আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই ?আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবসময় ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেটাই প্রত্যাশা সকলের কাছে। শশুর বাড়ি নিয়ে উক্তি –
বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। সমাজ এবং ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে বিয়ে করতে হয়। বিয়ে একটি তাই পবিত্র বন্ধন হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়।বিয়ের মাধ্যমে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নরনারী কিছু নিয়ম কানুনে আবদ্ধ হয়ে থাকে। সমাজের চাপ কিংবা পারিবারিক দায়বদ্ধতায় এসকল নিয়মকানুন তাদের মেনে চলতে হয়ে থাকে।
আমাদের সমাজে বিয়ের মাধ্যমে একটি ছেলে বিয়ে করে তার স্ত্রীকে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। ফলে একটি মেয়েকে বিয়ের পর তার নিজের বাড়ি ,পরিবার সবকিছু ছেড়ে আসতে হয়। ফলে সম্পূর্ণ এক অপরিচিত পরিবেশে তাকে মানিয়ে নিতে হয়। এই জন্য খানিকটা ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় অনেক মেয়ে মানিয়ে নিতে পারলেও আবার অনেক মেয়েই পারেনা। সমস্যাটি শুধু যে মেয়েদের ক্ষেত্রে হয় তা কিন্তু নয়। বরং ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
একটি মেয়ে কিংবা ছেলে যখন তার শুশুর বাড়িতে আসে তার জন্য এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিবেশ। তাই এই পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে হলে কিছু দিক অনুসরণ করতে পারে। নিচে সেই সকল দিকসমূহ তুলে ধরা হলোঃ
১.শুশুর বাড়িতে সকলের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে নিতে হলে আগে সবার সাথে ভালো করে মিশতে হবে চিনতে হবে ,সবাইকে জানতে হবে।
২. শুধু যে ছেলে কিংবা মেয়ে চেষ্টা করবে তা কিন্তু নয়। বরং শশুর বাড়ির লোকজনদেরও সাহাজ্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
৩.আপনার যেমন শুশুর বাড়ির লোকজনদের কোন কোন বিষয়গুলোতে ভালো লাগা কিংবা খারাপ লাগা বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে ঠিক তেমনি শশুর বাড়ির লোকজনদের আপনার ভালো লাগা এবং খারাপ লাগার বিষয়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
৪.ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়ের উদ্দেশে বলতে চাই শশুর বাড়িকে নিজের বাড়ির মত ভাবুন দেখবেন সমস্যা অর্ধেক সমাধান হয়ে গিয়েছে।
৫.আর শুশুর বাড়ির লোকজনদের উদ্দেশে বলতে চাই ছেলের বৌকে কিংবা মেয়ের জামাইকে নিজের আপন ছেলের মতো কিংবা মেয়ের মোট দেখুন। তার সকল ছোটোবড়ো কাজে সাহাজ্যের হাত বাড়িয়ে দিন। দেখবেন বিষয়টি সহজ হয়ে গিয়েছে।
৬.সকলের সাথে মিলেমিশে চলার অভ্যেস করে তুলুন দেখবেন অর্ধেক সমস্যা সমধান হয়ে গিয়েছে।
৭.বড়দের প্রতি শ্রদ্রাশীল হউন এবং ছোটদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হউন।
সারাজীবন পাশে থাকার সম্পর্কের নাম বিয়ে। তাই একটি বিয়ে টিকে থাকতে নির্ভর করে দুজনের পারস্পারিক বুঝাপড়া যত মজবুত হবে তার উপর। আর সেই জন্য দুইজন দুইজনের পরিবারকে বুঝা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি উপদেশগুলো আপনাদের মাথায় থাকবে। ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন