আসসালামুআলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা রাখি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। বরাবরের মতো ভিন্ন টপিকের একটি আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসলাম। ইতিমধ্যে নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন আজকের টপিক মূলত কি। বিয়ে বাঙালি জাতির ঐতির্য্য। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করে থাকবেন অন্যান্য সব মৌসুমের তুলনায় শীতের মৌসুমে বিয়ের অনুষ্ঠান বেশি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এটা নিয়ে অনেকের মাথায় অনেক ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে।
সত্যি বিষয়টা ভাবার মত, অন্য সব মৌসুমের তুলনায় কেনই বা শীতকালের মৌসুমে বেশি বিয়ের অনুষ্ঠান হয়? আপনাদের এই প্রশ্নটির সঠিক সমাধান দেবার জন্যই আমার এই আর্টিকেলটি প্রকাশ করা। আসলে মূল বিষয়টি এক লাইনে বিশ্লেষণ করার মতো নয়। অর্থাৎ শীতকালে কেন বেশি বিয়ে হয় এই প্রশ্নের উত্তরটি এক লাইনে দেওয়া যাবে না। কেননা এর পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ।
তবে কারণ গুলো অযৌক্তিক এমন নয়। মূলত শীতের মৌসুমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার মধ্যে দিয়ে বিয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারায় এই মৌসুমকে বিয়ের মৌসুম ও বলা হয়ে থাকে। তাহলে কি সেই সুযোগ সুবিধা? নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে। তবে চলুন জেনে নেই শীতের মৌসুমে বিয়ের সুবিধা গুলো।
১. সঠিক সময়ক্রম মিলে যাওয়াঃ লক্ষ করে থাকবেন শীতের সময়টাতে সরকারি চাকরিজীবীদের অনেক ছুটি থাকে। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের কথা যদি বলেন তাহলে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে তারা সকলেই ফ্রি থাকে। বলতে গেলে শীতকালের সময়টা ছুটিতে কাটে অনেকের। এই ছুটির কারণটি শীতের বিয়ের প্রথম কারণ হিসেবে ধরতে পারেন।
২. খরচ কম হওয়াঃ একটি বিয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিভিন্ন দিকে খরচ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অন্যান্য মৌসুমী তুলনায় শীতের মৌসুমে খরচের পরিমাণটা কিছুটা কম হয়ে থাকে।
৩. সাজসজ্জায় সুবিধাঃ আমরা জানি ফুল হচ্ছে সাজসজ্জা প্রতীক। ফুল ছাড়া সাজসজ্জা কল্পনা করা যায়না। দিকে শীতের সময়কে এক প্রকার ফুলের মৌসুম ধরা হয়ে থাকে। এসময় বিভিন্ন ফুল কম দামে পাওয়া যায়। এটাও একটা কারণ।
৪. গরমের সমস্যা নেইঃ একটি বিয়ে বাড়িতে অনেক ধরনের কাজ হয়ে থাকে। গরমের সময়ে ধরনের কাজগুলো করতে আমাদের অনেক ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও গরমের অতিরিক্ত তাপমাত্রায় কাজে ব্যাঘাত ঘটে, শীতের সময় ঘামার কোনো সুযোগ নেই। ঠাণ্ডা গরম আবহাওয়ায় কাজে অনেক সুবিধা হয়। এছাড়াও পাত্র এবং পাত্রী ভারী জামা কাপড় পড়ে আরামে বিয়েতে বসতে পারেন।
৫. খাবারঃ খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বিয়েতে। গরমের সময় পেটের নানাবিধ সমস্যার কথা চিন্তা করে অনেকেই ঠিকমত খেতে পারেন না। কিন্তু শীতের সময় এই সমস্যা থাকে না।
৬. প্রচলিত মৌসুমঃ যেহেতু এই মৌসুমে বিয়ের পরিমাণটা একটু বেশি হয়, সেহেতু এটিকে প্রচলিত ধারা হিসেবে ধরেও অনেকে বিয়ের কার্যক্রম শুরু করতে চান।
৭. বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা নেইঃ গরমের মৌসুমে বিদ্যুৎ অনেক বেশি সমস্যা করে থাকে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে গরমের দিনে কারেন্ট একবার গেলে আর আসতে চায়না। কিন্তু শীতের সময় লোডশেডিং এর সমস্যা কম। পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচ কম হয়ে থাকে।
৮. ঘুরাঘুরির সুবিধাঃ বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর সময় কাটানোর জন্য ঘুরতে যাওয়ার দরকার হয়। এক্ষেত্রে সাইটের সময়টা একেবারে পারফেক্ট সময় যখন স্বামী স্ত্রী দুজনে ঘুরাঘুরির জন্য কোথাও গিয়ে ভালো সময় কাটাতে পারে। শীতের সময়টাকে এজন্য ঘুরাঘুরির সঠিক সময় বলা হয়। এজন্যই তো এই সময়ে পিকনিক এর পরিমাণ বেশি হয়। গরমের সময় ঘুরাঘুরি খুব কম পরিমাণে হয়।
আশা করছি মূল বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এই ছিল আজকের আর্টিকেল, আল্লাহ হাফেজ।