Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

শসার ৭ টি উপকারিতা

শসা আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি সবজি। এটি কাঁচা ও রান্না করা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়। বাংলাদেশের সব জায়গায় কমবেশি শসা পাওয়া যায়। এটি অনেক সুস্বাদু একটি সবজি। আমরা যেকোনো তৈলাক্ত খাবার খেলে তেল পরিশোষক হিসেবে শসা খেয়ে থাকি।শসা খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।আসুন শসা খাওয়ার কিছু উপকারী দিক সম্পর্কে জেনে নেই।

দেহের পানিশূন্যতা দূর করে

দেহের শতকরা ৯০ ভাগই পানি।যারা শসা খেতে ভালোবাসেন তাদের জন্য একটি সুবিধা হলো যে আপনারা কোথাও বেড়াতে গিয়ে হাতের কাছে পানি না পেলে বিকল্প হিসেবে শসা খেতে পারেন। এতে করে আপনার পিপাসার পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে। আপনার চেহারা হবে প্রাণবন্ত।

দেহে তাপের সমতা রক্ষা করে

অতিরিক্ত গরমের কারণে কিংবা আবহাওয়াগত কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া হয়।অস্বস্তির অনুভূতি হয়।এসময় শসা হতে পারে একটি বড় সমাধান। এসময় একটি শসা খেয়ে নিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিতে অনেক সময় ত্বকে কালচে ভাব পড়ে। এ অবস্থায় একটি শসা কেটে ত্বকে লাগিয়ে দিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

দেহে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে

শসার পানি দেহের ক্ষতিকর টক্সিন এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খাই এর উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। উপকারী অংশ রক্তের মাধ্যমে পরিশ্রুত হয়ে দেহের কাজে লাগে এবং অপকারী অংশ টক্সিন বা বর্জ্য হিসেবে জমা হয়।শসা খেলে এই টক্সিনগুলো দূর হয়।

ভিটামিনের অভাব পূরণে

শসা নানারকম ভিটামিনের সমাহার। আমাদের দেহের জন্য যেসব ভিটামিন প্রয়োজন তার বড় একটি অংশ শসাতে বিদ্যমান।ভিটামিন এ,বি এবং সি হচ্ছে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ভিটামিন যা শসাতে সবসময়ই পাওয়া যায়। কোনো ব্যাক্তি প্রতিদিন শসা খেলে তার ভিটামিন এ,বি ও সি জনিত সমস্যা হবে না।

খনিজের যোগানদাতা

শসায় পটাশিয়াম,ক্যালশিয়াম,ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন থাকায় এটি দেহে প্রচুর পরিমাণে খনিজের যোগান দেয়। দেহে অন্যান্য ৫ টি উপাদানের পাশাপাশি খনিজও অপরিহার্য। যথার্থ খনিজের অভাবে দেহে গলগণ্ড রোগের সৃষ্টি হয়। কোনো ব্যাক্তি নিয়মিত শসা খেলে খনিজ জনিত জটিলতা দূর হবে।

হজম ও ডায়োড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

শসায় রয়েছে উচ্চমাত্রার পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরি যা স্থুল ব্যাক্তিদের স্লিম হতে সহায়তা করে। যারা ডায়োড নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান শসা তাদের জন্য একটি আদর্শ খাবার।

দৃষ্টিশক্তি সুদৃঢ় করে

এখানে একটি মজার ব্যাপার হলো শসায় ভিটামিন এ থাকায় এটি এমনিতেই চোখের জন্য উপকারী। আমরা সৌন্দর্যচর্চায় চোখে শসা কেটে লাগায় এতে করে চোখে জমাকৃত ময়লা দূর হয় এবং দৃষ্টিশক্তি সুদৃঢ় হয়।

ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে

শসাতে সিকোইসোলারিসিরেসোনোল,ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল থাকায় জরায়ু, স্তন ও মুত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার হওয়া থেকে রক্ষা করে।

এসব ছাড়াও শসার আরও নানা উপকারী দিক রয়েছে। আগেই বলেছি শসার উপকারী দিক বর্নণা করে শেষ করা যাবে না।

Related Posts

9 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No