আমরা অনেকেই ব্যবসা করতে চাই। কিন্তু ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজন টাকার। আমাদের অনেকেরই সেই টাকা আছে আবার অনেকের সেরকম পুঁজি নেই। যাদের স্বল্প পুঁজি। তাদের বিজনেস করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতা দুটোই এখন আপনার হাতের নাগালে। সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করেই আপনি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনার টেকনিকেল বিহেভিয়ার এর উপর। আপনি খুব বুদ্ধিমান। বিজনেস করবেন ভাবছেন কিন্তু হাতে তেমন টাকা নেই। আজ বিজনেস আইডিয়া টি, হতে পারে আপনার টার্নিং পয়েন্ট।
কেননা বর্তমানে সেকেন্ডহ্যান্ড ফোনের বাজার বেশ রমরমা। অনেকেই ঝুঁকে পড়েছেন এই ব্যবসায়। তবে এখনো অনেক সুযোগ এবং সম্ভাবনা রয়েছে ব্যবসাটিতে। কারণ বর্তমানে স্মার্টফোনের চাহিদা আকাশচুম্বী। স্মার্টফোন পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যা নাই বললেই চলে। তাই এখন ব্যবসাটির যেমন রয়েছে চাহিদা ঠিক তেমনি রয়েছে এর বাজার।কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার যেটা সেটা হচ্ছে আমরা সবাই ইচ্ছে হলেই স্মার্টফোন কিনতে পারি না। এর কারণ দুটি। আরে দুটি কারণেই এই ব্যবসাকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে । এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক কারণ দুটি কি? কি?।
কারণ দুটি:
- আকাশছোঁয়া বাজেট।
- অর্থনৈতিক, সীমাবদ্ধতা।
এই ব্যবসাটি আপনি কেন করবেন?
বর্তমানে তরুণদের কাছে জনপ্রিয় একটি চাহিদা হচ্ছে স্মার্টফোন। যতগুলো মানুষ ততগুলো স্মার্টফোন চাই। সবার হাতে হাতে এখন নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে চলছে স্মার্ট ফোন। আরে নানাবিধ ব্যবহার একে করে তুলেছে আরো বেশি জনপ্রিয়।বর্তমান সময়ে আমাদের অবস্থা এমন হয়েছে যে স্মার্ট ফোন ছাড়া আমাদের দ্বীনি শুরু হয় না। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই ব্যবসা সফলতা 100%।কেননা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফিচার আর সোশ্যাল মিডিয়ার বাম্পার ফলনে এখন একমাত্র চাহিদা একটি স্মার্টফোন।
আর এই স্মার্টফোন গুলো খুব সহজেই অনায়াসেই, প্রত্যেকের হাত থেকে হাত বদল করতে সময় লাগে না। আর এই আইডিয়া ঠিক এই আপনি আপনার ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।কারণ এখানে একদিকে আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ সম্ভব অন্যদিকে আপনার ইচ্ছা হলে ব্যবসা করতে পারবেন। ব্যবসা মানে টাকা। টাকা ইনভেস্ট করলে লাভ হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই যারা বিজনেস করতে ইচ্ছুক অল্প টাকায়, তারা এই সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা খুব সহজেই ঘরে বসে করতে পারবেন।
এর সবচাইতে মজার ব্যাপার হলো দ্রুত সেল। খুব বেশিদিন আপনার টাকা আটকে থাকবে না। এমনও হতে পারে প্রতিদিন আপনার সেল সংখ্যা শুধু বাড়তেই থাকবে। আর একবার যদি প্রচার হয়ে যায়, তবে কাস্টমাররা আপনাকে রিভিউ দিতে থাকবে। কাজেই আপনি খুব সামান্য পরিমাণ ইনভেস্ট করে লাভবান হতে চাইলে আপনাকে এই ব্যবসাটি ভালো একটি প্রফিট এনে দেবে। যা আপনি কখনো ভেবে দেখেননি।
কোথায় পাবেন সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল:
- শুরুতেই আপনাকে ইনফর্ম আর্টিস্টম্যান হতে হবে।এজন্যই বললাম যে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ খোঁজখবর রাখতে হবে।
- বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়,মানুষের প্রয়োজনে মানুষ সর্বপ্রথম তার হ্যান্ডসেটটি বিক্রি করে।
- আইপিএল বিপিএল, এমনকি বিগ বেস্ট অনলাইন গেমিং খেলা হয়/সোজা কথায় বলতে যেখানে বাজি খেলা হয়,সেই জায়গায় আপনি অতি সহজেই অল্প দামে একটি ফোন কিনতে পারবেন/
- বিভিন্ন কোম্পানির স্টকলট কিনতে পারেন। কারণ এখান থেকে খুব ভালো পরিমাণ প্রফিট হয়
- অনলাইনে একটি ওয়েবসাইট খুলে নিতে পারেন। যেখানে ক্রয়-বিক্রয় দুটি অপশন থাকবে।
- অনেকে আছে যাদের হঠাৎ প্রয়োজন, তাদের এই হঠাৎ প্রয়োজন কে আপনি টার্গেট করতে পারেন। এই ধরনের সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনে খুব বেশি লাভ করা সম্ভব।
- কেনার আগে ভেবে দেখবেন যদি বিক্রি করছেন তার উদ্দেশ্যটা কি। এটির উপর আপনার লাভের অংশটি নির্ভর করে।
- অনেকে আছে যারা পুরনো ফোন বেশিদিন রাখতে চায় না। প্রতিনিয়তঃ ফোন চেঞ্জ করা তাদের স্বভাব। তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন তাদের সাথে মিশবেন। হতে পারে সেখান থেকে আপনি ভালো একটি ফরমেট পাবেন।
- অনেকে আছে নষ্ট ফোন রাখতে চায় না। আপনি সেই নষ্ট’ ফোনগুলো কিনে একটু রিপেয়ার করে, সেল করে ইনকাম করতে পারবেন।
- আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাড দিয়ে আপনি ফোন ক্রয় কিংবা বিক্রয় দুটোই করতে পারবেন/
লাভের পরিমান:
- লাভের পরিমাণ টা নির্ভর করে সম্পূর্ণ আপনার উপর। কারণ আপনি কিনতে গিয়ে যদি বেশি দামে কিনে ফেলেন তবে বিক্রি করলে তেমন লাভ হবে না।
- তবে সচরাচর দেখা গেছে কম-বেশি কিছু লাভ আপনার হবেই।
- যেকোনো ফোন কিনে সেটিকে সার্ভিসিং করে নিন। তাহলে লাভের পরিমাণ টা বেড়ে যাবে।
- কেনার সময় অবশ্যই ভালো ফোন কিনবেন। এতে যদি একটু বেশি টাকা খরচ হয় তবুও আপনার লাভ হবে।
- সবসময় আপডেট/এবং ওল্ড মডেলের ফোন কেনার চেষ্টা করবেন কারণ এগুলোর কদর মার্কেট একটু বেশি থাকে/
- অবশ্যই অফিশিয়াল ফোন কিনবেন/তাহলে বিক্রি করতে আপনার তেমন সমস্যা হবে না.
- কেনার পর ফোনটিকে খুব যত্নসহকারে পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন করে নিন, এতে আপনার লভ্যাংশ নিশ্চিত বেড়ে যাবে।
- ঠিক যাদের প্রয়োজন/তাদের কাছে ফোন বিক্রি করুন/কারণ এরা দামের চাইতে প্রয়োজন টাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়।
শুরু করতে কত টাকার প্রয়োজন?
শুরুতেই বলে নেয়া হয়েছে খুব অল্প পরিমাণ ইনভেস্টমেন্ট করে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন,। এখন আপনি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে চান তার ওপর নির্ভর করে আপনার ইনভেস্টমেন্ট। ধরুন আপনি মাসে 10000 টাকা ইনকাম করতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনার মাসে গড়ে কমপক্ষে পাঁচটি ফোন বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে মাসে কমপক্ষে পাঁচটি ফোন সেল করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তবে এটা খুব বেশি কঠিন কিছু নয়।ধরুন আপনি 5000 টাকা মূল্যে পাঁচটি স্মার্ট ফোন ক্রয় করেছেন। আপনি অবশ্যই সেগুলো কে সাত হাজার টাকা বিক্রি করতে পারেন।
যদি মাসে পাঁচটি ফোন বিক্রি করেন তো আপনার 10000 টাকা চলে আসলো। তবে বিষয়টিকে কঠিন ভাববেন না। যেখানে স্মার্টফোনের কথা সেখানে ব্যবসা হবেই। কারন অনেকেই বাজেট স্বল্পতার কারণে মার্কেট থেকে নতুন ফোন কিনতে পারেন না। এই ধরনের কে ক্রেতা ই আমাদের দেশে বেশি। কাজেই তারা যখন কিনবে অবশ্যই দাম দিয়ে কিনবে। আপনার যেহেতু ব্যবসা আপনি টেকনিক্যালি জিনিসগুলো কিনবেন।
সুতরাং ঝুঁকিতে অনেক কম। যে কেউ খুব অল্প টাকায় বিজনেস শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসার জন্য আপনার কোন শোরুম কিংবা দোকানের প্রয়োজন নেই।আপনি আপনার হাতে থাকায় স্মার্টফোনের ব্যবহার করেই হয়ে যেতে পারেনি স্মার্টফোন বিক্রেতা। কাজেই খুব সহজেই আপনি এ ব্যবসায় চলে আসতে পারেন। তারপর আপনি আস্তে আস্তে সবকিছু বুঝতে পারবেন। বর্তমানে যতগুলো ব্যবসা আছে তার ভিতর এই ব্যবসাটি বর্তমানে টপ লেভেলে আছে। এর একটি কারণ বর্তমানে ফোনের চাহিদা আকাশচুম্বী।
আরও অনেকেরই বাজেট স্বল্পতার কারণে, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে, যাওয়া খুব কঠিন। সুতরাং যারা অল্প বাজেটে, তাদের শখ পূরণ করতে চান তাদের অবশ্যই সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার কোন বিকল্প নেই। তাই ব্যবসাতে অনেক লাভজনক। অল্প পুজিতে, যে কেউ চাইলে অনায়াসে ঘরে বসে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারে। হ্যান্ডসেটের বাজার এখন রমরমা। যে কেউ অল্প পুজিতে,খুব ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন এই ব্যবসা থেকে।