Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

রবীন্দ্রনাথের হৈমন্তী গল্পটা যদি এযুগে লেখা হত তাহলে ক্যামন হত

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হৈমন্তীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। হৈমন্তী স্টার জলসায় সিরিয়াল দেখছে। তার শ্বাশুড়ি রান্না করছে।
বাছা হৈম কেমন রহিয়াঁছ??
আরে ঠাকুর যে, হোয়াটস আপ ডুড?? কই থাইকা আইলা??
এইতো এই পথেই যাহিতেছিলাম, ভাবিলাম তোমাদের খবর টা লহিয়াই যাই ।
তুমি তো বই পড়িতে ভালবাসিতে, এখন কি আগের মত বই পড়া হয়??
বই?? হে হে হে পড়া হয় তবে সেটা ফেসবুক। আর সিরিয়াল দেখতে দেখতে সময়ই পাই না ।
রান্না বান্না , গৃহের কাজ এগুলা কে করে??
বুইড়া বুড়ি (অপুর বাবা মা) আছে না।
শুনিয়াছিলাম তাহারা তোমাকে নির্যাতন করে ।
আরে ঠাকুর সেই দিন কি আর আছে, দিন বদলাইছে না। আমারে কিছু কইবো উষ্ঠা দিয়া বিদ্ধাশ্রমে পাঠামু না।
তা অপু বাছা কোথাই??
ওই এক বলদ রে গোছাইয়া দিছিলা ঘাড়ে, দেখ কোথাও আছে হয়তো।
অপু বারান্দায় বসে পাশের বাসার বৌদির ভেজা চুল, ভেজা শরীরে অপলক নেত্রে চাহিয়া রহিয়াছে।
অপু বাছা ক্যামন রাহিয়াছ??
বৌঠান সামনে থাকিলে সবসময় ভাল থাকি।
বাছা ঘড়ে তোমার লক্ষীমন্ত্র বউ হৈম রহিয়াছে।
হৈম আমার সম্পদ, আর বৌঠান আমার সম্পত্তি।
এসব বলিতে নাই, ইহা পাপ।
কস কি ঠাকুর?? তোমার থাইকাই তো শিখছি এগুলা। হৈম হইল ঘড়ের ভরা কলস, যখন ইচ্ছে পানি পান করবো, আর বৌঠান হল সমুদ্র যখন ইচ্ছে ঝাপ দিব ।
নিজের বৌঠানের কথা মনে পড়িয়া যাওয়াই, আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। দ্রুত প্রস্থান করিলেন
যাওয়ার পথে অপুর বাবার সাথে দেখা,
ঠাকুর ঠাকুর বাচাও আমারে, তুমি তো হৈমন্তী লেইখাই খালাস, যা দিছ এযুগে তার বিন্দুমাত্র মিল নাই, লোকে এখনো আমারে অর্থলোভী ভাবে। কিছু একটা কর ঠাকুর।
ভাবিতেছি নতুন করিয়া লিখিতে হইবে আবার । সবাই হৈম, অপুর নাম চায়, অপু হৈম হইতে চায় না।

Related Posts

12 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No