আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়। শীতের পিঠা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ :
ষড়ঋতুর এই দেশে শীতকাল একটি ঋতু।বছরের শেষ এ আগমণ ঘটে এই ঋতুর। এই ঋতুতে প্রকৃতিতে এক আমূল পরিবর্তন ঘটে।চারপাশ রুক্ষ হয়ে উঠে,প্রচুর কুয়াশা হয়।এই সময় সূর্যের দেখা পাওয়া মেলা ভার। গাছের পাতা সমূহ ঝড়ে যেতে থাকে।প্রচন্ড শীতে গরীর অসহায় মানুষের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে উঠে।সকলের জীবন দূরবীসহ করে তুলে এই ষড়ঋতুর এক ঋতু শীতকাল।
শীতকাল অনেকের কষ্টের কারণ হলেও কৃষকেরা কাছে শীতকাল মানে অন্যরকম এক অনূভুতির নাম।শীতকালে কৃষকেরা তাদের ঘরে ধান তুলে। নতুন ধানে নতুন নতুন পিঠাপুলি তৈরির হিড়িক পড়ে যায় সারা ঘড় জুড়ে।চারদিকে নবান্ন উৎসব শুরু হয়।তোলা ধানের চালের গরম।ধোঁয়া উড়ানো পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।শীতকালে আমন ধানের তৈরি পিঠা গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে তৈরি করা হয়।শীতের তৈরি উল্লেখযোগ্য পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাপা পিঠা,ম্যাড়া পিঠা,গুড়ের পিঠা,সন্দেশ পিঠা,দুধ চিতুই,পাকন পিঠা,দুধ মালাই ক্ষীর পুড়ি ইত্যাদি সকল ধরনের পিঠাই তৈরি করা হয়।
শীতের এই নবান্ন উৎসবকে আরো আরও চমদপ্রদ হয় যখন গ্রামের সকলে তাদের অতিথিদের নবান্ন উৎসবের দাওয়াত করে।গ্রামের চারদিকে নতুন নতুন পিঠা তৈরির গন্ধে আমদিত হয়।এক নতুন উৎসবের জানান দেয় এই শীতকাল। শীতকালে যে শুধুমাত্র গ্রামে পিঠা তৈরির হিড়িক পড়ে তা কিন্তু নয়।বরং বর্তমানে গ্রামের পাশাপাশি শহরের বর্তমানে পিঠা উৎসব হচ্ছে যেখানে নানা ধরণের পিঠার সমাহার করে থাকে।কেউ কেউ নিজেরা পিঠা তৈরি করে কিংবা কিনে এনে এই পিঠা উৎসব করে থাকে।
শীতকালকে বলা হয় পিঠা তৈরির কাল।তাই শীতকাল এলেই পরিবারের সকল সদস্যদের বায়নে নতুন নতুন পিঠা তৈরি করার।পরিবারের সকলে একসাথে বসে গরম গরম ভাব ছাড়ানো পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। তাই শীতকালের তৈরি নতুন নতুন পিঠাপুলি আমাদের মনে বাড়তি আনন্দ এবং উদ্দীপনা বয়ে নিয়ে আসে।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে। ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন