আজকে যে গল্পটি বলবো এটি চিত্রা নামক একটি মেয়ের কাহিনী। যার জন্ম বাংলাদেশের একটি ছোট্ট গ্রাম সোনার ঘাট এ পারাগায় যেখানে মেয়েদের সম্মান করা হতো না সবাই তাদের পণ্য মনে করত সে নিজের চোখে দেখেছে অনেক মেয়ে এসকল সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করা। যাই হোক আসল গল্পে যাওয়া যাক।
চিত্রা এসকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করত।
চিত্রা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। যখন ছিল তখন তার বাবা-মা তাকে বিয়ে দিতে চায় একজন স্বাধীন মেয়ে এত কম বয়সে বিয়েটা করা মেনে নিতে পারছিল না এজন্য সে বাসা থেকে পালিয়ে তার খান কাকুর কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
আজ চিত্রার কলেজের প্রথম দিন কাকু তাকে অনেক ভালোবাসে তার কাকুর কোন মেয়ে নেই তো তাই চিত্রা কে বললো ভাল করে কলেজ করিস মা। আমার মুখ উজ্জ্বল করতে হবে না বলে হাসি দিল।
কলেজে পা দিতেই একদল দুষ্ট ছেলে মেয়েদেরকে ডিস্টার্ব করছিল লক্ষ্য করলে এটি চিত্রা এসব সে ছোটবেলা থেকেই দেখছে গ্রামে তাই কিছু মনে করল না পাশ কেটে চলে গেল কলেজের প্রথম দিন ভালোই কাটলো চিত্রার।
বাসায় এসে কাকুকে সব কথা খুলে বল ছেলেটা ডিস্টার্ব করছিল কয়েকজন মেয়েকে সেই কথাটা ও। কাকু কে বলল কেন তুই কোন প্রতিবাদ করিস নি চিত্রা বলল আমি ওদের তো চিনি না আর ছেলেগুলো একটু গুন্ডা টাইপের ছিল । খান কাকু একজন মুক্তিযোদ্ধা তিনি চিত্রাকে অনেক পৌঁছালেন বাংলাদেশ সরকার সম্পর্কে অনেক কথা বললেন।
বাংলাদেশ আর সেই আগের মত নেই এখন মেয়েদেরকে বাংলাদেশ সরকার অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন যদি তুই চাস তাহলে ছেলেগুলো কে উচিত শিক্ষা দিতে পারবে আমি তোর সাথে আছি যদি তারা বেশি কিছু করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে কোন সমস্যা নেই। চিত্রা বললো থাক ছেলেগুলো তো আমাকে ডিস্টার্ব করেনি। খান কাকু বলল আজকে ছেলেগুলো আরেকটা মেয়েকে ডিস্টার্ব করছে কালকে তোকে ডিস্টার্ব করবে না এর কি কোনো মানে আছে যদি ওই মেয়েটির জায়গায় তুই হতিস তাহলে কেমন লাগতো। চিত্রা এবার বুঝতে পারল নিজের ভুলগুলো।
পরেরদিন কলেজ শেষ হওয়ার পরে কলেজের বাহিরে দেখতে পেল ছেলেগুলো আবারও মেয়েদের ডিস্টার্ব করছে এবার চিত্রা ওই মেয়েদের সাথে সাথে গেল এবং মনে মনে বলছিল আল্লাহ ছেলেগুলো আমাকে জানা একবার ডিস্টার্ব করে তাহলেই বুঝবে। আমি মেয়েদের ডিস্টার্ব করলে কি শাস্তি পেতে হয়।
হয়তো আল্লাহ তাআলা চিত্রা কথা শুনেছে ছেলেটা চিত্রার গায়ে হাত হাত দিয়ে স্পর্শ করে কিছু একটা বলেছে। সঙ্গে সঙ্গে চিত্রা ছেলেটাকে ঠাস করে একটা চড় মারলো এটি দেখে আশেপাশের সব লোক তো অবাক। কোন কথা না বলেই দুটি ছেলে ওর দিকে ফিরে আসছিল একজনের লাকি ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে চিত্রা আরেকজনকে লাথি মেরেছে আর যে ছেলেটি তার গায়ে হাত দিয়েছে তার কলার ধরে প্রিন্সিপালের রুমে নিয়ে গেল পৃথিবীতে সব মেয়েরা গেল।
প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে চিত্রা প্রিন্সিপাল স্যারকে সালাম দিয়ে সব ঘটনা খুলে বললো চিত্রা অবাক হল প্রিন্সিপাল স্যার ছেলেটিকে তেমন কিছুই বলছে না অথচ চিত্রা কে বলছে তোমার কোন দোষ না থাকলে ছেলেটি কি তোমাকে এমনি ডিস্টার্ব করবে। চিত্রার বুঝতে বাকি রইল না এখানে কোনো গন্ডগোল রয়েছে
তারপর চিত্রা জানতে পারল ছেলেটি প্রিন্সিপাল স্যারের দুঃসম্পর্কের নাতি।
চিত্রা প্রিন্সিপাল স্যারকে লাস্ট বারের মতো বলল স্যার আপনি যদি কোন ব্যবস্থা না নেন তাহলে আমি এমন কিছু করবো যেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না প্রিন্সিপাল স্যার হেসে উড়িয়ে দিলেন এবং বলল তোমরা মেয়েরা ভালো হওয়ার চেষ্টা করো তাহলে ছেলেরাও ভালো হবে।
এবার চিত্রা নিজের জামা গুলো টেনে টেনে ছিঁড়তে লাগল স্যার বলল কি করছো জামার ছিড়ছো কেন চিত্রা কোন কথা না বলে চিল্লাতে লাগলো বাঁচাও বাঁচাও বাঁচাও।
সবাই যখন সেখানে উপস্থিত হল চিত্রা সবাইকে বলল প্রিন্সিপাল স্যারকে ছেলেটির বিরুদ্ধে নালিশ করতে আসায় ছেলেটি যেহেতু তার নাতি বাঁচানোর জন্য অনেক খারাপ প্রন্ত অবলম্বন করেছিলেন আমার মুখ বন্ধ করার জন্য উনি আমার সাথে জোরজবরদস্তি করছিলেন এই বলে কাঁদতে লাগল চিত্রা,,,,,,,,,,,,,,
এবার আর বাকি মেয়েরা চুপ করে রইল না সবাই চিল্লাচিল্লি করতে লাগলো এবং আন্দোলনের ডাক দিল। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ মিডিয়া জমা হল চিত্রা সবকিছু খুলে বলার চেষ্টা করছিল তার আগেই প্রিন্সিপাল স্যার সব কিছু স্বীকার করে নিল সুতরাং চিত্রা কেয়ার মিথ্যা কথা বলতে হলো না এভাবেই চিত্রা তার কলেজের স্যার কে এবং ওই ছেলেটিকে জব্দ করেছিল।
এ থেকেই বোঝা যায় যে মেয়েরা চাইলে সবকিছু করতে পারে তাদেরকে সম্মান করলে তারাও সম্মান করবে আর খারাপ ব্যবহার করলে অথবা বাঁকা রাস্তায় চললে তারা বাঁকা রাস্তায় চলতে বাধ্য হতে পারে যা আপনার আমার জন্য খারাপ থেকে খারাপ তোর হতে পারে। ধন্যবাদ সবাইকে।।।।।।