আসসালমুয়ালাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই আশা করি ভালই আছেন । আমি আজকে আপনাদের সাথে করোনা পরিস্থিতি তে বাসায় কিভাবে নিজেদের অবসর সময় কাটাবেন সেই নিয়ে কিছু লিখতে যাচ্ছি
আজ প্রায় ৩ মাসেরও বেশি সময় আমরা ঘর বন্ধ হয়ে আছি। হয় তো অনেকের এখন খুব বিরক্তিকর লাগছে বিষয়টা । কিন্তু কিছু তো করার নেই । আমাদের করোনা কে দূরে রাখতে হলে ঘরেই থাকতে হবে। তবেই আমরা করোনা থেকে রেহাই পাবে। কিন্তু করোনা থেকে বাঁচার জন্যে আমরা যে ঘরে বসে বসে মানসিক অবসাদ এ ভুগছি তার খবর কি..????
আসলে আজ অনেক মানুষ ই মানসিক অবসাদ এ ভুগছে তার অন্য তম কারণ হলো এই লক ডাউন। লক ডাউন মানেই ঘরে বসে থাকা আর ঘড়ি দেখা যে কখন সময় যায় । এই রকম করতে করতে আমরা প্রায় একটা মানসিক অবসাদ এ পরে যাবো। কিন্তু এটা থেকে বাঁচার ও উপায় আছে…!!
এই মনসিক অবসাদ থেকে বাঁচার এক মাত্র উপায় হচ্ছে নিজেকে কোনো কিছু তে ব্যাস্ত রাখা। এমন কোনো কিছু যেটা আপনি করতে ভালোবাসেন কিন্তু
এই ব্যাস্ত ময় জিবনে টা হয় উঠে নি আপনি নিজে ভাবুন যে আপনি কি করতে ভালোবাসেন আর সেই জিনিসটাই করুন .। এতে আপনার মানসিক অবসাদ দুর হবে
মানুষের নানারকম সখ ও ভালো লাগার কাজ আছে । যেমন কিছু কিছু মানুষ বই পড়তে খুব ভালোবাসে । কিন্তু সময়ের অভাবে পড়া হয় না বা বই এর কাছে একদমই যাওয়া হয় না , তারা কিন্তু এই সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন । নিজেদের পছন্দের বই গুলা পড়তে পারেন। নিজের পছন্দের লেখকের বই গুলা দেখতে পারেন
আবার কিছু আছে যারা খুব সৌখিন.। নানারকম ফেলনা জিনিস দিয়ে সুন্দর সুন্দর জিনিস বানাতে পারে । তাদের উচিত এই সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সৃজনশীলতা আরো আপগ্রেড করা..। প্রকৃতি যে সব সময় নিষ্ঠুর হয় টা কিন্তু না, প্রকৃতি মাঝে মাঝে নিজেকে চেনার একটা সুযোগ দেয়।
ধরে নিন এইটাও একটা সুযোগ নিজেকে চেনার , নিজের প্রতিভার কথা জানার । তাই সবার উচিত এই সময়টাকে কাজে লাগানো।
আবার অনেকে আছে যাদের গান বাজনা মুভি দেখা ইত্যাদি ভালো লাগে , তারাও কিন্তু এই গান আর মুভি নিয়ে নিজেদের ব্যাস্ত রাখতে পারে। আসলে আপনি ঠিক যতটা ব্যাস্ত থাকবেন আপনার মানসিক স্বাস্থ্য তত ভাল হবে।
আর এখন শারীরিক স্বাস্থ্য পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ও খুব প্রয়োজন।
অনেকে বলে মানুষের অর্ধেক সুস্থতা থাকে তার মনে ।যে যদি মন থেকে সুস্থ বোধ করে তো ৮০% সে সুস্থ হলে যায়
তাই সুস্থ থাকুন ভালই থাকুন নিজের প্রতিভাকে চেনার চেষ্টা করুন
ধন্যবাদ