মাদারীপুরের শিবচরে নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠায় তাকে রির্টানিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন সে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়-২ শাখার সহকারী সচিব মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্র পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের প্যাডে স্বাক্ষরিত পত্র সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচরে চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়ার পরে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য গত ৯ ডিসেম্বর মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত একটি সুপারিশপত্র যার স্মারক নং-১৭.১১.৫৪০০.০০০.১৯.০০১.২১-৫০১ এর মাধ্যমে ঢাকা নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
যার প্রেক্ষিতে বুধবার ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের স্মারক নং-১৭.০০.০০০০.০৭৯.৪১.০৪৪.২১-৬৮৩ এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়-২ শাখার সহকারী সচিব মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে শিবচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদকে শিবচরের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এর আগে শিবচরে প্রতিটি নির্বাচনের সময়ই ওই নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। বর্তমানে শিবচরে চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের সময়ে হারুন-অর-রশিদ বিভিন্ন প্রার্থীদের কাছ থেকে কৌশলে মনোনয়ন পত্রে ভুলত্রুটি, করনিক ভুল, ভোটার তালিকার সিডির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তার এমন বেপরোয়া অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: লতিফ মুন্সী।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, শিবচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে উমেদপুর ইউনিয়নের এক প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করে ছিলেন। এছাড়াও হারুন অর রশিদের অনিয়মের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে ছিল। এ ব্যাপারে কমিশন তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি ইস্যু ইতোমধ্যে করেছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই শিবচরে নতুন কাউকে রির্টানিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আগামী চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর শিবচরের ৩ টি ইউনিয়নে এবং ৫ জানুয়ারি ২ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মাসুদ রেজা ফিরোজী, সাংবাদিক