আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকের পোস্টে রিং আইডির বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
রিং আইডির বর্তমান অবস্থা
তার আগে আমরা জেনে নিই রিং আইডি কবে কখন এবং কোন সময় চালু করা হয়। কানাডার মন্ট্রিয়েল সিটিতে অবস্থিত ‘রিং ইনকর্পোরেশন’ দ্বারা পরিচালিত। কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত আইরিন ইসলাম ও শরিফ ইসলামের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় রিং আইডি। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে রিং আইডি প্রথম প্রকাশ হয়।
এবং এটির মাধ্যমে ফ্রিতে কল এবং স্টিকার এবং কথাবার্তা বলা যেত। এবং রিং আইডিতে এমন একটি ফিউচার ছিল যেটার জন্য রিং আইডি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেটা হলো রিং আইডিতে একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে মেসেজ পাঠানো যেত এবং সেই সময়টি পার হয়ে গেলে মেসেজটি অটোমেটিক রিমুভ হয়ে যেত। এবং রিং আইডি থেকে ইনভেস্ট করে ইনকাম করার ব্যবস্থা ছিল। এই সকল কারণে রিং আইডি খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
রিং আইডির বর্তমান অবস্থা :-রিং আইডির একটি ছোট্ট একটি আপডেট নিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আপডেটটি খুবই দুঃখজনক। সেই আপডেটটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নরমালি ভাবে আমরা সবাই জানি যে টাকাগুলো আমরা রিং আইডি তে ইনভেস্ট করেছি সে টাকা গুলো বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে আটকে আছে। ফ্রিজ অবস্থায় আছে এটা আমরা এতদিন জেনে আসছি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে 212 কোটি টাকা আটক আছে এটা cid ব্রিফিংয়ে বলেছিল। এবং বিভিন্ন যে নিউ চ্যানেল গুলো আছে সেগুলোতে বলেছিল। এবং যে ধরনের সব বড় বড় পত্রিকা আছে সব পত্রিকাতে এটা বলা হয়েছিল ২১২ কোটি টাকা ফ্রিজ করে রেখেছি, এবং তারা যদি সঠিক নিয়মে ফিরে আসে তাহলে এই টাকার তাদের ফিরিয়ে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে মাত্র ৭৭ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে আছে। তাহলে বাকি টাকা কই গেল।
আরেকটা নিউজ পত্রিকায় বলা হয়েছিল ৩৭৭ কোটি টাকা রিং আইডি বিদেশে পাচার করেছে। রিং আইডির বর্তমান অবস্থান খুবই খারাপ। অনেক গরিব মানুষ এখানে দুই টাকা ইনকামের আশায় অনেকের কাছ থেকে ধার দেনা করে এখানে ইনভেস্ট করেছে। এবং রিং আইডির মালিক গরিব মানুষের এই টাকাগুলা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
বর্তমানে রিং আইডির মালিক এক এক সময় একাত রকমের আপডেট নিয়ে আসছে।আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আমাদের কোন জীবনের গ্যারান্টি নেই। এজন্য আমি বলতে পারি এই ধরনের ইনভেসমেন্ট সাইটের কোন গ্যারান্টি নেই।
এই ধরনের সাইটগুলো যখন অনেক টাকা জমা হয়ে যায় তখন তারা সকল টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এজন্য আমি বলব আপনারা ইনভেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন এবং হালাল পথে ইনকাম করার চেষ্টা করুন। মহান আল্লাহতালা যেন আমাদের সেটুকু বোঝার তৌফিক দান করে।
পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।