন। একটি সুন্দর সারাংশ লেখার জন্য প্রথমেই বইটি মনোযোগ সহকারে পরুন এবং প্রধান চরিত্র, গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য, লেখকের মতামত ভালভাবে হাইলাইট করে রাখুন। তাহলে এবার আসুন কোন বই এর সারাংশ লেখার সহজ ৩ টি পদ্ধতি আমরা জেনে নেই:
০১। প্রথম যে কাজটি আপনি করবেন তাহলো বইটি পরার সময় গুরত্তপূর্ণ অংশের টিকা করা। এর মাধ্যমে বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আপনি সহজেই পরে খুঁজে বের করতে পারবেন। (অবশ্যই টিকা এবং হাইলাইট করার সময় খেয়াল রাখবেন বইটি আপনার নিজের কিনা। আমরা এই ভুলটি প্রায় করে থাকি। এবং এতে করে আমাদের নিজেদের বেক্তিত্য নষ্ট করি। টিকা তৈরি করার সাথে সাথে আপনি বইটি পরার সময় সাথে আপনার বেক্তিগত নোট-বুক টি রাখবেন যাতে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ অংশ আপনি নোট করে রাখতে পারেন। নোট-বুকে প্রতিটি প্রধান চরিত্রের একটি লিস্ট তৈরি করার চেষ্টা করবেন। আরও একটি সর্বগ্রহণযোগ্য বিষয় হল আপনি যেই বইটি পড়ছেন সেটিকে ৩ টি ভাগে ভাগ করে নেয়া। এবং প্রতিটি ভাগের প্রধান দৃশ্য ও আলোচনা শনাক্ত করার চেষ্টা করা। এবং সর্বশেষে বইটির মূল বক্তব্য নোট করে রাখা অর্থাৎ ৩ টি ভাগের মূল বক্তব্য লিখে রাখা।
০২। বইটি মনোযোগ সহকারে পরার জন্য কিছু টিপস এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে একটি মনোরম এবং নিরব পরিবেশ খোঁজা এবং বইটি ১৫-২৫ মিনিট এর ছোট ছোট ব্লক এ পরার চেষ্টা করা। তারাপরও আপনি নিজের মত করে জায়গা এবং সময় ঠিক করে নিতে পারেন। বইটি শেষ করার জন্য যে সময় আপনি ঠিক করবেন সেটি আগেথেকেই বিবেচনা করার প্রয়োজন আছে নয়ত আপনি মনোযোগ হারিয়ে ফেলবেন। গুরুত্বপূর্ণ প্যাসেজগুলো বারবার পরবেন এবং প্রধান চরিত্রগুলোতে বেশি সময় ব্যয় করবেন। এবং সর্বশেষে অপ্রয়োজনীয় অথবা অগুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
০৩। সারাংশ লেখার শুরুতেই প্রথম বিবেচ্য বিষয় হবে যে আপনার সারাংশটি আপনি কত শব্দের মধ্যে লিখবেন । সেটি ঠিক করার পর আপনি আপনার বইয়ের সারাংশ লেখা শুরু করতে পারেন। সারাংশটি অবশ্যই কালক্রমানুসারী লেখা জরুরি। যাতে করে আপনি নিজে উপকৃত হন এবং অন্য কে বোঝাতে আপনার সুবিধা হয়। সারাংশের শুরুতেই প্রধান চরিত্রগুলোর বিবরণ লিখে নিন। এবং তারপর বইটিকে যে ৩ ভাগে বিভক্ত করেছিলেন, তাদের প্রধান দৃশ্য এবং ঘটনার বিবরণ লিখে ফেলুন। এবং সর্বশেষে বইটির বুল বক্তব্য লিখে সারাংশটি শেষ করুন। খেয়াল রাখবেন যে আপনি যেন সারাংশটি তে নিজের বক্তব্য বা মতামত না লেখেন। এবং নিজের সুবিধার্থে বানান এবং পুরো লেখাটি প্রুফ-রিড করুন।
এটি ছিলো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপায় যেগুলি ব্যাবহার করে আপনি যেকোনো বইয়ের সারাংশ অতি সহজেই লিখেতে পারবেন। আশা করি আর্টিকেল টি আপনাদের ভাল লেগেছে। এবং ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব পরবর্তীতে আরো ভাল কোন আর্টিকেল নিয়ে লেখার। ভাল থাকবেন, আসসালামু-আলাইকুম।