আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকালে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি।
১.আসমাউল হুসনা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ
আসমাউল হুসনা শব্দ দুইটি আরবি।আসমা শব্দের অর্থ “নামসমূহ ” আর হুসনা শব্দের অর্থ “সুন্দরতম”।আসমাউল হুসনা শব্দের অর্থ ” সুন্দরতম নামসমূহ”।আর এই সুন্দরের আঁধার হলো মহান আল্লাহ।পবিত্র কোরআন আর হাদিস মতে”মহান আল্লাহর অনেক গুনবাচক নাম রয়েছে। এর নাম সংখ্যা ৯৯ টি।আল্লাহ তায়ালার সুন্দর সুন্দর নামকে একত্রে বলা হয় আসমাউল হুসনা।
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন”আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম।কাজ সে নাম ধরে তাকে ডাক।আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তার নামের ব্যাপারে বাকা পথে চলে।তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে।তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে।”(সুরা আল আরাফ ০৭-আয়াত ১৮০)
এছাড়াও বনী ইসরাইল ১৭ঃআয়াত ১১০ আল্লাহ বলেছেন”আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রাহমান বলে “যে নামে আহবান কর না কেন, সব নামই সুন্দর তার”।
আল্লাহ পাকের ৫ টি নামের অর্থঃ
১.আল্লাহঃ
যদি কেউ এই নামটি প্রতিদিন ১০০০ বার পড়ে তাহলে আল্লাহ পাক আপনার অন্তর থেকে সমস্ত সন্দেহ অনিশ্চয়তা দূর করবে এবং দৃঢ় সংকল্প এবং বিশ্বাসের ব্যবস্থা করব।
২.আল সালাম (শান্তি,নিরাপত্তার উৎস,ত্রান কর্তা)ঃযদি কোন ব্যক্তি এই নামটি কোন অসুস্থ ব্যক্তির নিকট বসে পড়ে আল্লাহ তাকে সুস্থ করতে সহায়তা করবেন।
৩.আল মু’মিন(জামিনদার ও সত্য ঘোষনাকারি)ঃএই নামটি কোন ব্যক্তি ৬৩১ বার পাঠ করলে সে ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
৪.আল মুহাইমিন(অভিভাবক, প্রতিপালন)ঃযে গোসল করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে তার বাহির ও অভ্যন্তরীণ অবস্থা পরিপাটি হয়।
৫.সর্বশক্তিমান(সবচেয়ে শক্তিমান)ঃযে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর এই দোয়াটি পাঠ করে সে ব্যক্তি অন্যের কাছ থেকে প্রয়োজনের বাইরে সম্মান অর্জন করবে।
২.তুমি কিভাবে আল্লাহর গুণে গুনান্নিত হতে পারো।
উত্তরঃহাদিস শরীফে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)বলেন,” তোমরা আল্লাহর গুনে গুনান্নিত হয়।”
আল্লাহর রং বা গুন হলো আল্লাহর ৯৯ টি নাম।আল্লাহর নামগুলো আত্তস্থ করার বা ধারন করার অর্থ হলো সেগুলার ভাব ও গুন অর্জন করা এবং সেসব সেসব গুনাবলি ও বৈশিষ্ট্য কাজকর্মে ও আচরণে প্রকাশ করা তথা ও নিজেকে সেসব গুনের অধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা। যেমনঃ
আল্লাহ তা’য়ালা হলেন আল-গাফফার মানে মার্জনাকারী।আল্লাহ ক্ষমাশীল ।আমাদের প্রিয়নবী ক্ষমার এক মহৎ উদাহরণ ছিলেন।তাই আমরাও চেষ্টা করব মানুষদের ক্ষমা করে দিতে।
আল্লাহ তা’য়ালা হলেন আল মুইজ অর্থাৎ সম্মান প্রদানকারী। আমরা চাইলেও মানুষদের সম্মান প্রদান করতে পারি। বড়দের সালাম ও ছোটদের স্নেহ করতে পারি।
৩.দুনিয়া আখিরাতের শস্যক্ষেত্র -ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃপ্রতিটি মানুষের দুটি ঠিকানা। একটি ক্ষণস্থায়ী অপরটি চিরস্থায়ী। দুনিয়ার জীবন হলো ক্ষনস্থায়ী আর আখিরাতের জীবন হলো চিরস্থায়ী।এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে পরপারে অনন্ত ঠিকানায়।সেখানেই নেই কোন মৃত্যু নেই কোথাও পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ। মহান আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কোরআনের বলেন
“নিশ্চিত দুনিয়ার জীবনের তুলনা পানির ন্যায় যা আকাশ থেকে নাজিল করে অতঃপর তার সাথে যমীনের উদ্ভিদের মিশ্রন ঘটে যা মানুষ ও চতুষ্পদ জন্তু ভোগ করে “(সুরা ইউনুস -২৪)
তাই দুনিয়ার পেছনে দৌড়ঝাপ না করে আখিরাতের পেছনে সর্বশক্তি নিয়োগ করুন।তাহলে দুনিয়া আর আখিরাত দুটোই পাবেন।আখিরাতের উপরে দুনিয়াকে পাহারা দিলে দুনিয়াও যাবে আখিরাত ও যাবে।
সুতরাং আমাদের উচিত ভালো আমল দ্বারা দুনিয়াতেই থেকে আখিরাতের সঞ্চয় করা।
সামনে নতুন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে। ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুক