আগে যখন কম্পিউটার এর নাম বলা সকলে সেই ভারি চারকোনা বক্সটির কথা মনে পড়তো। কিন্তু এখন যখন কম্পিউটার এর নাম শুনলে তুলনামূলক হালকা, সহজে বহনযোগ্য জিনিসটির কথাই মনে পড়ে। আর সেই জিনিসটি হলো ল্যাপটপ।বিজ্ঞানের আবিস্কারের ছোঁয়া লেগেছে প্রতিটা ক্ষেত্রে।ল্যাপটপ সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় বর্তমানে মানুষ ল্যাপটপের থেকে কম্পিউটার এর দিকে ছুটছে বেশি।সহজেই কোলে বহন করা যায় বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ।
ল্যাপটপকে সাধারণত তিনটিভাগে ভাগ করা হয়েছে।যেমনঃ
১.নোটবুক
২.আল্ট্রাবুক
৩.অল ইন ওয়ান ল্যাপটপ
১.নোটবুকঃসাধারণত ল্যাপটপের পূর্ব নাম হিসেবে বেশ সমাদৃত হলো নোটবুক।কিন্তু বর্তমানে নোটবুকের আকার ল্যাপটপ থেকেও ছোট হয়ে গিয়েছে।
২.আল্ট্রাবুকঃসাধারণত ল্যাপটপের তুলনায় আকারে ছোট,সহজে বহনযোগ্য, খুবই ওজনে হালকা হলো আল্ট্রাবুক।তবে আল্ট্রাবুকের মধ্যে ল্যাপটপের সকল যন্ত্রাদি সংযুক্ত করা যায় বলে আল্টাবুকের দাম ল্যাপটপের তুলনায় খানিকটা বেশি। ল্যাপটপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আসুজ,লেনেভো,ডেল আল্ট্রাবুক তৈরি করে থাকে।
৩.অল ইন ওয়ান ল্যাপটপঃ এই ল্যাপটপের প্রধান সুবিধা হলো টাচ স্ক্রিন। এই ল্যাপটপ দেখতে অনেকটা স্টাইলিশ হওয়ায় তরুন প্রজন্মের তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে এই ল্যাপটপ।
এখন আসি ল্যাপটপ ব্যবহারের কার্যপদ্ধতিঃ
১.প্রথমে আপনার ল্যাপটপকে কোলের মধ্যে রাখতে হবে।কারণ বালিশের মধ্যে ল্যাপটপ রাখলে আপনার ল্যাপটপের বাতাস যেতে বাধাগ্রস্ত করে।
২.সবসময় ল্যাপটপকে চার্জ প্রদান করবেন।ফুল চার্জ করা ছাড়া ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না।
৩.ল্যাপটপ সবসময় খোলা স্থানে রাখুন। কারণ চাপ পড়লে ল্যাপটন স্ক্রিন এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪.সময়ের আগেই ল্যাপটপে উইন্ডোজ প্রদান করুন।
৫.ল্যাপটপের জন্য আলাদা ব্যাগ ব্যবহার করুন।
৬.ল্যাপটপ সমসময় ঠান্ডা এবং ধুলোবালি মুক্ত স্থানে রাখুন।
৭.ল্যাপটপের টাচপেড এ কম চাপ প্রয়োগ করুন।
৮.ল্যাপটপ সবসময় সঠিক সময় অন অফ করে রাখবেন।কারণ আপনার কাজ শেষ হলে ল্যাপটপ অটোমেটিক স্লিপ মোডে চলে যায়।তাই সবসময় অপারেটিং সিস্টেম এ গিয়ে শাট ডাউন করবেন।
আপনার সঠিক ব্যবহারের উপরই ল্যাপটপের কার্যকারিতা নির্ভর করে। তাই সঠিক উপায়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন।