আসসালামু আলাইকুম।।
আজ লিখছি নতুন এক আর্জেন্টাইন সেন্সেশনকে নিয়ে।।
উরোপিয়ান ফুটবলে জুভেন্টাস হল এক পরাশক্তির নাম। এক এর পর এক অর্জনগুলোই তাদের হয়ে কথা বলে। ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ লিগ ইতিালিয়ান সিরি আ’র। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটির নামও জুভেন্টাস।কিন্তু কার্লোস তেভেজ বোকা জুনিয়ার্সে ফিরে যাওয়ার পর দলের অবস্থা অনেক করুন হয়ে পড়ে।তবে এই অবস্থা সামাল দিতে খুব বেশি দিন সময় লাগেনি। দলের এমন বদলে যাওয়ার পিছনে আছে এক তরুণের গল্প, এক আর্জেন্টাইনের উত্থান- পাওলো দিবালা।😍
তেভেজের মত এমন একজন তারকা ফরোয়ার্ডের শূন্যতা পূরণ করা সহজ নয়।দলের প্রাণভোমরা আন্দ্রেয়া পিরলো ও ফুটবলকে গুড বাই জানিয়ে দিয়েছিলেন । দলের সমস্যা আরো জটিল হয় দলের আরেক খুঁটি আরতুরো ভিদালের শূন্যতায়। ইতালি ছেড়ে তখন জার্মানির দল বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছিলেন এই চিলিয়ান মিডফিল্ডার। কিন্তু জুভেন্টাসের মত দলের এই বিশাল শূন্যতা পূরণের দায়িত্ব নেবেন কে? আরো ভালো করে বললে কে কে নেবে!!!
ঠিক এমন পরিস্থিতিতে পিরলোর ২১ নম্বর জার্সিটা পরানো হয় ২২ বছর বয়সি এক তরুণ আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়ের গায়ে।😍😍 পালের্মো ৩২ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভেড়ানো হয় এই তরুণকে। এমন পরিস্থিতিতে দলের সেরা একাদশে থেকে প্রত্যাশার চাপ সামাল দেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। অথচ সেই প্রত্যাশার চাপকে খুব ভালোভাবেই সামাল দিলেন এই তরুণ স্ট্রাইকার। গতি, বলের দখল, ডাইভিং, ড্রিবলিং কি নেই তার মধ্যে। অসাধারণ ফ্রি-কিকের দরুণ দলের সেই দায়িত্বও এখন বর্তেছে তার কাঁধে। দলের ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলেন দিবালা।
মিডফিল্ডেও খেলেন বটে কিন্তু পুরোপুরি মিডফিল্ডার তিনি নন। আবার গোলমুখে দ্রুত বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোলের সুযোগ তৈরী করতে বেশ পটু ছেলেটি। সেই হিসাবে স্ট্রাইকারই বলা চলে। যার প্রমাণ দলের জার্সি গায়ে চাপানোর পরেই দিয়ে চলেছেন তিনি। যার সহায়তায় ১০ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকায় ১২ নম্বরে থাকা দলটি তখন পয়েন্ট তালিকার ২য় অবস্থানে চলে এসেছিল। টানা ১০ জয়ে পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট আদায় করে নেয়ার পিছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, তার নাম পাওলো দিবালা। সিরি আ লিগে দলের হয়ে সর্বোচ্চ (১১) গোলের পাশাপাশি ৭টি গোলে ছিল তার সহায়তা।😮😮
দলের হয়ে এমন আলো ছড়ানোয় স্বতীর্থদের কাছ থেকে সাহায্য তো পাচ্ছেনই, পাচ্ছেন প্রশংসাও। এমনকি ভবিষ্যতে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার প্রতিভাও তার ভিতর আছে বলে মনে করেন দলের অনেকে। 😍
‘লা জয়া’ অর্থাৎ ‘দ্যা জুয়েল’ বা ‘রত্ন’ উপাধী তো আর এমনি-এমনি পাননি দিবালা। তার উদ্ভোবনী ক্ষমতা, গতি, টেকনিক এবং বলের প্রতিনজর এই দিকগুলো বিবেচনায় তার মধ্যে সার্জিও আগুয়েরো, হাভিয়ের পাস্তোরে, কার্রোস তেভেজ, ওমর সিভোরি ও লিওনেল মেসির মিশেল দেখতে পান সাবেক দুই ইতালিয়ান ফরেয়ার্ড ভিনসেনজো মোনতেলা ও রবার্তো বেজিও।🤩
দৈত নাগরিকত্ব থাকার সুবাদে পোল্যান্ড ও ইতালির হয়েও খেলার যোগ্যতা আছে বিদালার। কিন্তু তার স্বপ্নে শুধুই আর্জেন্টিনা। ‘পারিবারিক সূত্রে গায়ে আর্জেন্টিনার রক্ত’ থাকায় আর্জেন্টিনার জার্সিই গায়ে চড়াতে চান তিনি। ইতোমধ্যে সেই স্বপ্ন পূরণও হয়েছে এই ফুটবল কারিগরের।😻
ম্যারাডোনার বিদায় নেয়ার পর মাঝে কেটে যায়
১১টি বছর।
এরপরই আবির্ভাব হয় আরেক আর্জেন্টাইন জাদুকরের। সেই তিনি লিওনেল মেসি ছাড়া আর কে? অনেকের মতে বিশ্বের সর্বকালের সেরারও যোগ্য তিনি।
গ্রহের ফুটবলের এমন কোন ট্রফি নেই যা তার শোকেসে স্থান পায়নি। শুধু বিশ্বকাপ ট্রফিটা বাদে। এত এত পাওয়ার মাঝেও যা মেসিকে রীতিমত যন্ত্রণা দেয়।
সামনে এখনো বিস্তর সময়। দিবালা কি পারবেন আকাশী-নীল জার্সি গায়ে চড়িয়ে মেসি-আগুয়েরো-ডি মারিয়াদের সাথে জুটি বেঁধে মাঠ কাঁপাতে? মেসির স্বপ্নের সারথী হয়ে বিশ্বকাপের সেই অধরা ট্রফিতে চুমু এঁকে দিতে?
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।।
ভালো লাগলে শেয়ার করে পাশে থাকুন।।
সামনে আরও লিখব।।অন্য কোন আর্জেন্টাইন রত্ন নিয়ে।।
বাসায় থাকুন।। ভালো থাকুন।। নিজের এবং পরিবারের খেয়াল রাখুন।।
আল্লাহ হাফেজ। ❤