আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। এখন শীতকাল। বছরের ছয়টি ঋতুর একটি। যদিও পূর্বের তুলনায় বর্তমানে এই ছয়টি ঋতুর আভাস পাওয়া একটু কষ্টকর তবুও শীতকাল তাদের মধ্যে অনেকটা বেশি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। প্রত্যেক ঋতুরই একটি আলাদা স্বভাব রয়েছে। রয়েছে কিছু চমক কিছু পুরস্কার এবং কিছু বেদনা। শীতকালের বেলায় যেন আমরা এই বিষয়টি একটু বেশিই উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়।
এটি আমাদের পরিবেশকে করে তুলে একদম জীর্ণশীর্ণ। চারদিকে শুরু হয় পাতাঝরার বাহার। রুক্ষতা এবং শুষ্কতা আমাদের চারপাশকে ঘিরে ধরে। ঠিক তেমনি আবার শীতকাল আমাদের জন্য নিয়ে আসে বিভিন্ন ধরনের সবজির সমাহার। একদিকে যেখানে গাছের পাতা ঝরে অপরদিকে অন্য জায়গায় নতুন সবজি গজায়। এভাবেই হয়তো মহান আল্লাহ তা’আলা শীতকালকে এতটা অদ্ভুত করে বানিয়েছেন।
এ সময় আমাদের শরীর ও অনেক কিছু নতুন করে অনুভব করতে সক্ষম হয়। সত্যি বলতে গেলে একটু বেশিই অনুভব করতে সক্ষম হই আমরা। চারপাশের এই জীর্ণশীর্ণতার মাঝেও আমাদের শরীরে অনুভব করার প্রবণতা কেমন একটা যেন বেড়ে যায়।
আমরা জানি ঠান্ডার মধ্যে সবকিছুই জমাট বাঁধার চেষ্টা করে। সে যেকোনো ধরনের বস্তু হতে পারে। এমনকি মানুষের শরীরের কোষগুলো এর ব্যতিক্রম নয়। বছরে বিদ্যমান ছয়টি ঋতুর মধ্যে এটিই একমাত্র ঋতু যেখানে সত্যিকারের ঠান্ডার আভাস পাওয়া যায়। বাকি ঋতু গুলোর মধ্যে ঠান্ডা কেমন একটা আভাস পাওয়া যায় না বললেই চলে। এই ঠান্ডার মধ্যে আমরা যদি আমাদের শরীরের কোন অংশে ব্যথা পাই তবে তা ওইভাবে ব্যথা করে না যেভাবে অন্য ঋতু গুলোতে ব্যথা করত। আমরা অনেকটা বেশিই সেই ব্যথা অনুভব করতে সক্ষম হই।
এমনকি ব্যথার রেশ কাটতে সময় লাগে অনেক বেশি। কিন্তু কেন এ রকমটা হয়? অন্য কোন ঋতুতে তো এরকম হয়না। এর প্রধান কারণ হলো শীতকালের এই ঠান্ডায় আমাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট অনেকটা কমে যায়। যার ফলে আমাদের হার্টবিট রেট অনেকটা কমে যায়। কারণ ঋতুর এই পরিবর্তন আমাদের শরীরকে পরিবর্তন করেনা। যার ফলে আমাদের শরীরে যে ব্যথা প্রাপ্ত হয় তা অনেক বেশি পরিমাণে অনুভূত হয় এবং তা সেরে উড়তেও বেশ খানিকটা সময় নেয় কারণ শরীরের রক্তের সার্কুলেশন অনেকটা কম থাকে।
এই অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের শরীরের মধ্যে রক্ত সার্কুলেশন আরো বৃদ্ধি করতে হবে। যেহেতু শীতের মধ্যে আমরা সবাই অনেকটা অলস সময় কাটাতেই ভালোবাসি সেই কারণে আমাদের শরীর সেই পরিমাণ রক্ত সার্কুলেশন করেনা এবং হার্টবিট রেট কমে যায়। যদি আমরা নিয়মিত শরীরচর্চা বজায় রাখি তাহলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব। নিয়মিত শরীর চর্চা আমাদের হার্টবিট রেট কে বাড়াতে সক্ষম হবে এবং আমাদের শরীরের ভেতরে ব্লাড সার্কুলেশন কে ঠিক রাখতে পারবে।