রোযা রাখার উপকারিতা ও বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা – যা জানা জরুরি
রোজার মাস চলছে , আর অনেকেই হয়তো রোজার ফজিলত ,রোযার গুরুত্ব, রোযার বৈজ্ঞানিক উপকারের কথা জানে না । তাই ভাবলাম কেনো নয় রোজার ফজিলতের কথা গুলো শেয়ার করা যাক সবার সাথে।
জাপানের একজন বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওহশোমি । তিনি অটোফেজি গবেষণা করেন এবং ২০১৬ সালে এর জন্য নোবেল পুরস্কার ও পেয়েছিলেন ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে ভালো কোষগুলো মন্দ কোষকে খেয়ে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া তাকে বলা হয় ‘অটোফেজি!’ যাকে আমরা রোজা হিসাবে পালন করে থাকি।
রোজা রাখার কারণে শরীরের যে অটোফেজি প্রক্রিয়া চালু হয় যার কারণে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট, বাতের ব্যথা, অস্টিও আরথ্যাইটিস, গাউটসহ যাবতীয় রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । তাহলে রোজা রাখার যে শুধু ধর্মীয় উপকারীতা আছে তা নয় , এর দ্বারা প্রমানিত হচ্ছে যে , বৈজ্ঞানিক উপকারিতা কতোটুকু ।
একটা বাস্তব উদাহরণ আপনাদের দেওয়া যাক –
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন মেয়েকে রাতে উপোস থেকে ডায়েট কন্ট্রোল করতে দেখার পর তার এক বন্ধু তাকে নিয়মিত রোজা রাখার জন্য বলেছিল । তারপর সে প্রায় এক বছর পর স্লিম হয়ে গেছে ।
তাহলে –
সাওয়াব এবং সুস্বাস্থ্য একসাথে পাওয়া যাচ্ছে। এটা চরম একটা পাওয়া।
বলতে পারা যায়
ইসলাম ধর্ম এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো উৎকৃষ্ট জীবন ব্যবস্থা।
তাছাড়া আমি কিছু গণ্য মান্য ব্যক্তিদের উক্তি গুলো জানায়-
বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, “সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ঔষুধ হলো রেস্টিং(বিশ্রাম) এন্ড ফাস্টিং (রোজা)।”
মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, ‘উপোস ছাড়া উপাসনা নেই’।
তাছাড়াও
ইংরেজীতে প্রবাদ আছে, ‘হেলথ্ এন্ড হিলিং(আরোগ্য) উইল ফলো ফাস্টিং।
.
প্রখ্যাত গ্রীক দার্শনিক প্লুটার্চ বলেছিলেন, ‘আজকের দিনে ঔষুধ নেওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপোস থাকা।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস বলেছেন, ‘অসুস্থ দেহ যতই খাবার পায় ততই রোগ বাড়তে থাকে!এখানে রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে।
INTERMITTENT FASTING বা দীর্ঘক্ষণ উপবাস বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থার সবচেয়ে বেশী সার্চ করা শব্দ বলা যায় ।
ইংরেজী এই কী ওয়ার্ডটি ওহশোমি নোবেল পাওয়ার বছরে ২৪৬ মিলিয়ন বার গুগুলে সার্চ হয়,তাহলে বুঝতে হবে । এতোদিন ধরে আমরা পালন করে আসছি অথচ একজন ব্যক্তি গবেষণা করে তার নবেল পেয়েছেন ।
বলা হয়ে থাকে ,একটি বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে উপকারী ডায়েট প্লান যা পালন করতে হলে ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা উপোস করতে হয়,
এটা তো রোজার প্র্যাকটিকাল উপকারিতা । আমরা সকলে রোজা পালন করি আর সাওয়াবের সাথে সাথে উপকার গুলোও পেতে থাকি।আশা করছি সকলেরই ভালো লেগেছে।