রোড একসিডেন্ট বাংলাদেশের এখন একটা মারাত্নক সমস্যা। রোড একসিডেন্টের কারনে মানুষের জীবন স্বাভাবিক জীবন যাএার প্রতি হূমকি সূরপ।
আমরা চাই নিরাপদ সরক। চাই জীবনের নিরাপত্তা। আমার রাস্তায় বের হলে আদের সবসময় ভয়ে থাকতে হয় যে কখন কি হয় না হয়। আতিরিক্ত যানবাহনের মারাত্নক গতি আর সরু রাস্তা যার কারনে আমাদের দেশের এতো রোড একসিডেন্ট হচ্ছে।
রোড একসিডেন্টে এমন কোন দিন নেই যে দিন মানুষ মারা যাচ্ছে না। একটা পরিবারের একটায় উপার্যন করার সদস্য সে যদি রেড একসিডেন্ট এ মারা যায় তাহলে তার পরিবারের কি অবস্থা হবে।
আমাদের দেশের অপরিকল্পিত রাস্তা ঘাট আর যানবাহনের অতিরিক্ত গতি আর কিছু মানুষের অসচেনতা এই রোড একসিডেন্ট এর জন্য দায়ী।
এই রোড একসিডেন্ট প্রতিরোধ করার জন্য যেমন চাই পরিকল্পিত রাস্তাঘাট আর কঠোর আইন প্রনয়ন ব্যবস্থা আর মানুষের সচেনতা। একটা মানুষ যখন কোন কাজের জন্য তারাহুরা করে রোড ক্রসিং করতে থাকে তখনি সে দূরঘটনার কবলে পরে
যদিও প্রতিবছর বাংলাদেশে গড়ে ৩৫০০ মানুষ রোড একসিডেন্টে মারা যায় – আহত হয়ে কর্মময় জীবন থেকে ছিটকে পড়ে আরো ৫০০০ নাগরিক। কিন্তু দুজন মিডিয়ার ব্যক্তিত্ব রোড একসিডেন্টে মারা গেলে (সাথে আরো তিন জন মরেছে এবং যাদের নামও আমরা জানি না) সারা দেশ আলোড়িত হয়। আলোড়িত করা যাদের ক্ষমতার মধ্যে তাদের নিজেদের একজন যখন ভিকটিম তখনই সেই ঘটনা হয় দেশের প্রধান নিউজ আইটেম।
রাস্তা থাকলে গাড়ী চলবে আর গাড়ী চললে একসিডেন্ট হবে। মানুষ মরনকে নিয়তি হিসাবে গলায় বেঁধে নিয়ে জন্মায় – সুতরাং মৃত্যু ও স্বাভাবিক। কিন্তু রোড একসিডেন্ট যেহেতু একটা নিয়ন্ত্রন করার মতো ঘটনা – সুতরাং নিরাপত্তার মানকে উ্ন্নত করা আর তা যথাযথভাবে মেনে চলা এবং তার জন্যে পর্যবেক্ষন ও প্রয়োগের সঠিক ব্যবস্থা রোড একসিডেন্টের সংখ্যা এবং হতাহতের সংখ্যা কমানো সম্ভব। আর সেই জন্যে দরকার পূর্বপ্রস্তুতি। যেমন রাস্তা নির্মানের সময় ডিজাইন সঠিক রাখা, নির্মানে সঠিক মান ও ডিজাইন অনুসন করা। যথাযথ এবং সঠিক সময় রাস্তা সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষন করা। চালকদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জানা এবং তা মানতে বাধ্য থাকা। তা ছাড়া যান্ত্রিকযানের কারিগরী ক্রুটি মুক্ত থাকাও গুরুত্বপূর্ন। সবশেষে রাস্তা ব্যবহারকারী সবাইকে দূর্ঘটনার ঝুঁকি সম্পর্কে যথাযথ ভাবে সচেতন থাকাও জরুরী।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে একটা রোড একসিডেন্টের জন্যে উপরে অনেকগুলো ফ্যাক্টের যে কোন একটাই যথেষ্ঠ। আর মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করে। বিশেষ করে যখন কোন মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটে- তখন বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে তদন্ত করে তার কারন নির্নয়ের চেষ্টা করে যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতির সাম্ভবনা কমানো যায়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ একটা দূর্ঘটনার পর তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যারা জ্ঞান রাখেন তাদের মতামতের জন্যে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করে।
কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সব কিছুই সুশীলদের অধিকারে চলে গেছে। দূর্ঘটনার পরপরই টকশো গুলোতে সুশীলরা এসে বাসের ড্রাইভারকে দায়ী করে আবেগময় ভাষন দিতে শুরু করলেন। ঠিক সেই সময় ময়মনসিংহের সড়কগুলোর বেহাল অবস্থার কারনে পরিবহন ধর্মঘট চলছিলো। একজন সুশীল এই একসিডেন্টের সাথে সড়কের মেরামতের বিষয়টি এক করে মন্ত্রী আবুলকে দায়ী করলেন। সুবিধাভোগী সুশীলদের আর পায় কে – সরকার বিরোধী যে কোন বক্তব্যই বাংলাদেশে বিপ্লবী হবার অনুপ্রেরনা তৈরী করে। সাথে সাথে আরেক “আবুল” মাঠে নেমে গেলেন আন্না হাজারে হয়ে আমরন অনশনের ঘোষনা দিয়েও ঈদ করলেন শহীদ মিনারে।
যাইহোক রোড একসিডেন্ট এর জন্য সুধু প্রশাশন আর ড্রাইভার কে দোষ দিলেই হবেনা এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সবার সবার মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে তাহলেই আমি মনে করি রোড একসিডেন্ট নিম্ন প্রর্যায় প্রযন্ত কমানো সম্ভব।