এই বিষয়টি অনেকের মনে চিন্তা আসতে পারে আমাদের পৃথিবীর মানুষেরা ২৪ ঘন্টা কাজ করতে পারেনা তাদের রেস্ট এর প্রয়োজন হয় । যেমন অনেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে ৮ ঘণ্টা ১০ ঘন্টা ১২ ঘন্টা লিমিটেড । এরপর তাকে বাকি সময় রেস্ট এর জন্য দেওয়া হয় রেস্ট না পেলে আমরা একসময় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবো । দাঁড়িয়ে থাকা শক্তি ও থাকবে না, ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে যাব । তেমনি যেকোনো ইলেকট্রনিক্স বা ইলেকট্রিক ডিভাইস ২৪ ঘন্টা ব্যবহার করলে একসময় তা উত্তপ্ত বা গরম হয়ে ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে। যেমন আমরা যদি ২৪ ঘন্টা ইলেকট্রিক্যাল ফ্যান ব্যবহার করি তা একসময় উত্তপ্ত হয়ে গরম হয়ে ফ্যানের কয়েল টি পুড়ে যাবে ।
সুতরাং আমরা যেভাবে ইলেকট্রিক বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করি যেমন সারারাত ইলেকট্রিক ফ্যান ব্যবহার করি দিনের বেলায় তা বন্ধ রাখি ।
অর্থাৎ ইলেকট্রিক ফ্যান সারাদিন রেস্ট পায় রেস্ট পাওয়ার ফলে সেটি আবার ঠান্ডা এর ফলে ডিভাইসটি ভালো থাকে ।
একইভাবে আমরা আমাদের ঘরের টিভি লাইট বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস অবিরত ২৪ ঘন্টা ব্যবহার করিনা । এই ডিভাইসগুলো পর্যাপ্ত পরিমান রেস্ট পায় এর ফলে সেগুলোর দীর্ঘদিন যাবৎ চলে ।
কিন্তু যারা অবিরত ব্যবহার করেন রেস্ট না দিয়ে থাকে তাদের ডিভাইসগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় । এখন প্রশ্ন হলো রিফ্রেজারেটর বা ফ্রিজ ২৪ ঘন্টা অন রাখতে হয় অন অফ সুইচ আমাদের হাতে দেয় নি । তাহলে এই ডিভাইস গুলো কিভাবে ২৪ ঘন্টা সারাবছর এভাবে চলে কিন্তু নষ্ট হয় না ।
সবারই জানা দরকার এই ডিভাইসে কি টিপস এন্ড ট্রিকস বা টেকনিক ব্যবহার করা হয়েছে যে কারণে রেস্ট ছাড়াই এই ডিভাইসগুলো অবিরত চলতে পারে ।
সাধারণত আমাদের রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ বা এয়ারকন্ডিশন এ থার্মোস্ট্যাট সুইচ ব্যবহার করা হয়,
এই সুইস রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজের নরমাল অংশে ব্যবহার করা হয়, যার মাধ্যমে আমরা পাওয়ার কমাতে এবং বাড়াতে পারি, এই সুইচ টি দেখতে চতুর্ভুজ এর মত সুইচ এর মাঝখান থেকে একটা লম্বা পাইপ দেওয়া আছে, এই পাইপের মাঝে গ্যাস ভরা থাকে, যখন রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজের বরফ কম বেশি হয় তখন এই গ্যাস মুভমেন্ট করে অর্থাৎ নাড়াচাড়া করে ।
প্রাথমিক অবস্থায় এই গ্যাস পাইপের শেষ প্রান্তে থাকে আর এই শেষ প্রান্তটি নরমাল অংশের পেছনে মাঝখানে লাগানো থাকে । যে অংশে নরমালে বেশি বরফ জমে কারণ ডিপ অংশের কনডেনসার পাইপ ও ইভাপোরেটর পাইপ সেই অংশের কাছাকাছি থাকে, যখন এই পাপের শেষ প্রান্তে অধিক বরফ জমাট বাঁধে ও প্রচুর ঠান্ডা হয় তখন সেই গ্যাস টি শেষ প্রান্ত থেকে সুইচ এর দিকে যেতে থাকে এবং এই গ্যাসটি সুইচ এর দিকে যেতে যেতে সুইচ এর পিন এ ধাক্কা দেয় ফলে সুইচ টি ডিসকানেক্ট হয়ে যায় ।
বিপরীতে যখন ডিসকানেন্ট হয়ে যাওয়ার পর ফ্রিজ টি বন্ধ হয়ে যায় ফ্রিজ এর বরফ গুলো ধীরে ধীরে গলতে শুরু করে এবং ঠান্ডার পরিমাণ কমতে থাকে যখন ঠান্ডা কমে যায় সুইচের গ্যাস পুনরায় শেষ প্রান্তের দিকে যেতে থাকে ফলে ডিসকানেক্ট হয়ে যাওয়া পিন আবার কানেক্ট হয়ে যায় এইভাবে থার্মোস্ট্যাট সুইচের মাধ্যমে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশন রেস্ট নিয়ে থাকে ।