সকাল 9 টা বেজে গেছে, রফিকের ঘুম এখনো ভাঙেনি। অবশ্য অন্যান্যদিন রফিক এত বেলা করে ঘুম থেকে উঠে না, আজকের বিষয়টা একটু অন্যরকম। ইউনিভার্সিটি তে শীতকালীন বন্ধ চলছে,। তাছাড়া পড়াশোনায় খুব মনোযোগী রফিক কোনদিন ইউনিভার্সিটি তে না যেএ থাকতে পারে না। রাত্রিবেলা রাত জেগে পড়াশোনা আর ঘুম এটাই রফিকের নিত্যদিনের ব্যাপার। তবুও এত বেলা করে সে কখনো উঠিনি আজ হয়তো রাতটা অনেক বেশি জেগেছে সে।
প্রতিদিন খালামণি এসে ঢেকে দেয় কিন্তু আজ আসেনি খালামণি। রফিকের সবকিছু তার খালা খালু রাই দেখভাল করে। না করে উপায় কি ছোটবেলায় বাবা মা হারানো রফিককে আজকের রফিক বানাতে তাদের অবদান সেটা অস্বীকার কোরান নয়। তারা রফিককে কখনো মা বাবা হারানোর ব্যথাটা বুঝতেই দেয় নি। রফিক সবকিছু বুঝে বুঝতে পারে। কারণ বোঝার মত বয়স তাঁর এখন তৈরি হয়ে গেছে। তবুও তার মনে কোন আক্ষেপ নেই নেই কোনো বিতৃষ্ণা। খালামনির কাছে সে অনেক কৃতজ্ঞ। ঠিক ক জনে পায় মা হারানো দুঃখ সামলাতে। রফিক ঠিকই পেয়েছে।
রফিককে অত্যন্ত ভালবাসেন তারা নিজের ছেলের মত দেখেন তারা। রফিক অবাধ্য সন্তানের মত সবকিছু স্বীকার করে নেয়। কারণ জীবন যাকে যা কিছু দিয়েছে তাই মেনে নেওয়াটাই উত্তম। একথা রফিক ভালই বোঝে। খালামণি আজ কোন কাজে বাইরে গিয়েছে, খালুও বাড়িতে নেই। উনি চলে গেছেন অফিসে। বাড়িতে একমাত্র খালাতো বোন মিলি ছাড়া আর রয়েছে একটি নিকটাত্মীয়। নিয়ে বাড়িতে ছোটবেলা থেকেই থাকেন। সম্পর্কে কিছুটা আত্মীয় দাবিদার হলেও বাড়ির সব কাজ তিনি দেখাশোনা করেন। মিলি খালা খালুর একমাত্র মেয়ে খুব আদরের মেয়ে।
সবেমাত্র ইন্টারনেটে ভর্তি হয়েছে। আসলে একটি মেয়ে মাত্র মেয়ে বলতে যা কিছু বোঝায় তার সবকিছুই মিলির মাঝে আছে। অত্যন্ত লক্ষ্যে একটি মেয়ে। মায়া মায়া চেহারা নিতান্তই ভদ্র উশৃংখলতা বিন্দুমাত্র তার মাঝে নেই দেখলে বুঝাই যায়না অতি আদরের মানুষ এত মলিনতা কি করে পায়। ছোটবেলা থেকেই রফিকের সাথে তার ওঠাবসা। কিন্তু সমস্যা হল সে রফিকের সহ্য করতে পারে না। সেভাবে তার কারণে সে হয়তো তার মা-বাবার থেকে আদর কম পাচ্ছে অবশ্যই নিয়ে তার কোন দুঃখ বোঝা যায় না তবে সব সময় একটা রাগ রাগ ভাব নিয়ে থাকে। মনে হয় তার সম্পত্তি থেকে ভাগ বসিয়েছে কেউ। রফিক অবশ্য এসব কিছু মনে করে না সে সবকিছু স্বাভাবিক চোখেই দেখে না দেখি উপায় কি। কারণ সেই মিলিকে পাত্তাই দেয় না, মিদ এই কথাটা খুব ভালোভাবেই বোঝে। তবুও তাদের সম্পর্কটা অত্যন্ত মিষ্টি।
কিছু কিছু মিষ্টি সম্পর্ক গুলো মানুষের অন্তরের মধ্যে এক ধরনের সত্যতা সৃষ্টি করে। তৈরি করে কিছুটা পবিত্রতা তাদের ভেতরে থাকে কিছু গল্প, কিছুটা আদিখ্যেতা, বাকিটা জড়িয়ে থাকে শুধু আবেগে। রফিকের ঘোমটা বোধহয় এবার ভাঙতেই হবে না ভেঙ্গে উপায়ও নেই, মিলির চেঁচামেচিতে রফিক উঠে পড়ল। সকালের নাস্তা দাও এমন কিছু বলার লোক বাড়িতে নেই। রফিক ফ্রেশ হয়ে এল। গোঁফ দাড়ি গুলো একটু বড় বড় হয়ে গেছে। একবার ভাবছে বাইরে কোথাও ছিল নিজের চুল দাড়ি কেটে আসি। আজ তো তেমন কাজ নেই। টেবিলের উপর ফিরে তাকাতেই 500 টাকার একটি নোট চকচক করে উঠলো। রফিকের বুঝতে দেরী হলো না নিশ্চয়ই খালামনি রেখে গেছে। অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়, রফিকদার খালামণিকে ঠিকই বুঝতে পারে। অবশ্য এর জন্য কোন ধন্যবাদ রফিক তার খালামণিকে দেয় না,।
শুধু এটুকুই বোঝে মাতৃহারা এ পৃথিবীতে আঁকড়ে রাখার মত একটি শিকড় তারা আছে। বেশ কিছুক্ষণ পর মিলি রফিকের রুমে চলে এলো, কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় তা হল আজ মিলিকে তেমন রাগান্বিত রাগান্বিত ভাবটা দেখা যাচ্ছে না।খুব সুন্দর নরম মিষ্টি মুন্নি এসে সামনে এসে দাড়ালো, বেশি হাত পা ছড়িয়ে তার একটি মাত্র আবদার সেটা হলো দেখতো আমাকে কেমন লাগছে? রফিক কিছুটা বিচলিত হতভম্ব হয়ে গেল মিলি এত সুন্দর কথা বলতে পারে ,ভাবাই যায় না। তবে ভাবনা আর চিন্তার সময় না নিয়ে রফিক অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইল মিলির দিকে সত্যিই তো আজকে অন্যরকম লাগছে নিজেকে।
পুরনো রফিককে ভুলে গিয়ে নতুন এক রফিক কে আবিষ্কার করল সে। এই রফিক ভাবনা চিন্তায় এবং অস্থির মনের এক ব্যক্তিত্বে পরিণত হল। এমন করে সেকি আগেও দেখেছে মিলিকে? হতে পারে আবার হতে পারেনা অবচেতন মনের খেলা বোঝা বড় দায়। হলুদ শাড়ি জড়িয়ে, হাতে সেই কাঁচের চুড়ি গুলো দুলিয়ে মিনি কি সব যেন বলে চলছে। রফিক আগামাথা কিছুই বুঝতে পারলো না শুধু এটুকুই বুঝতে পারল সে আজ কোথাও যাবে। রফিক মুখ থেকে একটি কথাও বলল না শুধু নীরব মনে মিলের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। মিলিকের পরে কথা বলেই চলছে আসলে এরকমই ও। হঠাৎ রফিক ট্রাই করে বলে উঠলো আচ্ছা মিলি গুলোর এই চুরি কথা কি তোমার মনে আছে। মিলি কোন উত্তর দিল না শুধু হাসতে হাসতে রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেল। ছবিগুলো দেখার পর অভিকে সেই পুরনো কথা মনে পড়ে গেল।
বছর দুয়েক আগের কথা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলে বেড়াতে মিলি ওর সাথে গিয়েছিল। সেবার মেলাতে ঘুরতে গিয়েছিল তারা। যদিও শহরে থেকে থেকে অভ্যস্ত তবুও মাঝে মাঝে মাতৃকুল একবার আসা হয়। সেই মেলা থেকে এই চুড়িগুলো রফিক মিলিকে কিনে দিয়েছিল। কিন্তু কিনে দেওয়ার পরে মিলিয একদিন ও সে চুড়িগুলো পড়েনি। রফিক হয়তো ভেবেছিল চুড়িগুলো তার পছন্দ হয়নি। কিন্তু আজ সে চুড়িগুলো পড়েছে, খুব যত্নসহকারে পড়েছে প্রতিটি রঙের সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে পড়েছে। শুধু জোচ্চুরি করেছে তা নয়, চুলগুলো সুন্দর করে নিয়েছে,ঠোটে গোলাপী রঙের লিপস্টিক টা একটু বেশি এঁকে ফেলেছে,। বয়সটা তো বেশি নয় কাঁচা বয়সে যা হয়। খোপায় বেধেছে নাম না জানা কিছু ফুল।
অদ্ভুত লাগছে। তবে প্রশংসা গুলো ওর সামনে করলে হয়তো ভালো হতো। কিন্তু তার আগেই ও রুমের বাইরে চলে গেছে দেখে বোঝাই যাচ্ছে কোথায় একটা যাবে, কোথায় যাবে সে কথাটি সে বলে যায়নি, শুধু বাড়ির তে থাকা সে আত্মিয়ের কাছ থেকে শোনা গেল সে নাকি কলেজে যা যাচ্ছে। বড় তাড়াহুড়া করা মানুষ সে। কারো কথা শুনবে না। একবার যেটা মনে হবে সেটাই করে বেড়াবে। অবশ্য মাঝে মাঝে ওর জন্য খুব চিন্তা হয় রফিকের। কেন হয় সেটা সে নিজেও জানে না,। হয়তো কেউ হয়তো ভাববে ঋণ পরিশোধ করার জন্যই বোধহয় এমনটা হয়। আসলে তা নয় মায়া সবকিছুই মায়া। পৃথিবীটাই সৃষ্টি হয়েছে মায়ায়। সেখানে ব্যক্তির মায়া তুচ্ছ। রফিক সকালের নাস্তাটা সেরে নেয় খুব তাড়াতাড়ি কারণ সে আবার ঘুমোতে যাবে।বাড়িতে কেউ নেই একা একা ভাল লাগছে না না ঘুমিয়ে উপায় নেই আজ একটু বেশি ঘুম পাচ্ছে রফিকের। মাঝে মাঝে সে মনটা করে। কারণ কারণ ঘুমের মাঝে সে প্রচুর স্বপ্ন দেখে, সে স্বপ্ন সুখের সে স্বপ্ন মায়া, সে স্বপ্ন আবেগের, হতে পারে সে স্বপ্ন তারা কিছুটা ভালোবাসার।আর দেরি না করে রফিক লম্বালম্বিভাবে শুয়ে পড়ল।
কিন্তু ঘুম আসছে না এপাশ-ওপাশ করতে লাগল রফিক। মনটা আজ কেমন জানি দুলছে। মাঝে মাঝে ঘুমের মাঝে ফেতনা থেকে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে। জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার মাঝে যে আনন্দ সেটা শুধু কাল্পনিক এরাই বোঝে। সময় বয়ে চলে, ঘড়ির কাঁটা সেতো থামবার নয় সেতো আর ঘুমিয়ে নেই, সে ছুটে চলছে তার মতই করে। খালামনির ডাকে রফিকের ঘুম ভাঙলো। এই রফিক রফিক কটা বাজে দুপুরের খাবার খেয়েছিস নাকি এভাবেই ঘুমিয়ে থাকবে। এই বয়সে তোরা যে কি সব করিস আমার কিছুই ভালো লাগেনা। মিলি কেউ দেখতে পাচ্ছিনা বেলা দুটো বাজে। বলা নেই কওয়া নেই মেয়েটার যে এমন কিছু কাজ করে বসে, ফোনটাও তো ধরছো নারে রফিক, একটু চেষ্টা করনা, তোর ফোনটা ধরতে পারে, বুঝিসই তো একটি মাত্র মেয়ে আমার। খুব চিন্তা হয় মেয়ের জন্য। রফিক এবার একটু হাই তুলে বলে উঠলো এত চিন্তা করো না তো খালামণি কোথাও হয়তো গিয়েছে সময় হলেই চলে আসবে।আর আমি দেখছি আমি বাইরে বাইরে বের হয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখি কোথায় গিয়েছে। তুমি একদম চিন্তা করো না। খালামণিকে সে চিন্তা করতে না বললেও রফিক কিন্তু নিজের মাঝে এক চিন্তার অংকে কে নিয়েছে। আসলেই তো মেয়েটা তো এরকম না এত দেরিতে করার কথা না।
আর দেরী করলে একটা ফোন তো করবে। রফিক বারবার ফোনে ট্রাই করতে লাগলো। কিন্তু বারবার সেই একই কথা এই মুহূর্তে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না! ফোনটা বন্ধ পাওয়ার পর রফিকের চিন্তাটা বোধহয় একটু বেড়েই গেল। এর মাঝে খালুর ফোন দিয়েছি অনেকবার। খালাতো প্রতি মিনিটে মিনিটে ফোন করছে।রফিক এবার বিষয়টা একটু গুরুত্বের সহকারে নিল। মিলির অনেক বান্ধবীদের কাছে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলো সে। অবশেষে সে জানতে পারল কলেজে যেতে পারে। রফিক সাতপাঁচ না ভেবে একটি রিকশা নিল। কলেজের রাস্তার দিকে এগোতে লাগলো। খুব বেশি দূরে নয় কলেজটা, সামনে দুটি মোর, পার হলেই বড় রাস্তা, রাস্তার ওপারে ঠিক কলেজের মেইন গেট।
রিক্সার উপরে উঠে বসে বসে নেই বারবার ফোনে ট্রাই করে যাচ্ছে সে। কিন্তু না ফোনটা যতবার সংযোগ সম্ভব দেওয়া হচ্ছে না ততোই চিন্তা বেড়ে চলছে তার। এমন তো কখনো করে না সে। এবার রফিকের একটু চিন্তার বিষয় টা বেরিয়ে গেল। রিক্সা এগিয়ে চলছে। তবু মনে হচ্ছে যেন রিকশাটা চলছেই না, রাস্তাটা যতটা সোজা ভেবেছিল আসলে ততটা সহজ নয়। রিকশা আলার দোষ দিয়ে লাভ নেই সেতো চালাচ্ছি। কিন্তু মনের জোরে সে গিয়ে যেতে চায় আরও দ্রুত। কিছু হয়নি কিছু হয়নি কিছু হয়নি তো মিলির!? রিক্সাটা আরও সামনে এগিয়ে চলল, কিছুদূর যেতেই বড় রাস্তার পাশে আসতেই দেখা গেল কিছু মানুষের জটলা, অনেকগুলো মানুষ গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এবার শুধু মাঝ রাস্তা টাই বাধা। রাস্তা পেরোলেই ভিড়ের জটলা। কিছু বোঝা যাচ্ছে না মনে হচ্ছে সেখানে কিছু একটা হয়েছে। রফিক রিক্সা রিকশা থেকে নেমে গেল। তার দুপাশে গাড়ি চলছে বার হওয়া একটু মুশকিল। তবুও রফিকের কাছে মনে হচ্ছে এ রাস্তাটা যেন তাকে পার করতে হবে।
রফিকের মাথায় কপালের পাশে বিন্দু বিন্দু ঘাম চলে এসেছে, ধানগুলো কেন আসছে রফিক বুঝতে পারছে না। রাস্তাটা পার হলো রফিক, এবার ভিড়ের জটলা মাঝে একটু একটু পরিষ্কার হচ্ছে, রফিকের হাত পা গুলো কেমন যেন নিরব হয়ে আসছে, দু চোখে ঝাপসা ঝাপসা দৃষ্টি তে, সে দেখতে পেল রাস্তার পাশে কিছু একটা পড়ে আছে আরো অনেক মানুষ সে দিকে তাকিয়ে আছে। তারা সবাই খুব বিচলিত। রফিকের মাথাটা এবার ঘুরছে একটু সামনে এগোতেই সবকিছু একদম পানির মতো পরিষ্কার হয়ে আসছে। রফিকী দেখছে সে নিজেও বুঝতে পারছে না, ভাবছে হয়ত আমি স্বপ্ন দেখছি, ঘুমের মাঝে।
রাস্তার পাশে হলুদ শাড়ি পরা কিছু একটা পড়ে আছে, মাথাটা একদম থেতলে গেছে, রক্তের লাল ফোটায় রাস্তার পাশে ভরে গেছে, অসহায় নিথর প্রাণীর মত কিছু একটা পড়ে আছে। রফিকের মাথাটা এবার একটু বন বন করে ঘুরছে, চোখ থেকে কিছু একটা বের হচ্ছে। গরম কিছু একটা, মাথাটা এবার একটু বেশি ধরে গেল। মনে হচ্ছে সে এখন মাটিতে পড়ে যাবে, বুঝতে বাকি রইল না নিথর দেহটি মিলির। হাতের কাচের চুড়ি গুলো একেকটি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে আছে রাস্তায়। কিছু মানুষের পায়ের কাছে চুড়িগুলো টুকরো হয়ে পড়ে আছে। আজ একটু অন্যরকম লাগছে মিনিকে একদম অন্যরকম, পরিচিত মানুষের মত, তবে একটু বেশি নিষ্পাপ,। কিছুক্ষণ নীরব থেকে হঠাৎ রফিক চিৎকার দিয়ে উঠল, আশেপাশের সব মানুষ রফিকের দিকে তাকিয়ে রইল। রফিক মাটিতে পড়ে গেল। তারপর তার আর কিছু মনে নেই, মনে নেই কোনো কিছুরই। হয়তো কিছু কথা তার মনের ভিতরে ছিল, কিন্তু সে কথাগুলো তার মনের ভিতর রয়ে গেল, যা সে আজও কাউকে বলতে পারেনি। একটি এক্সিডেন্টে মুছে গেল জীবনের সব স্বপ্ন, সব আশা, সব মায়া, সব আবেগ, বুকের মাঝে চেপে থাকলো কিছু কথা, সে কথা, সে কথা আজও কাউকে বলা হয়নি।,,,,,, মমিন সাগর,,,,।